রাজধানী মান্ডায় শাপলা সিটির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ ভোক্তভোগি জনতার

0
921

রাজধানী মুগদা থানাধীন মান্ডায় শাপলা সিটি নামে ভূমিদস্যু হাউজিং কোম্পানী সাধারণ মানুষের জমি দখলের পায়তারা করছে। ভূমি সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারন জমি মালিকদের সমিতি নীলপদ্ম ভূমি মালিক সমিতি। শনিবার ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২.০০ টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রির্পোটাস এসোসিয়শন মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে ভোক্তভোগিদের পক্ষ্যে সমিতির সভাপতি আকতার হোসেন এই অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত বক্তবে বলেন মান্ডায় দুই শতাধিক জমি মালিকদের নিয়ে নীলপদ্ম ভূমি মালিক সমিতি গঠন করা হয়। সমিতির সদস্যদের সর্বনিম্ন ১.৫ কাঠা, সর্বোচ্চ ১০ কাঠা পর্যন্ত সর্বমোট ১৮০ বিঘা জমি রয়েছে। আমরা একত্রিত হয়ে নিজ খরচে নিজস্ব জমিতে বিগত ৭/৮ মাস পূর্ব থেকে বালু দিয়ে ভরাট শুরু করি। গত ৭ এপ্রিল ২০১৫ ইং মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৩.০০ টার সময় ভূমিদস্যু হিসাবে ক্ষেত শাপলা সিটি হাউজিং লিঃ এর লালিত ও ভারাটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আমার নিকট ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বালু ভারাট কাজ বন্ধ করে দিবে। আমাদের বাড়ী ঘর পুড়ে দিবে, বালুর পাইপ নিয়ে যাবে, ভূমি মালিকদের ছোট ছোট সাইনবোর্ড ভেঙ্গে শাপলা সিটির সাইনবোর্ড লাগানো হবে। যদি কোন ভূমি মালিক জমির দাবি করে তাদের জানে

mg-03

মারারও হুমকি দেয়। তারই আলোকে গত ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪.০০ টার সময় বালু ভরাট কাজের সাইট ম্যানেজার সাত্তার এবং সুপারভাইজার মকবুলকে শাপলা সিটির লালিত সন্ত্রাসি  বিপ্লব, রাশেদুল, বাবু ও জুল হোসেন মারধর করেন। স্থানীয় মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছুটিতে থাকার কারনে এস আই সিরাজকে লিখিত ভাবে অভিযোগ করি। পরবর্তিতে গত ১০ এপ্রিল শুক্রবার নিজস্ব জমিতে বালু ভরাটের কাজ করা অবস্থায় শাপলা সিটির ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বিপ্লব, নজরুল ও রাসেদুল ইসলাম কনকের নেতৃত্বে ৭০/৮০ জন দেশীয় অস্ত্র, রিভলবার, ককটেল, রামদা, চাপাতি, ছোরা দিয়ে আক্রমন শুরু করে। তাদের হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে ফাঁকা গুলি করে এবং ককটেল বিস্ফরন ঘটায়। এতে সমিতির অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে এলোপাথারী কূপিয়ে আহত করে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় রমজান, সোহেল নামে আরো দুই জন আহত হয়। মুমুর্ষ অবস্থায় আনোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যায়। সন্ত্রসীরা কূপিয়েও শান্ত হয়নি, তারা সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ের টিনসেড ঘরটি পুড়ে ফেলে এবং ১১ টি বালুর পাইপ খুলে নিয়ে যায়। ভূমি মালিকদের নিজস্ব জমির ১২৫  টি ব্যক্তি মালিকানা সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে। আমরা স্থানীয় মুগদা থানা স্ব শরীরে উপস্থি হইয়া নিম্ন লিখিত বিবাদীদের নাম উল্লেখ পূর্বক এজাহার দায়ের করি। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান আমাদের এজাহার কপি ও আকুতি সোনারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর পোড়া, বাশ পোড়া, সাইনবোর্ড ভাঙ্গা, টিন দেখিতে পায় এবং সাথে সাথে এস আই  উজ্জলকে দায়িত্ব দেন, যেন উহা জব্দ করে থানায় আনা হয়। কিন্ত মুগদা থানার ঘাপলতি ও অসহযোগীতার কারনে আমরা ভূমি মালিকরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হই। অন্যদিকে শাপলা সিটি লিঃ ও বিবাদীদের ভয়ে অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মহামন্য হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যাহার নং সি.আর মামলা-৮৫/১৫; এম, এম কোর্ট-৩৪, ঢাকা। উল্লেখ থাকে যে, ভূমিতে জাবার জন্য একটি বাশের শাকো উক্ত বিবাদীরা ভেঙ্গে ফেলে ও বিভিন্ন সময় হামলা করিলে, আমরা মুগদা থানায় ৪ টি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করি। যাহার নং যথাক্রমে ৬৯৬ তাং ১৯/০১/২০১৪ ইং, ৩৩৪ তাং ০৮/০৯/২০১৪ ইং ২৪০ তাং ০৬/১১/২০১৪ ইং, ১১২ তাং ০৩/১২/২০১৪ ইং, সর্বশেষ ৪৩৮ তাং ১২/০৪/২০১৫ইং।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 − one =