এম এ বি সুজন/মাহমুদুল হাসান ঃ
রাজধানীর উত্তরা, উত্তরখান, বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান থানা এলাকায় নাম সর্বস্ব সাংবাদিক রূপে কতক দাগী চোর, পকেটমার, ছিনতাইকারী, ডাকাত দস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, ভন্ড প্রতারক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, হকার, মেকার, বেকার, ড্রাইভার, মিস্ত্রি, ফুটপাতের ক্যানভেসার, হোটেল বয় মেছিয়ার, জুয়ারী, অক্ষরজ্ঞানে শিক্ষিত, অশিক্ষিত চা পান দোকানদার, ২৯০ ব্যবসায়ী ও দালালদের অবৈধ অনৈতিক সাংঘাতিক প্রজনন দিনকে দিন বর্ধমান। ওসব সামাজিক কীড়া ও পীড়াদের উৎপাতে অতিষ্ট ঐ থানাসমূহের প্রতিটি জনবহুল জনপদ। এদের মধ্যে বহুল আলোচিত, স্বনামধন্য কুখ্যাত শীর্ষ তালিকাভুক্ত একজন দক্ষিণখান আশকোনা বাজার এলাকায় আত্মগোপন করে থাকা জসিম উদ্দিন চৌধুরী হায়দার একজন চিহ্নিত জাতীয় পর্যায়ের ভন্ড, প্রতারক, দলবাজ ও সামাজিক কুচালকারী। হায়দার নিজেকে একাধারে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটারস্ সোসাইটির সভাপতি, দৈনিক জনকন্ঠের সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার, নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী টিভির স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক রাহাত বার্তার বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক আলোর জগতের বার্তা সম্পাদক দাবী করে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপন ও নিউজের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছে সেইসাথে মোটা বান্ডেলে প্রেসকার্ড ও পিআইডি কার্ড বাণিজ্যের মত শত শত অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। অথচ বাস্তবতা বলে তার কোন নিউজ ও ভিউজ কিংবা পত্রিকা বলতে কোন চুতরাপাতাও নাই। হায়দার একজন সাংবাদিক নামের কলংক যেমন নিতান্ত ঠুটো জগন্নাথ বটে। তার হাতে সার্বক্ষণিক ধরে রাখা ডায়েরীটা পড়লে দেখা যাবে সেখানে বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ভিআইপি, কতিপয় আমলা ও অন্যান্য ক্ষমতাশীলদের নাম, পদবীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঠিকানা যাদের কথা বলে কিংবা ভয়ভীতি দেখিয়ে সে নির্লজ্জভাবে চাঁদাবাজি করে আর নানাখাতে সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের ১নং সহসভাপতি দাবী করে নিজেকে আরও কত ভুয়া রাজনৈতিক পদ পরিচয়ে দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সুরক্ষিত বাচাল হায়দার মাননীয় রেলমন্ত্রীকে নিজের ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু দাবী করে কথায় কথায়। সেই সুবাধে রেলমন্ত্রীর প্রতি নিজেকে রাজনৈতিক কৃপাদানকারী গালগল্প করে মন্ত্রীর সুপারিশে রেলের জমি বরাদ্দ আনা, সরকারী চাকুরী, প্রমোশন, বৈধ অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য, বিদেশ লোক পাঠানোর ছলচাতুরীতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে ঘোরতর অভিযোগ আছে ঐ হায়দারের বিরুদ্ধে। দক্ষিণখান আশকোনায় আবাসিক হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় জুয়ারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা, ওঠাবসা এবং লোক দেখানো সাংবাদিকতার আঁড়ালে হায়দার নিজেই ইয়াবার বড় বড় চালান পাচার করে বলে জানায় তার এক নিকট আত্মীয়। নিজের নানা অপরাধ ও কুকীর্তি ঢাকতে হায়দার বেহায়ার মত এলাকায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটারস সোসাইটি ঢাকা মহানগর উত্তরের ভুয়া কমিটির পোষ্টার ছাপিয়ে মিথ্যা প্রচারণায় ব্যস্ত আছে। এদিকে হায়দার চৌধুরীর সঠিক পদ পরিচয় জানতে চাইলে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটারস্ সোসাইটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব হেমায়েত হোসেন বলেন, হায়দার পলাতক আছে, সে আমার স্বাক্ষর জাল করে কার্ড বাণিজ্য করেছে। আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে তার এবং তার ভুয়া কমিটির কোন প্রকার সম্পর্ক, সংযোগ, সংশ্লিষ্টতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নাই। দলবলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত বিধি ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে, তাকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ জানাই। অন্যদিকে ঐ সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা হায়দার চৌধুরীকে আগে চিনতে পারিনি, তার মুখোশ খুলে গেলে তাকে সংগঠন থেকে বিতাড়িত করি, তদুপরি সে গোপনে অবৈধভাবে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারণা ও আমাদের বিরুদ্ধে নানারকম প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। অতি নিকট ভবিষ্যৎ জানান দেবে তার কুকর্মের করুণ আইনসিদ্ধ পরিণতি। নির্মম ভন্ড প্রতারক সর্বদাই উভয়পক্ষ দ্বিমূখী হায়দার হইতে সাবধান! মদ্যপ ইয়াবাসেবী হায়দার প্রতারক ও দালালচক্র থেকে সতর্ক সজাগ থাকুন। তার সঠিক অবস্থান, গতিবিধিসহ আরও তথ্য দিন। তার চরিত্র নিয়ে এলাকার সুশীল সাংবাদিকদের মন্তব্য; বংশগত নিয়মরীতিতে নৈতিক স্খলনজনিত কারনে একজন জঘন্য অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার এড়াতে, ক্ষতিগ্রস্ত ভূক্তভোগিদের মামলা, হামলা ও গণধোলাই থেকে বাঁচতেই নিজেকে মনগড়া সাংবাদিক নেতা দাবী করে ঐ ভন্ড প্রতারক জসিম উদ্দিন চৌধুরী হায়দার এবং অচিরেই তার মত আরও আছে যত ও যত্তসব অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী আত্মস্বীকৃত রাষ্ট্রীয় লেখক সাংবাদিক নামের দূর্বৃত্তদের তালিকা করে ঐ গুরুপদে গরুদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করবে এলাকার সচেতন সাংবাদিক মহল।