রাজধানীর গোড়ানে রাজশাহী বাগমারার সাহারা ডেভেলপারস চেয়ারম্যান ভূমিদস্যু প্রতারক কামাল একছাদ বহু বিক্রিতে পলাতক

0
1341

ও জয়েন্ট স্টক রেজিস্ট্রেশন নং-সি-৬৯৯৪৭/২০০২ইং ও ফ্ল্যাট ১টি, ডবল সাব কবলা বিক্রিতে নামজারী জ্যোৎ ২টি ও ৩য় তলাসহ ১০৯০ বর্গফুট ডবল বিক্রিতে পলাতক কামাল ও এওয়াজ মীমাংসায় অপর ছাদ রেজিষ্ট্রি বা টাকা ফেরত দিবে না কামাল।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রবাদ আছে চোর নাহি শোনে ধর্মের কাহিনী, চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন, শয়তান মক্কা গেলেও ভাবতে হবে ইহার ভিতরেও শয়তানি আছে। সাহারা ডেভেলপারস চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ মোস্তফা কামাল এমনি একজন প্রতারক ভূমিদস্যু মাত্র। কামালের মিষ্টি হাসি, মিষ্টিভাষী, আচরণে মানুষ সহজে সন্দেহ করে না। সাহারা চেয়ারম্যান কামাল প্রতারক, বাঘমারা শিয়াল, হায়হায় কোম্পানী। রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন ৬৮-গোড়ান সাহারা রোজভ্যালি ভূমির মূল মালিক ইউনুস মোল্লা, পিতা-মফিজ উদ্দিন মোল্লার গোড়ান মৌজায় ৮ কাঠা ভূমি উন্নয়নে সাহারা ডেভেলপারস লিঃ চেয়ারম্যান এইচ.এম কামালের সাথে যৌথভাবে ৮ তলা ফ্ল্যাট বাড়ী নির্মাণের রেজিঃকৃত চুক্তিনাাম হয়। ৮ তলা প্ল্যানের বাড়ী ৪ তলা পর্যন্ত শুধু ছাদ নির্মাণ করে ফ্ল্যাট দেবার নামে ৮ তলা পর্যন্ত ভূঁয়া ছাদ বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় কামাল। তৃতীয় তলায় ১০৯০ বর্গফুট ছাদ আলহাজ্ব খোরশেদ আলম আশ্রাফী ও একজন সরকারী কর্মকর্তার স্ত্রী মিসেস নুরুন্নাহার বেগমের নিকট ডবল রেজিঃ বিক্রিতে প্রায় ৬০ (ষাট) লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কামাল পলাতক আছেন। খোরশেদ আলম আশ্রাফীর কবলা দলিলে “এ” টাইপ ব্রুশিয়ার ব্যবহৃত হলেও নুরুন্নাহার বেগমের নামীয় রেজিষ্ট্রিতে কোন টাইপ উল্লেখ নেই। চাঁদপুর নিবাসী উভয় ক্রেতাগণ জানতেন না তারা উভয়ে একই ছাদের ক্রেতা। প্রথম ক্রেতা সৈয়দ খোরশেদ আলম আশ্রাফী, ২য় ক্রেতা নুরুন্নাহারকে বুঝিয়ে বলেন, তৃতীয় তলার ১০৯০ বর্গফুট আমার নিকট কামাল কবলায় বিক্রি করেছেন, আপনি একই ছাদ কবলা রেজিষ্ট্রি পেয়েছেন শুনি, আপনি আপোষে চেয়ারম্যান কামালের নিকট থেকে অপর একটি ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রি নিয়ে আমার সাথে এওয়াজ করে নিন। ৪ মাসের মধ্যে ৮ তলা পর্যন্ত যে কোন তলার ফ্ল্যাট আপনার নামে রেজিষ্ট্রি দিলে আমি আপনার সাথে এওয়াজে রাজি আছি। একই ছাদ দুজনের নামে কামাল কবলা রেজিষ্ট্রি দেয়ায় এওয়াজ সম্ভব হচ্ছে না। সৈয়দ খোরশেদ আলম আশ্রাফীর নাম খারিজায় ব্যবহৃত দলিল-৪১৩১, তাং-২২/৫/১৩। নুরুননাহার বেগমের নামে নাম খারিজায় ব্যবহৃত দলিল ৭৮৫৫, তাং-৩/১০/১৩। পাঁচমাস উনিশ দিন ব্যবধানে কামাল ৩য় তলার একই ছাদের জন্য দুজনের নামে দুটি কবলা রেজিষ্ট্রিতে ডবল টাকা নেন এবং ডবল নামজারী জ্যোৎ সৃষ্টি হওয়ায় জনস্বার্থ বিরোধী আইনী জটিলতা সৃষ্টি হয় যাহার বিভাগীয় আইনী তদন্ত মীমাংসা না হলে খুন-জখম সহ ফ্ল্যাট নিয়ে বড় ধরনের জটিল কিছু ঘটার আশাংকা বিদ্যমান। চেয়ারম্যান কামাল ভূমি মালিক ইউনুসকে চুক্তি মোতাবেক কোন ফ্ল্যাট-ছাদ না দিয়ে পলাতক থাকায় গরীব ইউনুস মোল্লা ২য় তলায় ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে হাজী খোরশেদ আলম ৫০ হাজার টাকাসহ অন্যান্য ক্রেতাগণ আর্থিক সহায়তা করলে ২য় তলার ফ্ল্যাট বাড়ীর দখল পজেশন বুঝে নেন। কামাল পলাতক থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৃতীয় তলার বাসিন্দা হজ্ব লাইসেন্স মালিক হাফেজ মাওলানা সোয়েব আনসারী সভাপতি ও গাড়ী ব্যবসায়ী তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট ক্রেতা আনিসুর রহমান, সেক্রেটারি গং ফ্ল্যাট মালিক সমিতি গড়ে তুলেন। খোরশেদ আলম আশ্রাফীর দখলীয় ৩য় তলার ১০৯০ বর্গফুট তালাবদ্ধ ছাদ নতুন ফ্ল্যাট মালিক সমিতির রেজুলেশনের দুই লাইনের ফাঁকে হাতের ছোট লিখায় উক্ত ছাদ মালিক সমিতির দখলে দেখানো হয়। রেজুলেশন আইন সংস্থায় জমা হলেও তাতে সেক্রেটারীর স্বাক্ষর নেই। তর্কিত ৩য় তলার ১০৯০ বর্গফুটের ছাদ নিয়ে ডবল ক্রেতাগণের মাঝে মীমাংসায় কোন উদ্যোগ নেই কারণ কামাল পলাতক। সৈয়দ খোরশেদ আলম তার ভোগদখলীয় ৩য় তলায় ছাদ নুরুন্নাহার বেগমের নিকট বাস্তবে ২য় বার বিক্রি করেছেন কিনা জানিতে চাহিলে চেয়ারম্যান কামাল জানান, আমি বিক্রি করেছি আপনার নিকট, নুরুন্নাহারের নিকট ৩য় তলায় বিক্রি করিনি, আপনি উড়া কথায় কান দিবেন না। কামালের বক্তব্য মিথ্যা প্রতারণা মাত্র। আসলেই ডবল বিক্রি হয়েছে ৩য় তলার ছাদ। সাহারা রোজভ্যালি নামে ৬৮-গোড়ান ভূমি মালিক ইউনুস মোল্লা দাতা এবং এইচ.এম কামাল গ্রহীতা হয়ে আমমোক্তার পাওয়ার রেজিঃ নং-৪৯৩১, তাং-২/৭/০৯ইং কামালের আশ্বাসে সরল মনে রেজিষ্ট্রি দিয়ে ভূমি মালিক টেনশন দুশ্চিন্তায় অসুস্থ্য হলে যেন তার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছেন কামাল। অবশেষে বাধ্য হয়েই গত ৬/১০/১৩ইং ৭৮৯৩ রেজিঃ নং দলিল বলে কামালকে দেয়া রেজিষ্ট্রি পাওয়ার চুক্তি বাতিল করে ঝামেলামুক্ত হন ভূমি মালিক ইউনুস মোল্লা। ভূমি মালিক ইউনুস মোল্লা কর্তৃক চুক্তি বাতিলের এক বছর পঁচিশ দিন পর চেয়ারম্যান কামাল বাদী হয়ে