তেল-গ্যাস, খনিজ স¤পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে কম খরচের বহু বিকল্প সরকারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার সেগুলো নিচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, যে প্রকল্পে খরচ বেশি, সে প্রকল্পে সরকারের আগ্রহও বেশি। কারণ মেগা প্রকল্প হলে সেখান থেকে কমিশন, চুরি, দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের সুযোগ বেশি থাকে। তেল-গ্যাস, খনিজ স¤পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি বাতিল করে সুন্দরবন রক্ষায় দাবি দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশের এক মন্ত্রী বলেছেন বুড়িগঙ্গা নদীকে তারা হাতিরঝিলের মতো বানাবেন। যারা ঝিল আর নদীর পার্থক্য জানে না, খনিজ কয়লার সঙ্গে কাঠ কয়লার পার্থক্য বোঝে না, ধ্বংসের সঙ্গে উন্নয়নের পার্থক্য বোঝে না এবং দেশের স্বার্থের সঙ্গে কতিপয় লুটেরার স্বার্থের পার্থক্য করতে পারে না, তাদের হাতে দেশের মানুষ আজ জিম্মি। সমাবেশে আনু মুহাম্মদ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি বৈশ্বিক প্রতিবাদ দিবসে ইয়েস টু লাইফ নো টু কোল, সেভ সুন্দরবন শীর্ষক সেøাগানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশেও এ দিবস পালন করা হবে। ১৪ জানুয়ারি রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে দেশে বিকল্প জ্বালানি নিশ্চিত করার বিষয়ে একটি মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে। আর ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ২৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগরীতে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।