মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে চলছে নির্বিচারে গনহত্যা। মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও সরকারী বাহিনীর ত্রিমুখী নৃশংসতায় দেশহারা রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানরা। এ নৃশংস হত্যাকান্ডে জাতি সংঘ,ইইউ. সহ অন্য শান্তির অন্বেষনের দাবীদার সংগঠনগুলো দায়সারা বিবৃতী দিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে চায়। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রত্যাহার অথবা ভেটো বর্তমান সদস্যদের সমপরিমান সদস্য মুসলিম উন্নতশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সমন্বয়ে ভেটো প্রদানের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করলে মুসলিম হত্যার মহাপরিকল্পনা প্রতিহত করা সম্ভব। আজ সকালে বাংলাদেশ কৃষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিয়ানমারে মুসলিম হত্যা বন্ধের দাবীতে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনরে চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান যথাক্রমে মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ভিপি মিজানুর রহমান , মহাসচিব খন্দকার মাসুদ-উজ-জামান, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন মিয়ানমারের নেত্রী অংসান সুচি তার দেশের মুসলমানদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে অনলাইনের দাবী অনুযায়ী নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তারা বলেন তা’না হলে নোবেল পুরস্কার প্রদানকারী কমিটি বিতর্কীত হয়ে পরবে। বক্তারা বলেন বাংলাদেশের নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর তাদের সমর্থিত রাজনৈতিক দল হামলা করলো আবার শিষ্টাচার বর্হিভূত হিন্দুস্থান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বোগ প্রকাশ করছে। অথচ রোহিঙ্গা মুসলমানদের গনহত্যায় তারা মুখে কুলুপ এটে বসে আছে। তারা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবেশেষে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর এ হত্যাকান্ড বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশের তিন দিকে মানবতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র দ্বারা পরিবেশিষ্টত তার মাঝে বিশ্ব মুসলিম রাষ্ট্রের ও নাগরীকের কতর্ব্য পাশের রাষ্ট্রের অসহায় মুসলমানদের নিরাপত্তা ও আশ্রয় দেয়া। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব মিয়ানমার, বাংলাদেশ, হিন্দুস্থান নির্যাতনের শিকার মুসলমানদের রক্ষায় মুসলিম বিদ্বেষী রাষ্ট্রের সকল পণ্য বর্জন করা। তাহলে বিশ্ব জুড়ে মুসলিম বিদ্বেষীদের চক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তিনি আরো বলেন মিয়ানমার সরকার এ হত্যাকান্ড বন্ধ ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের ব্যবস্থা না করলে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। তিনি বলেন নাসিরনগর ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জসহ সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে দখলদার চক্রের যে হামলা চলছে তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত পুর্বক অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান। মহাসচিব খন্দকার মাসুদ-উজ-জামান বলেন ইসলাম দূর্নীতি, দূবৃৃৃৃত্তায়ন, মাদক ব্যবসা, নিরীহ মানুষের উপর হামলা ও ন্যায় বিচার বর্হিভুত শাস্তি বিচারবর্হিভূত হত্যা ও অন্যের সম্পদ জবরদখলের মদদ দেয় না বলেই মুসলমানদের উপর হামলা, নির্যাতন ও অপহরণ করা হয়। কাজেই মিয়ানমারের মুসলমানদের গনহত্যা বন্ধ করতে মুসলমানদেরই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
হোম অপরাধ এক্সক্লুসিভ মিয়ানমারে মুসলিম গনহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ ব্যর্থ, গনহত্যা বন্ধে মুসলমানদেরই উদ্যোগ নিতে হবে...