মাধবপুর উপজেলার শিবজয়নগর গ্রামের স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকারীকে নিয়ে পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবজয়নগর গ্রামের একটি ডোবা থেকে কচুরিপানার নিচ থেকে এই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত
স্কুলছাত্র শিবজয়নগর গ্রামের ব্যবসায়ী সাবাশ আলীর ছেলে এবং বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। পুলিশ জানায়, গত ৬ই জানুয়ারি রাত ৭টার পর থেকে স্কুল ছাত্র শাহপরান (৭) হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে পড়ে। একমাত্র ছেলের সন্ধানে বাবা সাবাশ আলী বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৭ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরই মধ্যে শাবাসের কাছে ছেলের মুক্তি চেয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারী চক্র। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার এসএম রাজু আহম্মেদের নেতৃত্বে মৌলভীবাজার বড়লেখা থেকে শিবজয়নগর গ্রামের তাউছ মিয়ার ছেলে অপহরণকারী চক্রের সদস্য জালাল (২৫) কে মঙ্গলবার আটক করে। জালাল বড়লেখায় অবস্থান করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। পরে তাকে মাধবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাকে নিয়ে শিবজয়নগর একটি ডোবা থেকে সন্ধ্যায় শাহপরানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রস্তুতকারী ও জিডির তদন্তে থাকা মাধবপুর থানার এসআই মমিনুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে শিশু শাহপরানকে গলা টিপে হত্যা করে লাশ ডোবায় পানির নিচে ডুবিয়ে রাখে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং আটক জালালকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।