কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষন ৩৮নং গাছবাড়ীয়া সর: প্রা: বি: প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতির অনিয়মে বিদ্যালয় চলছে

0
781

খুশী কামালঃ চৌদ্দগ্রাম থানাধিন ৫নং শুভপুর ইউনিয়নের ৩৮নং গাছবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারি নিয়ম মোতাবেক চলছে না। সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনঞ্জুরুল তাদের নিজেদের ইচ্ছা মতো চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয় চলাকালিন সময় ৯.১৫ থেকে ৪.১৫ মি: পর্যন্ত আর এ সময়ের মধ্যে দুইটা ধারাবাহিকতা সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু করে ১২টা পর্যন্ত শিশু শ্রেণী, প্রথম শ্রেণী এবং দ্বীতিয় শ্রেণী, এর পরে ১২.৩০মি: শুরু করে ৪.১৫মি: পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণী, চতুর্থ শ্রেণী, পঞ্চম শ্রেণী, কিন্তু এ নিয়মের বাইরে পঞ্চম শ্রেণী, সকাল ৯.০০টা থেকে শুরু করে কোন দিন ৪.৩০ আবার কোন দিন ৫.০০ পর্যন্ত এতে করে এই কোমলমতি শিশুদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, এমনটা মতামত বিশেজ্ঞজনদের কেননা এই দশ এগার বছরের শিশু যদি পড়া লেখার চাপে ৭-৮ঘন্টা একাধারে থাকে তাহলে হারাতে পারে তার মানসিক ভারসাম্য একটি শিশু যদি খেলাধুলার সুযোগ না পায় তার বাড়ী কিংবা বাসায়, এছাড়া সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ইসলামি শিক্ষার জন্য মক্তবে পড়ছে ৬.০০ থেকে ৮.৩০ পর্যন্ত এর পরে তারাহুরা করে কোনো ভাবে একটু নাস্তা খেয়ে বিদ্যালয় যেতে হচ্ছে, যারা এই নিয়মে বিদ্যালয় চালিয়ে যাচ্ছে সেইসব শিক্ষকরা অমানবিক আচারন করছে। আর বারতি পড়ানোর নামে ছাত্র ছাত্রী থেকে আদায় করছে ৩০০ টাকা করে প্রতিমাসে, এছাড়া ও প্রশংসাপত্র কিংবা সার্টিফিকেট বাবদ কারো ২০০ টাকা আবার কারো থেকে ৩০০ টাকা আবার কারো থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনঞ্জরুল, আর তাই নাম না বলা শর্তে কয়েকজন অভিভাবক প্রতিবেদককে জানিয়েছে আমরা কতো কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছি কেউ দিন মজুরের কাজ করছি আবার কেউ রিকশা চালিয়ে রোজগার করছি আমাদের প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে কোচিং ফি দিতে কষ্ট সাধ্য হচ্ছে। রিকশা চালক জাফর গরিব তাই সভাপতির চাচাতো ভাইয়ের সরাপন্ন হয় বেলালের কাছে যাতে অনুরোধ করে মনঞ্জরুল মাষ্টারকে বলে তার ছেলের জন্য ২০০ টাকা করে দিবে আর তাই মনুঞ্জরুল মাষ্টারকে গিয়ে অনুরোধ করে, কিন্তু মনঞ্জরুল সাব জানিয়ে দেয় যে ৩০০ টাকার কম এক টাকা ও হবে না, এবং কোচিং করতেই হবে বাধ্যতা মূলক আর এ ব্যাপারে গত ০৫-০৩-২০১৭ইং তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলামের কাছে, প্রতিবেদক জানতে চায় মুঠো ফোনে, নুরুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি তো আজ শিক্ষা অফিসার হয়েছেন সেটা কি পঞ্চম শ্রেণীতে বাড়তি পড়া লেখা করে, কিংবা শিক্ষকরা ক্লাসের পড়া দিয়ে বলে এখনই পড়া শিখে দিতে হবে, এর সঠিক উত্তর ছিল কোন সময়ই এমনটা নিয়ম ছিলনা এ অভিযোগের প্রপেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসার তাৎক্ষনিক উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার ফারুখ আহম্মেদকে অবহিত করেন এবং বিদ্যালয়ে পাঠান। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফারুক আহম্মেদ সাথে সাথে গাছবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন এবং এর সত্যতা পান, ফারুখ আহম্মেদ লিখিত ভাবে শিক্ষকদের অবহিত করেন কোন ভাবে পঞ্চম শ্রেণীর অতিরিক্ত পড়া কিংবা কোচিং করানো যাবেনা, সরকারি নির্দেশে নাই, এছাড়া ও জেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম প্রতিবেদককে আরো জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক টাকা নেওয়ার অনুমোদন নাই এমন কথা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার সাঈদা আলম ও জানিয়ে ছিলেন।
প্রধান মন্ত্রী যা বলেন ঃ
আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বার বার বলেন কোমলমতি শিশুদের বাড়তি পড়া লেখার চাপ দেওয়া যাবেনা তাদের মারা যাবেনা তাদের বেশি বেশি স্নেহ ভালোবাসা দিতে হবে, যাতে শিশুরা বিদ্যালয় আসতে বেশি আগ্রহ করে, আর সেটা চিন্তা করে প্রধান মন্ত্রী সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তির আওত্ত্বায় এনেছে। যাতে করে শিশুরা আনন্দেরসাথে বিদ্যালয় আসে, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই উপবৃত্তির টাকা ও শিক্ষকরা ভিবিন্ন ছুতোয় কেটে রাখে, আপনার সন্তান নিয়মিত বিদ্যালয় আসেনা ফেল করেছে এমনটা বলে গ্রামের সহজ সরল মায়েদের। প্রধান মন্ত্রী বার বার বলে যাচ্ছেন পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরিক্ষা কোনো পাবলিক পরিক্ষা নয় এটা একটি প্রতিযোগীতা মূলক সাহসিক পরিক্ষা। আগামীতে যখন এই শিশুরা পাবলিক পরিক্ষা দিতে যাবে তখন যাতে তারা ভয় ভিতির সাথে থাকতে না হয় তার পূর্ব প্রস্তুতি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 + 13 =