আফতাবনগর ইউনিয়ন হাসপাতাল পরিচালনা করছে সন্ত্রাসীরা জরুরী বিভাগে নেই কোন ডাক্তার, নেই প্রশিক্ষিত নার্স, সাইনবোর্ডে মিথ্যা বিশেষঞ্জ ডাক্তারের নাম লিখে রোগীদের প্রলোভিত করে রোগী আকৃষ্ট করা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রুগিরা হচ্ছে প্রতারিত

0
882

স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাজধানীর ইউনিয়ন হাসপাতাল চালাচ্ছে এখন সন্ত্রাসীরা। অপরাধ বিচিত্রার একটি অনুসন্ধানী টিম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার ভুক্তভুগি রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত হাসপাতালে গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পেয়েছে। উক্ত হাসপাতালে গিয়ে কোন পরিচালকের নাম্বার বা উপস্তিতি পাওয়া যায়নি। তাদের স্থলে পাওয়#া গেছে নাম না জানা  সন্ত্রাসী। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানী টিম এলাকার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গেলে পাওয়া গেছে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য । উক্ত হাসপাতালে অবস্থিত সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন হাসপাতালে রোগেিদর সেবার মুখোশ লিখে মাদক ব্যবসার অভিযোগ পেয়েছে। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিগন জানিয়েছে কতিপয় সন্ত্রাসী উক্ত হাসপাতালে অবস্থান করে ইয়াবা বিদেশী মদ সহ নানা রকম মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে থাকে।  এ ব্যাপারে স্থানীয় র‌্যাব, পুলিশ গোপন তদন্ত করে যথাযথ ব্যাস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ইউনিয়ন হাসপাতালের পাশে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। একাধিক সুত্র জানিয়েছে উক্ত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রিদের টার্গেট করে ইউনিয়ন হাসপাতালের ছদ্বাবরনে আফতাবনগরে ই্য়াবা ব্যবসা এখন জমজমাট।
অভিযোগে জানা গেছে হাসপাতালের নানা অনিয়মের কথা। এখানে প্রশিক্ষিত কোন নার্স নেই, সার্বক্ষনিক কোন ডাক্তার নেই। কোন ডাক্তার না থাকলেও সাইনবোর্ডে বিশেষঞ্জ ডাক্তারের নাম লিখে রোগী আকৃষ্ট করে থাকে ঠিকই। কিন্তু কোন রোগীকে ঠিকমত চিকিৎসাও দেয়া হয় না উপরোন্ত গলা কাটা ফি নিয়ে থাকে। এখানকার কতৃপক্ষ যেন কসাই । এখানে কোন রোগী না বুঝে ভর্তি হলে বা চিকিৎসা করাতে গেলেই যেন ভোগান্তির শেষ নেই। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে স্থাœনীয় সন্ত্রাসী দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে অশালীন আচরন করতেও তারা পিছপা হন না। এ হাসপাতালের কতৃপক্ষ সহ সবাইকে হাসপাতাল দেয়ার আগে আচার ব্যবহার শিখানোর জন্য ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো উচিত। এরা যেন কসাই এর মত ব্যবসা করতে বসেছে। এলাকাবাসির অভিযেগের ভিত্তিতে কতৃপক্ষের সাথে মোবাইলে আলাপ করে অপরাধ বিচিত্রা থেকে একটি অনুসন্ধানী টিম পাঠানো হয়েছিল রাজধানীর আফতাব নগরস্থ ইউনিয়ন হাসপাতালে। অনুসন্ধানী টিম ইউনিয়ন হাসপাতাল ঘুরে এসে এমনই মন্তব্য করেছে। এই হাসপাতালের নানা অনিয়মের বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে থাকবে ধারাবাহিক প্রতিবেদন। চিকিৎসা ব্যবসা একটি সেবামুলক ব্যবসা। এখানে ব্যবসার চেয়েও মানবিক মুল্যবোধটিকে বেশী গুরুত্ব দিতে হয়। অনেক সময় কোন রোগী মারা গেলে কতৃপক্ষের লোকসান হলেও দেখা যায় মোটা অঙ্কের টাকা রোগীকে মাপ করে দিতে হয়। রোগীর অক্ষমতা বিষয়ে এ ধরনের মাপ করার বিষয়টি মানবিক মুল্যবোধ থেকেই করতে হয়।  আজকাল অনেকে আবার রোগীদের অসহায়ত্বের বিষয়টিকে পুজি করে নিজেদের ব্যবসার বিষয়টিকে শাথায় রেখে এক ধরনের প্রতারনা করে রোগীদের পকেট কাটার ধান্ধায় থাকে। তেমনি একটি হাসপাতালের নাম হচ্ছে রাজধানীর আপতাব নগরে অবস্থিত ইউনিয়ন হাসপাতাল। এই হাসপাতালটি যেন রোগীদের পকেট হাতিয়ে নেয়ার জন্যই অবস্থান নিয়েছে। কোন নিয়ম কানুন এর বালাই নেই উক্তদ হাসপাতালটিতে।
