বাংলাদেশে এমন কোন আদালত নেই যে আমাকে আটকিয়ে রাখবে..সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমনের আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষন মামলার বাদীনি

0
1339

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
বাংলাদেশে এমন কোন আদালত নাই যে আমাকে জেলহাজতে আটক করে রাখবে এমন বক্তব্য দক্ষিনখানে প্রকাশ দিচ্ছে ওই এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমন ওরফে আদনান সুমন। তার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ দক্ষিনখানবাসী। কোর্ট ও থানায় একাধিক মামলা ও জিডি হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবু তার অপকর্ম থেমে নেই। প্রবাসী এক নারীর ভাইয়ের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে তাদের বাসায় যাওয়া আসা করে। এরপর প্রবাসী ওই নারীর ফোন নাম্বার তার ছোট ভাই রাসেলের ফোন থেকে চুরি করে নিয়ে সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব। এরপর ওই নারী তার প্রস্তাবে সারা না দেওয়া তাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যাক্ত করে আসতো। তখনো যখন সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমনের প্রস্তাবে সারা দেই নাই প্রবাস থেকে আসা রওশন আক্তার তখনই তার বাসায় অনাধিকার ভাবে প্রবেশ মারধর করে ধর্ষন করে। ধর্ষনের সময় দস্তাদস্তি করে সন্ত্রাসীরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানসহ দুই হাতে ধারালো ব্লেড দ্বারা কেটে দেয়। পরে এ নিয়ে মামলা করে ভিকটিম রওশন আক্তার। মামলা করেও তাদের অত্যাচার নির্যাতন ও হুমকি থেকে রেই পাচ্ছেন না। বর্তমানে তাদের ধারাবাহিক হুমকি বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই ধর্ষন মামলার বাদীনি রওশন আক্তার। এমনকি সন্ত্রাসী কাইল্ল্যা সুমনের অত্যাচারে রওশন আক্তারের পরিবারের অন্য সদস্যরাও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। স্বপরিবারে হত্যার হুমকী দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। সূত্রে জানায়, দক্ষিণ খান থানার রোড নং ১৭৭, বাড়ী নং-৪৮/১ সি-২ এর বাসিন্দা মো: দলি বেপারীর প্রবাসে স্বামী পরিত্যাক্তা কন্যা মোসাঃ রওশন আক্তার (৩০) এক পুত্র ও বাবা মাকে নিয়ে আনন্দে ও সুখেই বসবাস করে আসছিল। প্রবাসী ফেরৎ রওশন দেশে এসে তার জীবনে নেমে এলো কালো মেঘের আধাঁর। তার উপর দৃষ্টি পড়ে এলাকার এক বখাটে যুবক আদনান সুমন ওরফে কাইল্ল্যা সুমনের। পরিবারের লোকদের অনুপস্থিতে একদিন আকস্মীকভাবে রওশনের বাসায় প্রবেশ করে এই বখাটে। তাকে শারীরীকভাবে নির্যাতনের পর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তার সাথে যৌনমিলনের সময় দস্তাদস্তির একপর্যায়ে রওশনের হাত ও শরীরের অনেকাংশে ব্লেড দিয়ে ক্ষত করে ফেলে রাখে ওই বখাটে সুমন। এমনকি তার যৌনাঙ্গেও মারাত্মকভাবে আঘাত করে। ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় এমনও হুমকি দিয়ে যায়। এ নিয়ে যদি বাড়াবাড়ি বা মামলা মোকাদ্দমা করে এবং কারো সাথে মুখ খুলে তাহলে তাকে ও তার পরিবারের সমদস্যদের রাস্তায় বিবস্ত্র করে হাটাবে এবং হত্যা করবে। রওশন জানায়, বখাটে সুমন প্রতিদিনই তাদের বাসায় এসে তাকে উত্যাক্ত করতো। তার বাহিনীর ভয়ে সে মূখ খুলতে সাহস পেতো না। উপায় না পেয়ে রওশন আক্তার সন্ত্রাসী বখাটে আদনান সুমন ওরফে কাইল্ল্যা সুমন বিরুদ্ধে ঢাকার দক্ষীণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর- ০৩ (০৪) ২০১৬ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সং-২০০৩) এর ৯ (১) /৩০ এর ধারায়। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গত ৭ এপ্রিল ২০১৬ ইং তারিখে সুমনকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করেন। ঢাকার মহানগর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এক মাস কারা ভোগের পর ৫ মে ২০১৬ ইং তারিখে জামিনে বেড়িয়ে এসে আবারো বেপোরোয়া হয়ে পড়ে এই বখাটে সুমন। গত ১৬ মে ২০১৬ তারিখে আসামী সুমন ও  দক্ষিণ মোল্লারটেকের ২নং রোডের বাসা নং-৬ এর মো: কাসেম এর পুত্র বাবু (৩৪) অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন যুবক রাস্তাঘাটে মারধর ও উত্যাক্তসহ নানা রকম হয়রানি করে থাকে। ওইদিনই তারা দলবলে রওশনদের বাসায় প্রবেশ করে বলে মামলা তুলে নিতে নয়তো স্বপরিবারে হত্যা করবে বলে হুমকী দিয়ে গেছে। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় থেকেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধারেখে রওশন আক্তার নিজেই দক্ষিণখান থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারন ডাইরী করেন। যার নং ১০৪৭, তারিখ ১৭ মে ২০১৬। এমনতাবস্থায় রওশন আক্তার তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন রওশনের পরিবার। রওশন আক্তারে এক অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, যৌতুকের বলি হয়ে রওশন একজন স্বামী পরিত্যাক্তা। