আর নয় ছাপা: পরীক্ষার হলে ডিজিটাল ডিভাইসে আসবে প্রশ্ন

0
613

 পাবলিক পরীক্ষায় আর প্রশ্নপত্র ছাপানো হবে না। ডিজিটাল ‘প্রশ্নব্যাংকের’ মাধ্যমে অটোমেটিক (স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাৎক্ষণিক) প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে।

 

পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশ্নের ‘কোড’ জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ আসনে বসলেই একটি করে ডিজিটাল ডিভাইস দেওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর কিছু আগে ডিভাইসে অটোমেটিক প্রশ্ন ভেসে উঠবে। তা দেখেই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে নতুন এই পদ্ধতি চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা থেকে পদ্ধতিটি চালু হবে। এর আগে সেমিনারের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

 

এদিকে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন ফাঁসের ছয়টি কারণ চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই ঘণ্টাব্যাপউ আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সভায় এসব কারণ তুলে ধরা হয়। প্রশ্ন ফাঁসে আইসিটি বিভাগ, মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়ী করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সহযোগিতা চেয়েছেন বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। সভা শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহবার হোসাইন সভা শেষে একান্ত আলাপকালে আজকালের খবরকে বলেন, ‘বর্তমান পদ্ধতিতে কোনোভাবেই প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো সম্ভব না। আমরা আর প্রশ্ন ছাপাতে চাই না। সবাই একমত হয়েছি অনলাইন প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার। সভায় অনেকে কেন্দ্রে প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার  মতামত তুলে ধরেন। তবে সারা দেশে সাড়ে তিন হাজার পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যন্ত এলাকায় অসংখ্য কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সেসব কেন্দ্রে প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষা নিতে গেলে হঠাৎ জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তখন মহাকেলেঙ্কোরি ঘটে যাবে। এ সংকটের কথা ভেবে পরীক্ষার্থীদের একটি করে ডিভাইস (ট্যাব) দেওয়ার কথা ভাবছি। পরীক্ষার হলে ডিভাইসে অটোমেটিক প্রশ্ন ভেসে উঠবে। তা দেখে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের আগে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সেমিনার করবো।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নতুন এই পদ্ধতি চালু করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এইচএসসি পরীক্ষায় চালু করা সম্ভব হবে না। আগামী এসএসসি পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’

 

সভা সূত্রে জানা গেছে, শুরুতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেকের হাতে একটি কার্যবিবরণী দেওয়া হয়। তাতে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কয়েক দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো- সনাতনী পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন বাদ দিয়ে অনলাইন প্রশ্নব্যাংক তৈরি করা। সেখানে বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হবে। ২০ থেকে ৩০ সেট বা তারচেয়ে বেশি মানসম্মত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। প্রশ্নপত্র ছাপানো হবে না। পরীক্ষা শুরুর এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্সি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে ব্যানভার ভিত্তিতে অটোমেটিক প্রশ্ন করা হবে। এই পদ্ধতিতে যিনি প্রশ্ন তৈরি করবেন তিনিও তা দেখতে পারবেন না। পরীক্ষা শুরুর এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ই-মেইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে পাঠানো হবে। দুই জন কর্মকর্তার মোবাইলে কোড নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়Ñ প্রশ্নব্যাংক থেকে তৈরি করা প্রশ্ন কেন্দ্রে ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার। তবে সভায় অংশ নেওয়া আইসিটি বিশেষজ্ঞরা এ প্রস্তাবটি নাকচ করে দেন। তারা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, প্রশ্ন ছাপানো হলেই তা ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিকল্প প্রস্তাবে বলা হয়- পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার কক্ষে নিজ নিজ আসনে বসার পরে তাদের একটি ট্যাব বা ডিজিটাল ডিভাইস দেওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর এক বা দুই মিনিট আগে ডিভাইসে প্রশ্ন ভেসে উঠবে। তা দেখে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষা শেষে অটোমেটিক প্রশ্ন বিলীন হয়ে যাবে। পরীক্ষা শেষে ডিভাইসগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শিক্ষাবোর্ডের নির্বাচিত অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৩২ জন  প্রশ্ন ‘সেটার’ নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা ৩২ সেট প্রশ্ন তৈরি করেন। সেখান থেকে মডারেটর যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষার উপযোগী করে ১২ সেট প্রশ্ন তৈরি করে সিলগালা করে বোর্ডে জমা দেন। তারপর বোর্ড থেকে সিলগালা অবস্থায় প্রাপ্ত প্রশ্নপত্র বিজিপ্রেসে কম্পোজ ও এডিট করে ছাপানো হয়। এরপর প্যাকেটজাত ও সিলগালা করা হয়। বোর্ডের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রওয়ারী প্রশ্নপত্র ট্রাংকে ভরা হয়। ট্রাংকগুলো সিলাগালা করে বিজিপ্রেসে সংরক্ষণ করা হয়। জেলা প্রশাসকের মনোনীত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্দিষ্ট দিনে  ট্রাংকগুলো বিতরণ করা হয়। পুলিশ পাহারায় ট্রাংকজাত প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পুলিশ পাহারায় জেলা ট্রেজারিতে নিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। পরীক্ষার দিনে ট্রেজারি থেকে কেন্দ্রে প্রশ্ন নেওয়া হয়। এরপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় অন্তত ৩০ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা জড়িত থাকেন। ফলে প্রশ্ন প্রণয়ন ও পরীক্ষা নেওয়া পর্যন্ত কয়েক ধাপে প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কা থাকে।

