আজিজ মিছির সেনবাগের অন্যতম শিক্ষিত ও সজ্জন ব্যক্তিত্ব

0
1347

মোঃ আবু তাহের পাটোয়ারী ঃ
নোয়াখালীর সেনবাগের শিক্ষিত, সজ্জন ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে আজিজ মিছির এখন বিরল সুখ্যাতির অধিকারী। একজন নিয়মনিষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল সামাজিক অনুশাসনের কঠোর অনুসারী এই মানুষটিকে নিয়ে সেনবাগের সুশীল ও বিদগ্ধ মহলেও এখন দেখা দিয়েছে বিস্তর উচ্চাশা। যদিও জীবনের পুরো সময় ধরেই তিনি নিজের সংসার ধর্ম ও ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার গড়ার সুদূরপ্রসারী এক কর্মপরিকল্পনা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করার কাজেই ব্যস্ত ছিলেন, তা সত্ত্বেও সমাজের সচেতন মানুষের কাছে নিঃসন্দেহে পারিবারিক অনুশাসনের বিরল এক রোল মডেল উপস্থাপন করতে পুরোপুরি সক্ষম হয়েছেন বলে তার সুহৃদ-শুভার্থীদের বিশ^াস। একথা সত্য যে, শিক্ষা-দীক্ষা ও মেধা-মননের পরিশীলিত চেতনা বিকাশের ক্ষেত্রেও সুশৃঙ্খল পারিবারিক অনুশাসনের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। যে শিশু সুশৃঙ্খল পারিবারিক অনুশাসনের গন্ডির মধ্যে থেকে বড়ো হয় সে শিশু কখনও বিপথগামী হতে পারে না। যুক্তিগ্রাহ্য সমাজ-তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণেও দেখা যায়, শিশুর মেধা-মনন ও মানসগঠনে সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশের রয়েছে অপরিসীম প্রভাব। বলা যায়, শিশু মননের সার্বিক বিকাশেও সুশৃঙ্খল পারিবারিক এই অনুশাসন অত্যন্ত অপরিহার্য। অত্যন্ত সজ্জন, বিদগ্ধ ও মৃদুভাষী ব্যক্তিত্ব আজিজ মিছির নিজের সন্তানদের এই নিয়মনিষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল পারিবারিক অনুশাসনের পরিশীলিত পরিবেশের মধ্যে প্রতিপালিত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে তার ছেলেÑমেয়েরা প্রত্যেকেই উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ-বিদেশের কর্মক্ষেত্রে প্রভূত যশ-খ্যাতি অর্জন করেছেন। বলা যায়, একজন আদর্শ পিতার যোগ্যতম সন্তান হিসেবেই তারা এখন নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। জন্মগত সূত্রেই আজিজ মিছিরের ছেলে-মেয়েরা বাংলাদেশের চিরায়ত ঐতিহ্য নির্ভর পারিবারিক ও সামাজিক নিয়ম-নীতির প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল। ফলে সুশৃঙ্খল জীবনধারার নিরিখে তাদের মধ্যে বহুমুখী মেধা-মননের বিকাশ ঘটে। ৩ সুযোগ্য সন্তানের তিনি গর্বিত পিতা। তার মধ্যে এক মাত্র মেয়ে ডাঃ শাহনেওয়াজ আক্তার সবার বড়। তিনি এববিবিএস সম্পন্ন করে এমফিল শেষ বর্ষে কৃতিত্বের সঙ্গে অধ্যয়নরত রয়েছেন। তার স্বামী ডাঃ হুমায়ুন কবিরও চিকিৎসা পেশায় সুনাম ও দক্ষতা অর্জন করেছেন। তিনি নোয়াখালীর রামগঞ্জের এক সুপ্রসিদ্ধ পরিবারের সন্তান, তাদের একমাত্র সন্তান হুজাইফা সারার রহমান। আজিজ মিছির ব্যাংকিং এর ওপর সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেছেন এবং  তিনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ও সম্পন্ন করেন। বর্তমানে সুখ্যাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন। তার বড় ছেলে মাইনুন আহসান কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কানাডায় দক্ষতার সঙ্গে কর্মরত রয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। তিনি বর্তমানে এক সন্তানের জনক। আজিজ মিছিরের কনিষ্ঠ ছেলে হচ্ছে সালমান বিন আজিজ। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ কৃতি ছাত্র হিসেবে সে অধ্যয়নরত। সেনবাগের অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও সুযোগ্য পিতা হিসেবে সকলের কাছে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন আজিজ মিছির। চট্টগ্রামের কাজিম আলী হাই স্কুল থেকে তিনি ১৯৬৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন । নোয়াখালীর চৌমুহনী কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী করাচী চলে যান এবং স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অধীনের চাকরি জীবন শুরু করেন। চাকরির পাশাপাশি করাচী বিশ^ বিদ্যালয়ে তখন তিনি পড়াশুনাও চালিয়ে যেতে থাকেন। সেই বিশ^বিদ্যালয় থেকে তিনি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ১৯৭০ সালে। এরই মধ্যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে অন্যান্য বাঙ্গালীদের মতো তিনিও পাকিস্তানে আটকা পড়ে যান। ১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে যোগদান করেন। সুযোগ্য অফিসার হিসেবে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তিনি অবসর গ্রহন করেন। আজিজ মিছির পরবর্তীতে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব চলে যান। ১৯৮০’র শেষ দিক থেকে তিনি সৌদি আরবের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের একাউন্টস বিভাগে কিছু সময় চাকরি করেন। পরে ১৯৮২ থেকে ’৯৪ সাল পর্যন্ত সৌদিতে তিনি ইন্দো-সুইজ ব্যাংকে কর্মরত থাকেন। ১৯৯৪ সালে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি বহুমুখী ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। শেয়ার এর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গেও তার রয়েছে বিশেষ সংশ্লিষ্টতা। শেয়ার ব্যবসায় তিনি প্রভূত সফলতাও লাভ করেন। তার মালিকানাধীন ঢাকা স্টক এক্স”েঞ্জের ইত্তেহাদ সিকিউরিটিজ এখন দেশের ব্রোকারেজ হাউসের অন্যতম প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বিদেশ থেকে ফল ও অন্যান্য সামগ্রী আমদানীর ক্ষেত্রেও আজিজ মিছিরের রয়েছে দীর্ঘদিনের সুখ্যাতি। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাবশ্যকীয় বাণিজ্যিক কৃষি পণ্যাদি আমদানীর ক্ষেত্রে তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আবার কোনো কোনো দেশে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি পণ্যাদি রপ্তানীও করেছেন। সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় দেশের অন্যতম পত্রিকা অপরাধ বিচিত্রা এ প্রতিনিধির। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেন। কাঙ্খিত উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা নিশ্চিতকল্পে দক্ষ জনশক্তিই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেজন্য পরিকল্পিত শিক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরের চাহিদা মাফিক বিশেষজ্ঞ তৈরী করার বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা প্রবর্তনের বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে তিনি সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টির বাস্তবায়ন আজকের প্রেক্ষাপটে একান্তই অপরিহার্য বলে আমরাও বিশ^াস করি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 − eleven =