ভ্রাম্যমান আদালতের হস্তক্ষেপ জরুরী ঢাকার গোড়ান বাজারের সততা বেকারির অসততা থামছে না

0
1448

মোঃ আবদুল আলীমঃ ঢাকার গোড়ন বাজারের সততা বেকারী আইন কানুনের প্রতি তোয়াক্কা করছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসী পালন করে এবং স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে নোংরা অস্বাস্থকর পরিবেশে পচা ডিম দিয়ে তৈরী করছে কেক। নিন্মমানের ময়লা আবর্জনা পুর্ন পরিবেশে নিন্মমানের খাবার তৈরী করছে। বেকারিগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা ও জনস্বাস্থ্যকে জিম্মি করে ব্যবসা করার অপরাধ প্রবণতা কমছে না। ঢাকা শহরের গোড়ন বাজারে অবস্থিত সততা বেকারি। দীর্ঘদিন ধরে এখানে তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর ও নিন্ম মানের খাবার। মোবাইল কোর্ট বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে সততা বেকারির মালিক সাদেক আলীকে জরিমানা করে। কিন্তু এর পরও থামছে না ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও তার বাজারজাতকরন। বরং জরিমানা দেয়ার পর যেন আরও বেপরওয়া হয়ে উঠছে। প্রতিষ্ঠানটি বিএসটিআইর সিএম লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে উৎপাদন, বিক্রয়-বিতরন এবং সংরক্ষন করে আসছে। গত ২০১৫ সালের অক্টোবরের প্রথম দিকে সততা বেকারিকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে। অভিযোগ রয়েছে বেকারিটি অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রিমিসেসের শর্তাবলী ভঙ্গ করে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করে। র‌্যাবের অভিযানে আরও দেখা যায় সেখানে আইন ভঙ্গ করে শিশু শ্রম রয়েছে। শ্রমিকদের কারও মাথায় টুপি ও হাতে গ্লোভস নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে শ্রমিকদের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। পুরাতন তৈল দিয়ে উৎপাদিত চানাচুর দেদারসে বিক্রি করে আসছে। যে ঘি ব্যবহার করছে তা ভোগের উপযুক্ত নয়। যেখানে খাদ্যদ্রব্য তৈরি হচ্ছে সেখানে ময়লা আবর্জনা রয়েছে, রয়েছে তেলাপোকার উপদ্রব। ময়দার বস্তাগুলো এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিতে গেলেই প্রচুর সংখ্যক তেলাপোকা দেখা যায়। পাশেই টয়লেট। টয়লেট থেকে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। নিন্ম মানের সুগন্ধি ও কাপড়ের রং ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে এর বিরুদ্ধে। বিএসটিআই অধ্যাদেশ ১৯৮৫ এবং অ্যামেন্ডম্যান্ট অ্যাক্ট ২০০৩ এর ১৯ ও ২৪ ধারা ভঙ্গ করে খাদ্য উৎপাদনের নামে প্রতিষ্ঠানটি রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে ভোক্তাগন এবং লাভবান হচ্ছে সততা বেকারির মালিক সাদেক আলী। ইতিপূর্বে এই বেকারির অনিয়ম ও অপকর্ম সম্পর্কে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বেকারির মালিক ও শ্রমিকরা মিলে চ্যানেল ২৬ এর সাংবাদিকদের মারধর করে ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। মারধর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বেকারির মালিক সাদেক আলী ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ ব্যাপারে বেকারির মালিকের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি এ প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেন নাই। অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ, মানহীন, পঁচা ডিম, শিশুশ্রম ব্যবহার, অনুসন্ধানী প্রতিবেদক টিম চ্যানেল ২৬ এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সততা বেকারির অসততা সম্পর্কে অপরাধ বিচিত্রার তদন্ত চলছে। আগামি সংখ্যায় চোখ রাখুন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − two =