স্টাফ রিপোর্টারঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে গ্লোবাল ফান্ড মনিটরিং এক্সপার্ট ডা. নজরুল ইসলাম অবৈধ অর্থ আদায়ে মিশন চরম আকার ধারন করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। দুর্নীতির কালো বিড়াল ডা. নজরুল এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে টাকা ছাড়া আর কিছুই বুঝে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধ টাকা আদায় করা তার কাছে এখন ওপেন সিক্রেট। তিনি এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে গ্লোবাল ফান্ড মনিটরিং এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ করার পরও তিনি পেয়েছেন তার পছন্দের পোস্টিং।
শুধু তাই নয়, তার খুঁটির জোর এতটাই যে, মন্ত্রণালয়ের আদেশও তিনি তোয়াক্কা করেন না। জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একাধিকবার তাকে আতœসাৎ করা অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বললেও তিনি তা মানেননি। ডা. মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, রাঙ্গামাটিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি বিপুল পরিমাণের অর্থ আতœসাৎ করেন। যা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়। একাধিবার মন্ত্রণালয় এবং রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন সেই অর্থ জমা দিতে বললেও তিনি তা জমা দেননি। এমন গুরুতর অনিয়ম-দুর্নীতির পরও গত ৯ নভেম্বর তার লিয়েনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি আবার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন। এ প্রসঙ্গে অভিযোগ আছে যে, ডা.নজরুল হয় দুর্নীতির তথ্য গোপন করেছেন নতুবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ তা জেনেও না জানার ভান করেছে। চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. নজরুল সম্পর্কে তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন, কলেজে তিনি কখনো ছাত্রলীগ কিংবা বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনীতি করতেন না। কিন্তু বর্তমান নিজেকে স্বাধীন চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কর্মী বলে জাহির করছেন। একাধিক স্বাচিপ পন্থী চিকিৎসক বিষয়টি লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ডা.সানিয়া তাহমিনাকে জানালেও অজ্ঞাত কারণে তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। একাধিক সূত্রে জানা যায় যে, ডা. তাহমিনার মদদে নজরুল সকল অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাও ডা. নজরুলের লিয়েনের আদেশ বর্ধিত করার ঘটনায় অবাক হয়েছে। তাদের মতে তথ্য গোপন করেই এটা করা হয়েছে। জানা গেছে, রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক তার সুপারিশ পত্রে ডা.নজরুলের অর্থ আতœসাতের বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। এহেন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি গ্লোবাল ফান্ড মনিটরিং এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত থাকলে দেশের ক্ষতি এবং ভাবমূর্তি ও সুনাম বিনষ্ট হওয়ার আশংকা করেছেন চিকিৎসকসহ অনেকেই।