দক্ষিণখানে অবৈধ সমিতি ও ভুয়া বায়িং ব্যবসার আঁড়ালে জুয়া, মাদক ও দেহ ব্যবসায় সেলিম

0
940

মাহমুদুল হাসান ঃ
রাজধানীর  দক্ষিণখান গাওয়াইর বাজারে আজহার উদ্দিন সেলিম নামক এক ঘৃণিত চিহ্নিত মাদকসেবী, জুয়ারী, সুদখোর ও ২৯০ দালাল হিসেবে তার ৩৭০নং আমির প্যালেস নিজস্ব ভবনের নীচতলা ও দোতলায় কঠোর নিরাপত্তায় অবৈধ পলিসি সমিতি, উচ্চহারে অবৈধ সুদের ব্যবসা, কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ও ভুয়া বায়িং ব্যবসার আঁড়ালে জুয়ার বোর্ড, দেহ ব্যবসা, মাদকের আড্ডাসহ নকল, অবৈধ ও নিষিদ্ধ খাদ্যপন্য গুদামজাত করে বহুমুখি অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে ঐ সেলিমের বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেলিমের পালিত গুন্ডা নিরপত্তা বাহিনী প্রতিদিন ভবনের গেট খোলে সকাল ১০টা বন্ধ করে বেলা ১২টায়। আবার রাত ৮টায় খুলে ব্যবসা চলে রাতভর হরদম। গেট খুললে দেখা যায় শুধু ২টি কক্ষ ১টিতে বায়িং এর ছোট্ট শোরুম অন্যটি উঠন্ত রবি সমিতির অফিস কক্ষ। বাকী সবরুমে  আওয়াজ শোনা যায় কিন্তু রুম গুলো ব্যাংকের ভোল্ট সিস্টেমে তালাবদ্ধ। সমিতির নামে ১০ জন আর বায়িং এ নিয়োগ আছে ৭ জন মোট ১৭টি যুবতি মেয়ে আছে সেখানে যাদের প্রত্যেকের বয়স ১৫-২৫ বছর। রেটচার্ট অনুযায়ী টাকার বিনিময়ে মেয়েরা দেহ বিলিয়ে দেয়; বিকৃত রুচিতে রোমান্স করতে বাধ্য করা হয় এবং মেয়েরা নিজ হাতে মাদক মদ, ইয়াবা ও গাঁজা পরিবেশন করে থাকে বলে জানায় সেখানে আটক একটি মেয়ে। সেলিমের আশুলিয়া জিরাবোর বাড়ীতেও ৫০০ টাকা ঘন্টায় ইয়াবাসেবি ও যৌনকামীদের নিকট রুম ভাড়া দেয় আর ঐ মাদক ও দেহ ব্যবসা সেলিমের বউ আক্তারুন্নাহার পরিচালনা করে বলে জিরাবো সূত্র জানায়। ইতিমধ্যে গাওয়াইরে আরও তথ্য নিতে গেলে সেলিম ও তার পালিত সন্ত্রাসীসহ ললনারা আমাদের উপর রেগে তেলেবেগুনে চড়াও হয়, জানতে চায় কে খবর দিয়েছে, একদম জানে মেরে ফেলবো ইত্যাদি বলে হুমকি ধমকিও দেয়। পরে ০১৯৮৯৩৯৭১০২ নম্বর থেকে দফায় দফায় ভয়ভীতিজনক হুঁশিয়ারি দিতে থাকে। দক্ষিনখানের অলি/গলিতে গড়ে উঠছে কথিত সমবায় সমিতি। সরেজমিন ঘুরে এরকম প্রায় শতাধিক ভুয়া সমিতির সন্ধান পাওয়া গেছে। সমিতি রেজিঃ থেকে শুরু করে অবৈধভাবে গ্রাহক, সংগ্রহ। ঋণ কার্যক্রম চালানোর নামে উচ্চ সুদ আদায় করে যাচ্ছে। ঋণ ও মাত্রাতিরিক্ত সুদ পরিশোধে ব্যর্থ ব্যক্তিদের উপর চালানো হয় গুরুতর নির্যাতন। গাওয়াইর কাঁচাবাজারের সাথে নিজ বাসার নিচে উঠন্ত রবি নাম দিয়ে চরা সুদে অবৈধ ঝণ কার্যক্রম চালিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মালিক সেলিমের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিত্বে যাওয়া মিডিয়া কর্মীদের কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকদের কিসের কাগজ দেখাবো, আমাকে চিনেন? ভালো চানতো চলে চান, নইলে খবর আছে। এ ব্যপারে অপর একজনকে মোবাইলে বলেন, সমবায় মন্ত্রনালয় ছাড়া, পুলিশও আমার কাগজ দেখতে পারবেনা। এক পর্যায় ওই সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় সেলিম এবং আজ সকাল ১০ ঘটিকায় সাহস থাকলে উঠন্ত রবির সামনে আসতে বলে। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্হিত হলে সেলিম গোপন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। উঠন্ত রবিতে উঠন্ত বয়সের কিছু ফুটন্ত গোলাপ যুবতি মাঠকর্মী রয়েছে, তারা সমিতির অফিসেই নিয়মিত বসবাস করে অনৈতিক অসামাজিক কাজ করে। স্হানীয় ব্যক্তিদের হতে জানা যায়, সেলিমের বাড়িতে দিন/রাত অপরিচিত যুবক/যুবতীদের আনাগোনা লেগেই  থাকে, তার বাড়ি তার ঘর কে কি বলবে। সেলিমের দেশের বাড়ি নোয়াখালী। দক্ষিণখানে বাড়ি থাকলেও নিয়মিত আশুলিয়া থাকায় এলাকার অনেকেই  তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেনা, জানলেও ভয়ে মুখ খুলছে না অনেকে। সুদের টাকা পরিশোধকে কেন্দ্র করে প্রায়ই তার বাড়ির আন্ডার গ্রাউন্ডের গোপন টর্চার সেলে নিয়ে গুরতর নির্যাতন করলেও থানায় যেতে সাহস পায়না নির্যাতিত পরিবার।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 2 =