প্রভাবশালীদের শেল্টারে নুর হোসেনের ভাতিজা বাদল বেপরোয়া

0
1552

ক্রাইম রিপোর্টার ঃ
প্রভাবশালীদের শেল্টারে নারায়নগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নুর হোসেনের ভাতিজা নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাত খুন হওয়ায় পর শাহজালাল বাদল প্রায় দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকলেও এলাকায় এসে চাঁদাবাজী, সরকারের খাল দখল করে মার্কেট নির্মান করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বাদলের ক্যাডার বাহিনীরা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে নিতে ফাক্টরীর মালিক পক্ষকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাহজালাল বাদল পালিয়ে থাকার পর এলাকায় ফিরে এসে এককি এলাকার প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েলকে হত্যার জন্য তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। প্রায় এক মাস তোফায়েল হোসেন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে যায়। নাসিক এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছেন শাহজালাল বাদল। চিটাগাংরোড খানকায়ে মসজিদের সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল বালি দিয়ে ভরাট করে গড়ে তুলেছেন কাউন্টার ও মার্কেট। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে এসব কাউন্টার ও মার্কেট তুলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। শুধু চিটাগাংরোড না নিজ বাড়ী সামনে সরকারী জায়গায় দখল করে মার্কেট তুলে কয়েক লক্ষ টাকা কামিয়ে নিয়েছেন কাউন্সিলর বাদল। বাদলের অপরাধ থেমে নেই, সাত খুন হত্যা মামলার প্রধান আসামী নুর হোসেন থাকাকালীন বাদল অপরাধীদের গডফাদার হয়ে উঠে। চাচার শক্তিকে পুজি করে একের পর অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা পাহাড় গড়েন। শাহজালাল বাদল খেঠে খাওয়া সাধারন মানুষের রিক্স আটক করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েও নিয়েছেন। তাদের ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না। কারন প্রতিবাদ করলে তাদের লাশ হতে হবে। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে এখনো রেহায় পাইনি সাধারন মানুষ। সাত খুনের পর এলাকায় এসে বাদল তার পালিত ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এলাকায় অস্ত্র মহড়া দিয়ে মানুষকে আতংকিত করে পুরো এলাকা দখল করে নিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন, আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নুর হোসেনের ভাতিজা নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ খুব শান্তিতে ছিলো। আবার এলাকায় এসে সস্ত্রাসীদের নিয়ে মারামারি, হানাহানি, চাঁদাবাজি করে এলাকা অশান্ত করে তুলেছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, আওয়ামীলীগের প্রভাবশালীদের শেল্টারে কাউন্সিলর বাদল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এইসব প্রভাবশালী নেতাদের মাসোয়ারা দিয়ে সরকারী জমি দখল ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করছে নির্ভয়ে বাদল। সাত খুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত খুনের প্রধান কারন ছিল অবৈধ টাকা উৎস। অবৈধ ভাবে টাকা কামিয়ে টাকার বিনিময়ে সাতজন মানুষকে হত্যা করলো একদল অর্থলোভী নরপশু। আলোচিত সাত খুন হওয়ায় পর গোটা বিশ্বজুড়ে গুম-খুনের শহর হিসেবে উপাদি পায় নারায়নগঞ্জ। সাত খুনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভাবে সকল অপরাধীদের একে পর এক  গ্রেফতার করতে থাকে। তখন গ্রেফতার এড়াতে অপরাধীরা পালিযে যায়। ঐ সকল ক্যাডাররা আবারো এলাকায় এসে বাদলের সাথে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন অপরাধ কার্যকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সচেতন মহলের দাবি অবৈধ অর্থ যদি এখনি বন্ধ না করা হয় তাহলে সাত খুনের মত আরো বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ঘটতে পারে। যায় ফলে বর্তমান উন্নয়নশীল সরকারের ভাবমূর্তি খুন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব অপরাধীদের বিষয়ে তদন্ত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা। অনুসন্ধান চলছে শাহজালাল বাদলের গডফাদারদের মূখ উন্মচন করা হবে চোখ রাখুন অপরাধ বিচিত্রার পাতায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 1 =