বঙ্গবন্ধু গবেষক প্রতিভার নক্ষত্র পুলিশের সদস্য মোঃ আবু বকর মোল্লা

0
1176

মোঃ নাসির উদ্দিন মাসুদঃ
বীরত্বের সাথে এবং সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ মাত্র ৯ মাসে নিজের ভূখন্ডকে স্বাধীন করে। জন্ম নেয় বিশ্বের মানচিত্রে মুসলমান রাষ্ট্র বাংলাদেশ বিশ্বের সকল দেশের নজর তখন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের একজন কৃতি সন্তানের দিকে। তাদের মতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে শুধু সেই কৃতি সন্তানের জন্যে, যিনি না থাকলে বাংলাদেশ স্বধীন হতো না, এদেশের মানুষ সারাজীবণ থাকতো অবহেলিত, বঞ্চিত, শোসিত, নির্যাতিত। তিনি হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী,  জাতির পিতা , বিশ্বনেতা, বাংলাদেশের রুপকার  বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। সেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে নিয়ে বিশ্বের ও এদেশের প্রতিভাবান, গুনী ও মহান কবিগণ, সাহিত্যিকগণ ও উপন্যাসিকগণেরা অনেক কবিতা, গান ও সাহিত্য এ মহান নেতার জীবনীর উপর রচনা করেছেন। তাদের মধ্যে একজন গুনী, প্রতিভাবান, মহান কবি, ছড়াকার, গল্পকার, উপন্যাসিক মোঃ আবু বকর মোল্লা। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে গবেষণা করে এদেশের নতুন প্রজন্ম সহ বিশ্ববাসীকে চমক দেখানো সফলতা অর্জন করে। তাই তাহাকে বাংলাদেশের সফলতম বঙ্গবন্ধু গবেষক বলা যায়।
মহান বঙ্গবন্ধু গবেষক:- ১৯৭৭ সালে ২০ জুলাই রাজশাহী জেলার অন্তর্গত বাগমারা থানাধীন  ভটখালী গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু বকর মোল্লা জন্মগ্রহণ করেন। তাহার পিতা মুহাম্মদ মেহের আলী মোল্লা ও মাতা জামেনা খাতুনের চতুর্থ সন্তান এই মহান বঙ্গবন্ধু গবেষক। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন উদার, সত্যবাদী, পরোপকারী, নির্লোভী ও চরিত্রবান। অত্যন্ত দূরন্তপনা ও সাহসীকতার মধ্যে দিয়ে দেশের সেবা ও মানব সভ্যতার জ্ঞান সম্প্রসারনের নিজেকে সম্পৃত করা অভিপ্রায় নিয়ে বেড়ে উঠেন। তাই তিনি ১৯৯৬ সালের ২৯শে জুন মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় হাজির হন। ৬ মাস মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করে ১৯৯৭ সালের ১০ তারিখে মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন। শুরু হয় নতুন অধ্যায় সমাজ ও মানব সেবা, কিন্তু অনেক  কঠোর পরিশ্রমের মাঝেও তিনি লেখালেখি চালিয়েছেন অবসর মুহুর্তগুলোতে। একাডেমিক শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে পড়া এ মানুষটি জ্ঞান অর্জনে ছিলেন সত্যিই অতুলনীয়। পুলিশ বিভাগের গৃহীত সকল প্রকল্পে তিনি সুদৃঢ়তার সাথে তাহার দ্বায়িত্ব পালন করে, অল্পদিনের মধ্যে তাহার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের নিকট থেকে অনে ক প্রশংসা লাভ করেন। অবসর মুহুর্তগুলো কলম হাতে লেখার মধ্যে মগ্ন থাকতেন। এরই মধ্যে তিনি অসংখ্য কবিতা, উপন্যাস,  ছোট গল্পে,  রচনা করেছেন। এর মধ্যে বিশেষ করে তাহার প্রকাশিত উপন্যাস “সিড়ি ঘর” ছোট গল্পে “সেই তুমি এলে”  “অভিমানি যুথিকা”  “কলেজ চত্বর” “অপেক্ষা” ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কবিতার মধ্যে “গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে বলছি, “দুখিনী মা”, সুখে থেকো,” “স্মৃতি” “অব্যক্ত ভালবাসা” ফেরারী মন” “তবুও আমি মানুষ” ও ধরীত্রি মাতা” ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমান সময়ে তাহার উপন্যাস “অবশেষে তুমি” ও তিমির রাত্রি ও কবিতা  “প্রেয়সী” প্রকাশের পথে। এই গুনী মানুষটি দীর্ঘদিন ধরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনী নিয়ে গবেষনা করেছে। তিনি তার শ্রম, মেধা নিষ্ঠার সাথে সর্বাত্বক প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনী অবলম্বনে ২৪১৯২ পংতি বিশিষ্ঠ বিশ্বের সর্ব বৃহৎ একটি কবিতা রচনা করেন, যাহা বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির জন্য একটি বিশাল অর্জন। তাহার এই রচিত কবিতা যদি বিশ্বের দরবারে কবিতা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করলে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে প্রথম  স্থান লাভ করবে। এর প্রধান কারণ বা উৎস হচ্ছে এটি বিশ্বের সর্ব বৃহৎ কবিতা।
গিনেস বুক অব ওয়াল্ডে প্রথম স্থান প্রত্যাশী:- বর্তমানে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে সর্ব বৃহৎ কবিতা হিসেবে ৬০৪৪ পংতি বিশিষ্ট কবিতাটি প্রথম স্থানে রয়েছে। যাহা বংলাদেশের কবি মোঃ আবু বকর মোল্লা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধুর জীবনী অবলম্বনে কবিতার চেয়ে তাহা ঢের ছোট। তার কবিতাটি প্রকাশের পর একদিকে যেমনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মহান জীবনী কাব্যধারায় রচিত হবে তেমনি গিনেস  বুক অব ওয়ার্ল্ডে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কবিতা হিসেবে প্রথম স্থান লাভের জোর দাবী রাখবে। যা বাঙালী হাতে গোনা কয়েকটি গৌরব অর্জনের মধ্যে অন্যতম। তার এই অর্জন হবে বাংলাদেশের ও বাঙালী জাতির জন্যে গৌরবময়। এই গুণী লোকটির সাথে সংবাদ প্রতিবেদকের আলাপকালে তিনি জানান যে বাংলাদেশের সকলের সহযোগীতা থাকলে বিশেষভাবে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা পেলে সফলতা অনিবার্য। এই প্রত্যয়ে তিনি তার রচিত কবিতার পান্ডুলিপি গত ০৬-০১-২০১৬ ইং তারিখে বাংলাদেশে সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট উপস্থাপনের জন্যে একটি চিঠি পেরণ করেন। সর্বশেষে আমাদেও সকলের প্রচেষ্টা ও আশা থাকবে যে, স্বার্থক হোক এ গুণী লোকটির শ্রম ও মেধার সৃষ্টি এবং বাঙালী জাতি পায় আরও একটি বিশাল অর্জন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen + 17 =