ঢাকার বিজ্ঞ ৪র্থ সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত/নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার নিমিত্তে দেঃ মোঃ নং-৩৯৫/১৪ দায়ের করেন যাহা মিথ্যা কাল্পনিক ভূমিদস্যুতার অপকৌশল মাত্র। যাহাতে বিবাদী করা হয় ভূমি মালিক ইউনুস মোল্লা, ক্রেতা খোরশেদ আলম আশ্রাফী, ক্রেতা আনিসুর রহমান, ক্রেতা মীর সোয়াইব আনসারী, ক্রেতা রফিকুল ইসলাম ও ক্রেতা জাহাঙ্গীর। মামলার বাদী কামাল আর্জিতে সাহারা ডেভেলপারস লিঃ অফিস কাম বাসার ঠিকানা বাড়ী-৭৫, রোড-৭/এ, ধানমন্ডি, থানা-ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ অথবা গ্রাম : দাসপাড়া, থানা-বাগমারা, জেলা: রাজশাহী ব্যবহার না করে বহু অতীতের ভাড়া অফিস ভূয়া ঠিকানা দারুস সালাম ভবন, ৭ম তলা, ১৪ পুরানা পল্টন, থানা-পল্টন মডেল, ঢাকা ব্যবহার করেন যাহাতে আইনের প্রয়োজনে আদালত, থানা পুলিশ বা মিথ্যা বিবাদীরা গং কামালকে কোনদিন খুঁজে না পায়। এখানে বর্তমানে কামালের অফিস নেই, ভূয়া ঠিকানা।
কামাল আর্জিতে বলেন, গত ১৫/১১/১৪ইং বর্ণিত বিবাদীগণ বাদী কামালকে হুমকি দেন যে, বাদী কামাল নালিশী জমিতে কাজ করতে গেলে তাকে (মিথ্যা) বিবাদীরা স্বপরিবারে হত্যা করবেন মর্মে হুমকি দেয়। কে, কোথায়, কত তারিখে, কতটার সময়, কার স্বাক্ষীতে কোন থানাধীন কামালকে হুমকি দেন তা উল্লেখ নেই। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ঢাকা খিলগাঁও থানা পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল, হয় ফাইনাল রিপোর্ট। মিথ্যাবাদী কামালের মিথ্যা মামলার মিথ্যা বিবাদীগণ নগদ টাকায় কামালের ছাদ কিনে বিপদে আছেন। কামাল যেখানে এক বা একাধিক ছাদ বহু বিক্রি করে পলাতক আছেন, নির্মাণের প্রয়োজনে, দখল বুঝে পাবার প্রয়োজনে পলাতক কামালকে খুঁজে পাচ্ছেন না, সেখানে কামালকে হুমকি দেবার প্রশ্নই আসেনা মন্তব্য এলাকাবাসীর। মামলার মিথ্যা বিবাদীগণ কামালের ফ্ল্যাট/ছাদ কিনে মিথ্যাবাদী কামালের পাপ উপভোগ করছেন মাত্র। ফ্ল্যাট বা  অবশিষ্ট ছাদ নির্মাণ নাকরে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করতেই মিথ্যা মামলা করা হয় বলে ভুক্তভোগীদের দাবী। ৮ তলা বাড়ী নির্মাণে রাজউক প্ল্যান পাস করলেও ৫ তলা পর্যন্ত ছাদ নির্মাণ করে মিথ্যা মামলায় কামাল ৯ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের বর্ননা জুয়াচুরি মাত্র। ৬, ৭ ও ৮ তলার ছাদ নির্মাণ এখনো শুরু হয়নি, গ্রাউন্ড ফ্লোর, ১০৯০ বর্গফুটের ৩য় তলা ও ৪র্থ তলার ছাদ ফাঁকা বাতাস মাত্র। মামলায় কামাল ৫ তলা পর্যন্ত ফ্ল্যাট বাড়ী নির্মাণ কাহিনী গাঁজাখোঁরী গল্প। আর্জিতে কামাল