“বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার স্বাক্ষী হওয়ার জের” অসহায় নিরাপরাধ আফজালের হাজতবাস, তওবা, জরিমানা ও ইন্টারনেটের ছবি, রহস্য কি ? এসআই আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের গাঁজার নাটক, উৎকোচ গ্রহণ

7
1112

এস.ডি বাবু ঃ
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশকে আরও সকর্তভাবে কাজ করার উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের অসর্তকতার জন্য অসহায় একটি পরিবারকে আরও অসহায়ত্ব করে তুলেছে। আফজাল শিকদারের একমাত্র মেয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীকে অপরাধী চক্ররা অপহরণ করে দীর্ঘদিন নির্যাতন করেছে। এ ব্যাপারে গত ১২/০৮/২০১৪ইং বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলা হয়, যাহারা নং-১৯। উক্ত মামলার ভিকটিমের পিতা এবং স্বাক্ষী আফজাল শিকদার। ঐ মামলার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপরাধ বিচিত্রার সিটি রিপোর্টার সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। পরবর্তীতে বাকেরগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে গত ১৪/০৯/২০১৪ইং তারিখে একটি মামলা রুজু করা হয়, যাহার নং-২৭২। উক্ত মামলারও স্বাক্ষী উক্ত আফজাল শিকদার। উক্ত ২টি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকেই উক্ত আসামীরা আফজাল শিকদার ও তার পরিবারের উপর বিভিন্ন রকম নির্যাতন, হুমকি-ধামকি এবং নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যে আফজাল শিকদার কোনদিনই গাঁজা বিক্রয় করে নাই, সেই আফজাল শিকদারের নামে বরিশাল পুলিশ সুপারের অফিস থেকে লিষ্ট এসেছে যে, আফজাল শিকদার নাকি বাকেরগঞ্জ থানার ১০ জন মাদক বিক্রেতাদের মধ্যে একজন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ০৭/০২/২০১৭ইং

Badal 03 তারিখে আফজাল শিকদারকে রাত প্রায় ১১:০০ ঘটিকার সময় এসআই আব্দুল্লাহ্ আল মামুন গ্রেফতার করেন। পাশের ঘরে বসবাসরত আফজাল শিকদারের বড় ভাই গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞাসা করলে এসআই আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বাড়ীর উঠান থেকে একটি গাঁজার পুরিয়া উঠিয়ে দেখিয়ে বলে যে, আপনার ভাইয়ের নিকট থেকে এই গাঁজার পুরিয়া পাওয়া গেছে। পরেরদিন অর্থাৎ ০৮/০২/২০১৭ইং তারিখ সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় বরিশাল বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ ইমাম মাওলানা হেলালুজ্জামান, আফজাল শিকদারের বড় ভাই মোজাম্মেল শিকদার ও তার ছেলে শামীম শিকদার সহ থানায় গেলে এসআই মামুন তাদেরকে বলে যে, আদালতে আফজাল শিকদার যদি গাঁজা সেবন করার কথা স্বীকার করে তাহলে আমি গাঁজার পুরিয়া আদালতে দেখাব না। একথা বলে সে তাদের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে পরিস্থিতির বিবেচনায় আফজাল শিকদার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আদালতে গাঁজা সেবনের কথা স্বীকার করে। ফলে আদালত মাওলানা হেলালুজ্জামানকে দিয়ে তওবা পড়িয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করে। কিন্তু আর্শ্চয্যের বিষয়, কে বা কাহারা সেই তওবা পড়ার ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। উপরোক্ত বিষয়ে আফজাল শিকদারের ব্যাপারে মাওলানা হেলালুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি দৃঢ় কন্ঠে বলেন যে-আফজাল শিকদার কোনদিনই গাঁজা বিক্রয় করে নাই। আমি গত ৩ বৎসর যাবত তাহার বাড়ীতে ওয়াজ-নসিহত করে আসছি, এই তিন বছরে আমি তাকে কোনদিনই গাঁজা সেবন এবং শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ করতে দেখিনি। উল্লেখ থাকে যে, আফজাল শিকদারের মেয়ের নারী ও শিশু নির্যাতনের স্বাক্ষী এই মাওলানা হেলালুজ্জামানই। প্রকাশ থাকে যে, এলাকায় মাদক বিরোধী কথাবার্তা এবং অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তাকেও প্রতিনিয়ত হয়রানী ও নানা রকম হুমকির শিকার হতে হচ্ছে। অপরাধী চক্ররা তার ক্ষতি করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরে আইনের আশ্রয়ে নিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পুলিশ যখন কোনরকম তদন্ত ছাড়াই একজন নিরাপরাধ অসহায় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে অহেতুক হয়রানী করে, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায় ? একজন পুলিশ অফিসারের বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য সারা বাংলাদেশের পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। ইতিপূর্বেও এসআই মামুন এলাকার সুইপার থেকে শুরু করে সাধারণ নিরীহ জনগণকে অহেতুক হয়রানী করে আসছে। তার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের অসংখ্য অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান চলছে। ইতিপূর্বে এ বিষয়ে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ই-মেইলের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে তদন্ত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। বর্তমানে আফজাল শিকদার এই করুণ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। আগামী সংখ্যায় আফজাল শিকদারের অসহায়ত্বের গল্প এবং এসআই আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের অপকর্মের বিস্তারিত কাহিনী প্রকাশ করবে অপরাধ বিচিত্রা। (চলবে)

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 + nineteen =