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরলে রাজধানীর দক্ষিনখানের পুলিশের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী আদনান সুমন ওরফে কাইল্যা সুমন ও তার সহযোগি বাবু’র কু নজরে পড়ে। বিভিন্ন সময় উক্ত সন্ত্রাসীরা কুপ্রস্তাব দিলে তাতে রওশন রাজি না হওয়াতে গত ১৪/০৩/২০১৬ ইং তারিখ রাত ৯ ঘটিকার সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের অনুপস্থিতে তার বাসায় কাইল্যা সুমন ও বাবু আকস্মীকভাবে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। ওই অভিযোগে রওশন জানান, পিস্তল ও ছোরা দেখিয়ে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে শারিরীকভাবে নির্যাতনের পর জোরপূর্বক ধর্ষন করে সন্ত্রাসীরা তার সম্ভ্রম কেড়ে নেয়। রওশনের সাথে যৌনমিলনের সময় দস্তাদস্তির একপর্যায়ে তার হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে দেয় ওই সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমন ও বাবু। এমনকি তার যৌনঙ্গেও সন্ত্রাসীরা মারাত্মক জখম করে। যাহা ডাক্তারী পরিক্ষায় প্রমানিত হয়েছে। ঘটনার দিন সন্ত্রাসীরা বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনে হুমকি দিয়ে বলে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি বা মামলা মোকাদ্দমা করলে পরিবারের অন্য সদস্যেরও ক্ষতি করবে। এমনকি মাদক, নারীর দেহ ব্যবসার অভিযোগ তুলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবে। এ বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে দক্ষিনখান থানায় অভিযোগ করতে গেলে স্থানীয় রিপন নামে এক নেতা উক্ত বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে আশ্বাস দিয়ে আর মামলা করতে দেয়নি। তার কাছে সহযোগিতা তো দুরের কথা কালক্ষেপন করে বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হন তিনি। সে জন্য রওশনকে আইনের আশ্রয় নিতে বিলম্ভব হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর দক্ষিনখান থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তার মামলাটি নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এরপর গত ২১/০৩/২০১৬ ইং তারিখ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১ নং আসামী কাইল্যা সুমন ওরফে আদনান সুমন ও বাবুকে ২ নং আসামী করা হয়। যার মামলা নং ৭৮/২০১৬, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০(সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারা। মামলা করার পর বিভিন্ন সময়ে উক্ত সন্ত্রাসীরা রাস্তায় রওশন আক্তাকে উত্যাক্ত করতে থাকে। গত ০৬/০৪/২০১৬ ইং তারিখ রওশন আক্তারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে গলায় থাকা একটি সোনার চেইন ও হাতব্যাগে থাকা ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে রওশন বাদী হয়ে উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দক্ষিনখান থানা ডিএমপি, ঢাকায় একটি নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৬/০৪/২০১৬ ইং। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর মামলা নং ৭৮/২০১৬, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০(সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারার মামলার প্রেক্ষিতে দক্ষিনখান থানা পুলিশ গত ০৭/০৪/২০১৬ ইং তারিখে কাইল্যা সুমনকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করেন। ঢাকা মহানগর আদালত সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমনকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। রওশন আক্তার স্বতিত্ব কেড়ে নিয়েও ক্ষ্যান্ত হয় নি এই চক্রটি। গত ১০/০৪/২০১৬ ইং তারিখ রাত প্রায় ৯ টায় অসুস্থ বাবার ঔষধ কেনার জন্য দোকানে গেলে কারাগারে ওই সময় থাকা কাইল্যা সুমনের নিদের্শে তার অনুসারী বাবু ও জসিমসহ আরো ২ জন অপরিচিত সন্ত্রাসীরা রওশন আরার পথগতিরোধ করে। ওইদিন সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে বলে মামলা না তুললে এসিড মেরে শরীর ঝলসে দিবে। এ বিষয়ে দক্ষিনখান থানায় একটি জিডি করে রওশন আক্তার। যার জিডি নং ০৭, তারিখ-১১/০৪/২০১৬ ইং। এরপরও থামেনি সন্ত্রাসীরা। পূনরায় গত ০২/০৫/২০১৬ ইং তারিখে কাইল্যা সুমনের পরিবারের সদস্যরা ও তার অনুসারীরা রওশন আরার ছোট ভাই রাসেলকে রাস্তায় আটকিয়ে বেধরকভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এ ঘটনার জন্য গত ০৩/০৫/২০১৬ ইং তারিখ সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমন, জহির, জসিম, মিসেস জসিম, শহিদুল্লাহ, মিসেস শহিদুল্লাহ, শরীফ ও বাবুকে বিবাদী করে বিজ্ঞ সিএমএম আদালত, ঢাকায় ৩২৩/৩৭৯/১০৯/৫০৬ দঃ বিঃ ধারায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১১২/২০১৬। এক মাস কারাভোগের পর গত ৫ মে ২০১৬ ইং