বর্ণনা করেছেন যে,  (ক্রেতা) বিবাদীরা যাতে গাঁয়ের জোরে ফ্ল্যাটে বে-আইনী প্রবেশ করতে বা শান্তিপূর্ণ দখলের বিঘœ সৃষ্টি নাকরে তৎমর্মে বাদীপক্ষ (কামাল) অনুকূলে  (ক্রেতা) বিবাদীগণের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রি দিতে প্রার্থনা জানানো হয়। খিলগাঁও থানার সত্য তদন্ত প্রতিবেদনে কামালের মিথ্যা মামলা আদালতে খারিজ হলে কামলের পালিয়ে থাকার ঘটনা স্থায়ী হয়। ভূমি মালিককে চুক্তিমত পাওনা হক বুঝিয়ে না দিয়ে, ফ্ল্যাট/ছাদ ক্রেতাগণের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করেন কামাল। ডবল বিক্রির ডবল নামজারী ও ডবল খাজনা-জ্যোৎ সৃষ্টি, ডবল দখলের লড়াই অপকর্মের নায়ক ভূমিদস্যু কামাল। সাহারা ডেভেলপারস লিঃ-এর জয়েন্টস্টক রেজিঃ নং-সি-৬৯৯৪৭/২০০২ যাহার কোম্পানীর ই-মেইল দ্বিতীয় ঠিকানা মাদ্রাসা মার্কেট, ৩য় তলা, রানীবাজার, থানা-ঘোড়ামারা, রাজশাহী। ভারতের কোলকাতা সাহারা ডেভেলপারস থেকেও কামাল অপর এক রেজিষ্ট্রি নেয় সূত্র জানায়। উল্লেখ্য যে, ঢাকা মীরপুর রূপনগর এলাকায় ঘরজামাই কামাল তার শ্বশুরের ফ্ল্যাটে স্ত্রী, ১ ছেলে সৃজন ও ১ মেয়েসহ ইতিপূর্বে থাকতেন। শ্বশুর বাড়িতে স্বপরিবারে ফ্রি খানা, ফ্রি ঘুম এতেও কামালের মন ভরেনি। কামালের নামে আলাদা ফ্ল্যাট যৌতুক নাদেয়ায় স্ত্রীকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করতেন কামাল। রাজশাহীর বাঘমারাসহ ঢাকার মিরপুরে ও গোড়ানে কামাল ফ্ল্যাট ব্যবসায় ঝামেলা করেন। মীরপুরে ফ্ল্যাটের নামে ক্রেতাদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আদালতের মামলায় কামাল স্ত্রীসহ গ্রেফতার হয় সূত্র জানায়। মামলার যাতাকলে পিষ্ট হয়ে অপমান অপদস্তের গ্লানিতে নিমজ্জিত কামালের মীরপুরী স্ত্রী স্ট্রোক করে মারা যান। দোষ নাকরেও কামালের স্ত্রী জেল-হাজতের গ্লানি সামাল দিতে পারেনি। অবশেষে বাধ্য হয়েই কামালের শ্বশুর শ্বাশুরি কামালকে ঝাঁটিয়ে বাড়ী বিদায় করলে ও কামাল ফ্ল্যাট ব্যবসা দেখিয়ে নুতন বিয়ে করার অপূর্ব সুযোগ পান। নুতন বউ কত সিরিয়ালের তা জানা যায়নি। রাজশাহীর অজানা ঘটনাও উদ্ধার হয়নি। কামাল রাজশাহীতে এবং ঢাকার গোড়ানে ফ্ল্যাট নির্মাণের নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতে ধানমন্ডির গোপন ঠিকানায় পলাতক থেকেই ঢাকার নুতন স্থানে নুতন বিজ্ঞাপনে নুতন আনন্দে ভূয়া ফ্ল্যাট বিক্রির নুতন ফাঁদ রচনা করছেন। গ্রুপ অব কোম্পানী করতে কমপক্ষে ৩টি লিঃ কোম্পানী খোলার প্রয়োজন হয়। (১) সাহারা ডেভেলপারস লিঃ, (২)সাহারা লিঃ (৩) সৃজন এগ্রো লিঃ, (৪) সৃজন এয়ার লিঃ, (৫) সৃজন হোটেল এন্ড রিসোর্ট লিঃ, (৬) সৃজন