 

সভার বিষয়ে সচিব মো. সোহবার হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেসব মন্ত্রণালয় আমাদের এ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেসব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। চলমান এসএসসি পরীক্ষার যেগুলো বাকি আছে এবং যেগুলো শেষ হয়েছে সেই পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে একটি পর্যালোচনা হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে শেষ করা এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় নতুন কী ধরনের পদ্ধতি ইমপ্লিমেন্ট করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

 

আগামী পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর বিষয়ে সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তা, শিক্ষক বা কর্মচারীদের হাতে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা হলের ত্রি-সীমানার মধ্যে পাওয়া গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রশ্নপত্র কোনো ব্যক্তির মোবাইলে পাওয়া গেলে আইসিটি আইনে তার বিচার করা হবে। সুষ্ঠু পরীক্ষা নিশ্চিত করতে যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৫২টি মামলা হয়েছে, ১৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও এ প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।’ এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক) বাতিল প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘এমসিকিউ বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন তা আমাদের জন্য নির্দেশ। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্ধ করতে হয় সেই প্রক্রিয়ায় আমরা তা বাতিল করব। হঠাৎ করে কিছু বলতে পারব না।’

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় সমন্বয় সভা শুরু হয়। যা সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় শেষ হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরুর কিছু সময় পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যান। এছাড়া সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহামানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রশ্ন ফাঁসের ছয় কারণ

সভার কার্যপত্রের তথ্যানুযায়ী প্রশ্ন ফাঁসের ছয়টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো-

 

এক. বিজিপ্রেসে প্রশ্ন কম্পোজ, এডিট, প্রিন্ট ও প্যাকেজিং পর্যায়ে প্রায় ২৫০ ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। তারা প্রশ্নপত্র কপি করতে না পারলেও এর সঙ্গে জড়িতরা স্মৃতিতে ধারণ করতে পারেন। এভাবেও সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব।

 

দুই. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু অনেক কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেন না।

 

তিন. অতিরিক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ সেখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। এছাড়া ভেন্যুগুলো থেকে মূল কেন্দ্রে দূরত্ব অনেক বেশি। ফলে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্র সচিব প্রশ্নের প্যাকেট খুলতে বাধ্য হচ্ছেন। সেখান থেকেও প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ রয়েছে।

 

চার. পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করা কষ্টসাধ্য। গুটিকয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে মূল প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। এটা পরীক্ষার শুরুর ১৫ দিন আগে থেকেই করার প্রস্তাব করা হয়।

 

পাঁচ. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা বাহিনীর লোকবল, অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত স্বল্পতার কারণে কাক্সিক্ষত নজরদারি করা সম্ভব না। দুষ্কৃতকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় না আনায় অন্যরাও অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছেন না। ফলে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ১৫ দিন আগে থেকে জোরদার করলে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা যাবে।

 

ছয়. বিটিআরসি কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন আপলোডকারীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলোকেও শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধান করে সুষ্ঠুভাবে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রধানদের সহযোগিতা চান শিক্ষামন্ত্রী।

 

প্রসঙ্গত, যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীন সব স্কুলে গত বছর থেকে অনলাইন প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে নবম শ্রেণির বার্ষিক ও এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর আগে বোর্ড থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষককের একটি পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। তিনি অনলাইন প্রশ্নব্যাংক থেকে প্রশ্ন নামিয়ে তৎক্ষণাৎ স্কুলে ছাপিয়ে পরীক্ষা নিয়েছেন। এ পদ্ধতিতে বোর্ডের অধীন প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলেও কোনো জটিলতা তৈরি হয়নি। এই অভিজ্ঞতা থেকেই প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 + seventeen =