তারিখে জামিনে বের হয়ে এসে আবারো বেপরোয়া হয়ে পড়ে সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমন। গত ১৬ মে ২০১৬ ইং তারিখে কাইল্যা সুমন ও দক্ষিনখান মোল্লারটেকের ২ নং রোডের বাসা নং ৬ এর মোঃ কাসেমের পুত্র বাবুসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন যুবক রাস্তা থেকে রওশন আক্তারকে ধরে নিয়ে জেনারেটর রুমে আটক রেখে মারধর সহ নানা রকম শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। ওইদিনই কাইল্যা সুমনের দলবল রওশন আক্তারে বাসায় প্রবেশ করে মামলা তুলে নিতে বলে না হয় স্বপরিবারে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। এরপর রওশন নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে দক্ষিনখান থানায় হাজির হয়ে আরেকটি জিডি করেন। যার নং ১০৪৭, তারিখ-১৭/০৫/২০১৬ ইং। দক্ষিনখান থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ জহির রায়হান জিডিটি তদন্তপূর্বক সত্যতা স্বীকার করে গত ১২/০৬/২০১৬ ইং তারিখে বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়াও গত ১১/০৭/২০১৬ ইং তারিখ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ জহির রায়হান আদালতের নির্দেশে তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা আছে মর্মে আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আরো জানা গেছে, গত ২৮/০৭/২০১৬ ইং তারিখে বেলা ১০:৩০ মিনিট সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমন, বাবু, জসিম, বখতিয়ার উদ্দিন সোহেল মিলে দক্ষিনখান থানার কতিপয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে রওশন আক্তারে বাসায় প্রবেশ করে মাদক আছে বলে দাবী করে তল্লাসী অভিযান চালায় এবং রওশন আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। ওইদিন পুলিশ তার বাসায় তল্লাসী করে কিছু না পেয়ে উল্টো ওই চারজন সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়েও দক্ষিনখান থানা পুলিশ একটি সাধারন ডায়েরী করেন। রওশন আক্তার প্রধানমন্ত্রী কাছে পাঠানো এক অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার পিতা-মাতা ও ভাই বোনদের পথে ঘাটে আটকিয়ে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতে থাকে এবং আমাকে আমার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে কুখ্যাত এই সন্ত্রাসীরা। তাদের অত্যাচারে গোটা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাদের অবৈধ অস্ত্রের মহড়ায় এলাকার সাধারন মানুষ ভয়ে তটস্থ থাকেন সবসময়। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসা ও সেবনকারী, অস্ত্র ব্যবসা এবং অসহায় নারীদের ফুসলিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঁচার করেও থাকে তারা। তারা সকল ধরনের অপকর্মে সাথে সক্রিয় আছে। সাধারন মানুষ রাস্তায় চলতে গেলেও তাদেরকে টেক্স দিতে হয়। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া খুনি হিসাবে কাজ করে থাকে তারা। কাইল্যা সুমন রাস্তার ফুটপাতের দোকানীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত মারধর করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। সুমন ও বাবুর রয়েছে সশস্ত্রবাহিনী। তাদের কথায় অবাধ্য হলে লোকজনকে ধরে নিয়ে জেনারেটর রুমে চালায় স্ট্রীম রোলার এবং জিম্মি করে মুক্তিপনও আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারন নিরীহ মানুষ আতংকিত থাকে সবসময়। ওই অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও নারীর দালাল হিসাবে এক নামে সবাই চিনে কাইল্যা সুমন ও বাবুকে। সন্ত্রাসী কাইল্যা সুমনের অত্যাচারে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমাকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি গত ২৫/০৯/২০১৬ ইং তারিখ কাইল্যা সুমন জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আমার পরিবার ও আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে রওশন আক্তার তার বাসা বাড়ি ছেরে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে এলাকার অনেকেই জানান, কাইল্যা সুমন দক্ষিনখান এলাকায় অনেকদিন যাবৎ বিভিন্ন অপকর্মে সাথে জড়িত রয়েছে। এ ঘটনারদিন আমরা শুনেছি কাইল্যা সুমন ও বাবু এবং আরো কয়েকজন মিলে এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকার কয়েকজন স্কুলের ছাত্ররা রওশন আক্তারকে হাসপাতাল ভর্তি করায়। এমনকি প্রতিনিয়ত তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। তবে এ ব্যাপারে রওশণ আক্তার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেন। এবং ন্যায় বিচার দাবী করেন। এ ব্যাপারে আমাদের ব্যাপাক অনুসন্ধান চলছে। আগামী সংখ্যায় স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্যসহ প্রকাশ করা হবে। (চলবে)

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × five =