এক্সিকিউটিভ ফ্যাশন হাউসসহ আরও অনেক ভূয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে বহুমুখী প্রতারণায় ফাঁদ পাতেন ভূমিদস্যু বাঘমারা শিয়াল কামাল। চারকালার বহুতল ভবনের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে গাড়ি হাঁকিয়ে নিজ হাতে অভিজাত এলাকায়, অফিস পাড়ার ওয়ালে, গাম দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়ে খদ্দের ধরেন কামাল যাহা নামে আছে বাস্তবে নেই, প্রতারণার হেকমত মাত্র। ভূমি মালিকের ফ্রি জমি, গ্রাহকের এক কোটি খরচ করে বহুকোটি টাকার প্রতারণা জবর মজার খেলা, এমন খেলা খেলেই কামাল কাটিয়ে দেবেন বেলা। এতদ বিষয়ে সকল ক্রেতাদের সাথে একত্রে কথাবলার জন্য গোড়ান তর্কিত ফ্ল্যাটে ১৮/২/১৭ বেলা ১০টায় যাবার জন্য বলিলে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার দুজন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানান ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি সোয়াইব আনসারী। যথাসময়ে ৬৮ গোড়ানের তৃতীয় তলায় সভাপতির ফ্ল্যাটের দরজায় যাই। দরজা খুলে সভাপতির ছেলে ও মেয়ে জানান, তিনি বাসায় আছেন, আমরা ওনার সাথে কথামত কথা বলার জন্য এসেছি পরিচয় দেই। দরজাসহ মোবাইল ফোন, কলিংবেল বন্ধ রাখা হয়। অনুরোধে ডাকলেও আর শোনেননি যাহা রহস্যজনক। দোতলায় মূলমালিক ইউনুস মোল্যার বাসায় কড়া নেড়ে, ডাকাডাকি করলেও কেউ শব্দ করেনি। সূত্র জানায়, রাজশাহীতে ইতিপূর্বে অনুরূপ ফ্ল্যাট ব্যবসার ঝামেলা করেন কামাল। সমিতির সেক্রেটারী আনিসুর রহমান, খোরশেদ আলমের জামাতা বাংলাদেশ মেধা বিকাশ সোসাইটির চেয়ারম্যান এস. এম. আনোয়া হোসেন অপু থেকে ৩য় তলার তর্কিত ফ্ল্যাটের চাবি নিয়ে ফ্ল্যাট মালিক সমিতিতে জমাদেন। আনরেজিস্ট্রার্ড সমিতির লোকজন অপুর লাগানো তালা সরিয়ে ৩টি নুতন তালা লাগিয়ে দেন। ৭তলার ছাদের বুকিংমানি নিয়ে ৩য় তলার ছাদ রেজিষ্ট্রীর ঝামেলা টাকা আত্মসাতের কারনে মিটাচ্ছেননা কামাল। লোকে বলে কামালকে সামাল দিবেন কে? ঢাকা জয়েন্টস্টকের সি-৬৯৯৪৭/২০০২ নং রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ছাদ ক্রেতাগণ। ধানমন্ডি প্রধান কার্যালয়ের বাসা থেকে কামালকে আটক করে ৬৮ গোড়ান ঘটনাস্থলে এনে একই ফ্ল্যাট ডবল বিক্রি, ডবল নামজারীর ঝামেলাসহ টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় আইনানুগ এজাহার করার নিমিত্তে চেয়ারম্যান দুদক/অতিরিক্ত আইজিপি, সিআইডি, মালিবাগ, ঢাকার নিকট আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ফ্ল্যাট মালিকগন সহ এলাকাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × one =