বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলা, পাল্টা-মামলা

0
24

উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তায় ১২ সাংবাদিকের পরিবার 

 বরগুনা প্রতিনিধিঃবরগুনা প্রেসক্লাবের হামলা মামলা এবং পাল্টা মামলার ঘটনায় উৎকণ্ঠা এবং অনিশ্চিতার মাঝে রয়েছে ১৫ সাংবাদিকের পরিবার।  বিশেষ করে আসন্ন ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।এঘটনায় এনটিভি,সময় টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন, ডিবিসি, দীপ্ত টেলিভিশন, এটিএন বাংলা, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ইনকিলাব, আজকের দর্পণ , বাংলানিউজ ২৪, ভোরের আকাশসহ ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমের ১৫জন সাংবাদিককের ১২ জনকে অভিযুক্ত ও  ৩ জনকে হুকেমের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ৯ জন বর্তমানে বরগুনা কারাগারে রয়েছেন। বাকিরাও রয়েছেন শঙ্কায়। বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের বরগুনা প্রতিনিধি অ্যাড. গোলাম মোস্তফা কাদের জানান, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ইন্ডিয়ায় ছিলেন।

  তখন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সঙ্ঘবদ্ধ হয়েবরগুনা প্রেসক্লাবে  পরিকল্পিত হামলা চালায় প্রেসক্লাব বিরোধী একটি মহল। এ সময়পুলিশের উপস্থিতিতে  বরগুনা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি অ্যাড. সোহেল হাফিজকে তিন তলা থেকে টেনে নামিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। পরিকল্পিত এ হামলার সকক দৃশ্য বরগুনা প্রেসক্লাবের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে রয়েছে।অ্যাড. গোলাম মোস্তফা কাদের আরও জানান, ঘটনার পর ইন্ডিয়া থেকে ফিরে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হামরাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল স্টেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করে বরগুনা প্রেসক্লাব। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর এবং পিবিআই কে তদন্তের জন্য বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া আদালত। এ মামলায় হামলাকারীদের ৭জন বর্তমানে বরগুনা কারাগার রয়েছেন।পরবর্তীতে এ হামলার ঘটনার ১৩ দিন পরে গত ২ মার্চ হামলাকারীদের একজন তালুকদার মাসুদ (সাংবাদিক ও ইউপি সদস্য) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বরগুনা থানায় গত ৪ মার্চ বরগুনা প্রেসক্লাবের ১৫ সাংবাদিক ও মৃত তালুকদার মাসুদের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম শহিদকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যামামলে দায়ের করেন মৃত তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা সাজু।এ মামলায় আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কারাগার রয়েছেন বরগুনা প্রেসক্লাবের  ৯ সাংবাদিক। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান বলেন, বরগুনা প্রেসক্লাবে দায়েরকৃত হামলার ঘটনার মামলার পাল্টা মামলার হিসেবে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ১৩ দিন পরে তালুকদার মাসুদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে বরগুনা থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি করা হয়। এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেয়া তালুকদার মাসুদের ডেথ সার্টিফিকেট তার মৃত্যুর কারণ সুস্পষ্টভাবে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হয়েছে। তার সুরোতহাল রিপোর্টেও কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। ১৯ তারিখের হামলার ঘটনার পর তিনি আঘাত জনিত কোন চিকিৎসাও কোথাও নেননি। অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আরও বলেন,  জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তিনি সর্ব শেষ চিকিৎসা নিয়ে ২৫ তারিখে বরগুনা ফিরে আসেন। সেখানকার চিকিৎসকরা এনজিওগ্রাম  করার ১৫ দিন পরে দেখা করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তালুকদার মাসুদের ডেথ সার্টিফিকেট, সুরোতহাল রিপোর্টসহ সকল চিকিৎসা পত্র আমরা মাননীয় আদালতে দাখিল করবো।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − four =