ক্রাইম রির্পোটারঃ
সংবাদ পত্র কখনো অপরাধীদের শাস্তি দিতে পারেনা, কিন্তু দুর্নীতিবাজদের কালো মুখোশ উন্মোচন করে জনসম্মুখে তুলে ধরাই সংবাদ পত্রের কাজ। বিষয় গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়াই সরকারি সংস্থার কাজ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলছেন। উন্নয়নের রুপকার শেখ হাসিনার স্বাধীন বাংলার মাটিতে দুর্নীতিবাজদের আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলেই বাংলাদেশ একদিন সোনার বাংলা রুপান্তরিত হবে বলে মনে করে বিশ্লেষকরা। হাউজিং নারায়নগঞ্জজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ে সরকারের বিঘায় বিঘায় খাস জমি বে-দখলের। সিদ্ধিরগঞ্জের প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা সু-কৌশলে সরকারী জমিতে প্লট করে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে খাস জমি বিক্রি করে বহুতল ভবন নির্মান করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় আনাচে কানাচে বহুতল বাড়ী নির্মান করা হয়েছে। প্রভাবশালী একটি ভূমিদস্যু সেন্ডিকেট হাউজিং এলাকা বালু দিয়ে ভরাট করে, পরে সেই জমিতে প্লট করে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে বলে জানাযায়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকার বাসিন্দরা বলেন, সরকারের খাস জমি উপর নজর না থাকায় কিছু এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে সরকারি খাস জমিতে প্লটের মাধ্যমে মানূষের কাছে তা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলে থাকেন বাংলার মাটিতে কোন অপরাধী, দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না। তারা আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এক সময় পুকুর ছিল। ভূমিদস্যু বাহিনীটি সুÑকৌশলে বালু দিয়ে ভরাট করে সরকারি বেসরকারি জমিতে নিজ মনগড়া ভাবে প্লট করে তা বিক্রি করে কামিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এ সরকারের বিঘায় বিঘায় খাস জমির অস্তিত্ব খুজে পাওয়াটা খুব কষ্টকর হবে। সরকারের খাস জমি লীজ নিয়ে হাউজিং এলাকায় গড়ে তুলেছে মার্কেট, স্কুল, এবং হাবিবুল্যাহ ইস্টার্ন আইডিয়াল কলেজ। সচেতন মহলের দাবি বর্তমান সরকার উন্নয়নশীল সরকার। যে দেশে দুর্নীতি থাকবে সে দেশে কখনো উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। সরকারের খাস জমি রক্ষায় ভূমি কর্মকর্তারা তৎপর না থাকায় দিন দিন সরকারের জমি গুলো দখল করে নিয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যু চক্রটি। এখনি সরকারি জমি উদ্ধার না করতে পারলে ভবিষ্যতে তা ভয়াবহ রুপধারন করে বলে দাবি তাদের এবং তা সঠিক ভাবে তদন্ত করে ভূমিদস্যু ও সরকারের অসাধু ভূমি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করলে এসব অসাধু ব্যক্তিদের হাত থেকে কিছুটা দুর্নীতি মুক্ত হবে দেশ। এলাকাবাসীর প্রশ্নের উত্তরে এই প্রতিবেদক বলেন উক্ত বিষয়ে মাননীয় ভূমি মন্ত্রী, ডিসি, এসিল্যান্ডসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদেরকে বিষয়টি অবগত করা হবে বলে এলাকাবাসীকে আস্তত করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ একটি শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় আদমজী ইপিজেড গামেন্টস, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সিমেন্ট কারখানা, চুনা কারখানা, রড মেইলসহ ২০০ টিরও বেশী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে এখনো এত শিল্পপতিরা রয়েছেন যারা এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাত। সরকারের কর ফাঁকি, গ্যাস চুরি, জ্বালানি তৈল চুরি করে শত শত কোটি টাকা মালিক হয়ে সমাজ সেবক সেজে নিজেদের অপকর্ম ডাকার চেষ্টা করছেন। আঙুল ফুলে কলাগাছ এসব শিল্পপতিরা ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ভাবে সরকারের টাকা চুরি করে রাতারাতি কামিয়ে নিয়েছে শত কোটি টাকা। আইন যদি সবার জন্য সমান হয় তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যেন এই সকল ব্যবসায়ী নামধারী দুর্নীতিবাদের বিষয়ে খতিয়ে দেখার আহবান জানান সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হঠাৎ কিছু শ্রমিকের সাথে দেখা হয় তারা জানান সিদ্ধিরগঞ্জের বেশির ভাগ শিল্পপতিরা তাদের সাথে শ্রমিকের কাজ করেছেন। হঠাৎ তারা আলাদিনের চেরাগ পেয়ে এখন কোটি কোটি টাকা মালিক। সে সকল দুর্নীতিবাজদের নাম জানতে চেষ্টা করলে এলাকাবাসী বলেন আমরা নাম বললে আমাদের অনেক ধরনে নির্যাতনের শিকার হতে হবো। তবে উক্ত বিষয়ে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আসল থলের বিড়াল। এসব অপরাধীদের নাম সহ আরো নতুন কিছু নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হবে, চোখ রাখুন অপরাধ বিচিত্রায়।
