মাদারীপুরে মাত্র এক মাস আগে সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দিয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় কাউকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। সবার কাছেই বকশিসের নামে ঘুষ দাবি করেন। সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে আপনারা লেখালেখি করে কিছু করতে পারবেন না। গোপালগঞ্জের লোক বলে দম্ভোক্তিরও অভিযোগ আছে ওনার বিরুদ্ধে। সদর সাবরেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিল লেখকদের বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগে সোমবার থেকে দলিল লেখকরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানিয়েছেন দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আমির হোসেন বাদশা। জাহিদুল ইসলাম ২৬ জুলাই মাদারীপুর সদর সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। জানা গেছে, সদর সাবরেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম মাদারীপুরে যোগদান করেই তিনি দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম শুরু করেন। তার
এসব অপকর্মের মধ্যে রয়েছে, জমির দলিল গ্রহিতা ও দাতার কাছ থেকে কাগজপত্রে ত্র“টির অজুহাত দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় টাকা আদায়, এজলাসে না উঠে খাস কামরায় বসে দলিল স¤পাদন, জাবেদার নকল দিতে গ্রাহকদের অযথা তারিখ পরিবর্তনের মাধ্যমে হয়রানি করা, অফিস কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, স্থানীয় দালালদের সমন্বয়ে একটি বাহিনী গড়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা, সর্বপরি মাদারীপুর অঞ্চল দুদকের পাইলট প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি করে যাওয়া এবং গোপালগঞ্জে তার বাড়ি এমন দম্ভোক্তি দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করা। মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, আমি ২ সপ্তাহ আগে একটি হেবা দলিল করতে সাবরেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম আমার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে আমাকে
বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানির কথা বলেন। এ ব্যাপারে সাবরেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আপনারা যা লেখার লেখেন, তাতে আমার কিছু হবে না, আমি নিয়মিত অফিস করি, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমি ঘুষ নেই না, দুর্নীতি করি না। তাছাড়া গোপালগঞ্জ আমার বাড়ি- এ ব্যাপারে আমি দম্ভ দেখাই না।