জহরুল হক সিটি, আফতাবনগর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির পাশে ২নং রোডের ২১ নং বাড়িতে অবস্থিত ইউনিয়ন হাসপাতাল লিঃ। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে  অপরাধ বিচিত্রার প্রধান কার্যালয় থেকে  ফোনালাপের মাধ্যমে উক্ত হাসপাতালের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ সাদেক জানানো হয় প্রাপ্ত অভিযোগ সমুহ। ফোনালাপের সময় পরিচালক সাদেক  নতুন হাসপাতাল হিসাবে কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করে তাঁর প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শনের আমন্ত্রন জানান। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত হাসপাতাল পরিদর্শনে পাঠানো হয় জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের এবং অপরাধ বিচিত্রার একটি অনুসন্ধানী টিম। আমন্ত্রন অনূসারে পরিদর্শন টীম ও পরিচালক মোহাম্মদ সাদেক ১১ ঘটিকা থেকে মোবাইলে ফোন দিতে থাকেন কিন্তু জনাব মোহাম্মদ সাদেক হাসপাতালে নিজস্ব চেম্বারে  থাকার পরও রহস্যজনক ভাবে ফোন ধরা থেকে বিরত খাকেন। পরবর্তীতে অপরাধ বিচিত্রা টীম হাসপাতালে প্রবেশ করে সাদেক সাহেব এর সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাইলে তাহার চেম্বারে প্রবেশের অনুমতি পান অনুসন্ধানী টীম। পরিচালক সাদেক এর রুমে আগে থেকে  একজন সন্ত্রাসী  বসিয়ে রেখে ছিলেন যিনি তার নাম পরিচয় না দিয়ে অনুসন্ধানী টিমের সাথে অশালীন আচরন করেছেলিন এবং হাসপাতালের অনুসন্ধানের বিষয়ে পেশাগত কাজে বাধা দিয়ে অনুসন্ধানী কাজ থেকে বিরত থাকা এবং এ নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি বা কোন রিপোট প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিয়েছিলেন। এটি শুধু এ অনুসন্ধানী টিমের সাথেই নয় প্রায়সই কোন রোগী প্রতিবাদ করলে তার সাথে এমন আচরন যেন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে গেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষের। এমন সময় পরিচালক সাদেক এর চেম্বারে অবস্থান করা ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী একই রকম আচরন লক্ষ করেছেন অনুসন্ধানী টিম। তাদের এমন আচরনে  আশে পাশের রোগীগনও ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েন। উক্ত পরিচালক মাঝে মাঝে আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয়ও দিয়েছেন। কিন্তু তার আচরন ছিল একজন কসাইয়ের মত। এক পর্যায়ে সাংবাদিক টিমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন এবং তার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সুযোগ দিতে অস্বীকার করেন। পরিচালক সাদেক এর ভাড়া করা লোক পরিচয় না দিয়ে হুমকি দিয়ে উঠলেন “এই জানেন, আমি কে?” কিন্তু নাম বা পরিচয় কিছুই বলতে পারলেন না। শুধু বললেন মাধ্যমে “এই এই” আমরা কাগজ নিয়ে ব্যবসা করছি, আপনারা ফুটপাতের ব্যবসায়িদের  নিয়ে কাজ করেন, আমাদের নিয়ে কাজ করে  কিছুই করতে পারবেন না।
হাসপাতাল কতৃপক্ষের এমন আচরনেই বুঝা যায় রোগীরা কেমন সেবা পেয়ে থাকে এই হাসপাতালে। পরিচালক সাদেক এলাকা বাসীর অভিযোগ সমুহ সত্য প্রমান করে দিলেন। এলাকাবাসি জানিয়েছেন হাসপাতালে তালিকা মোতাবেক ডাক্তার পাওয়া যায়না, প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ও দক্ষ নার্সের অভাব, নির্ভরযোগ্য প্যাথলজি ও টেকনেশিয়ান অভাব। হাসপাতালের বিভাগ অনুযায়ী উপযুক্ত ডাক্তার/কর্মকর্তা/কর্মচারীর পাওয়া যানা। অপ্রয়োজনীয় ভাবে কালক্ষেপন করে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চেষ্ট্রা চালায়। জরুরী বিভাগের প্রয়োজনীয় ডাক্তারের সংকট রয়েছে। পরিবেশগত ছাড়পত্র ও হাসপাতাল পরিচালনার প্রয়োজনীয় নিবন্ধন ও সনদের অভাব। অগ্নিনির্বাপক এর প্রয়োজনীয় কোনো সুব্যবস্থা নেই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 + sixteen =