স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা প্রতারক সুমাইয়ার মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে প্রবাসী মহিউদ্দিনের

0
1145

 নেয়াখালীর জেলার বেগমগঞ্জ থানা আমানপুর (হলবানবাড়ী) সুমাইয়া সুলতানা স্বর্ণ গয়না ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী মহিউদ্দিনকে স্বেচ্চায় তালাক দেওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামী তার পরিবার ও আতœীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ।
অপরাধ বিচিত্রা ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুর জেলার-চন্দ্রগঞ্জ থানার, রামচন্দ্রপুর (রাজবাড়ী), গ্রামের বাসিন্দার  বেলজিয়াম প্রবাসী মহিউদ্দিন তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ। প্রবাসী মহিউদ্দিন দীর্ঘ ১৪ বছর বেলজিয়ামে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। মহিউদ্দিন, পিতাঃ-মৃত ডা: আবদুর রব, গ্রামঃ-রামচন্দ্রপুর (রাজবাড়ী), পোষ্টঃ-বড়ইতলা, থানাঃ-চন্দ্রগঞ্জ, জেলাঃ-লক্ষ্মীপুর। গত ১৬/০৭/২০১৪ ইং তারিখে সুমাইয়া সুলতানা, পিতাঃ-শাহাদাত হোসেন বাবুল গ্রামঃ-আমান উল্লাপুর (হলবান বাড়ী), পোষ্টঃ- জয়নারায়ণপুর, থানাঃ-বেগমগঞ্জ, জেলাঃ-নোয়াখালী এর সাথে শরিয়াহ্ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাস পর মহি উদ্দিন বেলজিয়ামে চলে যায়। বিয়ের সময় তার স্ত্রী সুমাইয়া সুলতানাকে ২২ ভরি স্বর্ণলংকার, ৩টি ডায়মন্ডের রিং ২ জোড়া ডায়মন্ডের কানের দুল প্রদান করে। মহিউদ্দিন বেলজিয়াম থেকে এসে জানতে পারে তার স্ত্রী সুমাইয়া সুলতানার পূর্বেও একটি বিয়ে হয়েছে। উক্ত স্বামীর নাম: রাকিব আবদিন, পিতাঃ-জয়নাল আবদিন, গ্রামঃ-জয়নারায়ণপুর, পোষ্টঃ-জয়নারায়ণপুর, থানাঃ-বেগমগঞ্জ, জেলাঃ-নোয়াখালী। যখন রাকিব আবদিনের সঙ্গে প্রেমের টানে বাড়ী থেকে লুকিয়ে গিয়ে বিয়ে করে, তখন সুমাইয়া সুলতানার পরিবার মেয়েকে নাবাল(১৬) বছর দেখিয়ে থানায় রাকির বিরুদ্ধে মাইজদি কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে ৫৬৭/২০১৪ নং মামলা দায়ের করে এবং তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫/৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উক্ত মামলা উঠিয়ে রাকিব আবদিনকে তালাক দেয়। রাকিব আবদিনকে তালাক হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে সুমাইয়া সুলতানাকে ১৮বছর পূর্ণ হয়েছে মর্মে একটি জন্ম সনদ বানিয়ে বেলজিয়াম প্রবাসী মহিউদ্দিনের নিকট বিয়ে দেয়। পূর্বের বিয়ে অতঃপর তালাক গোপন রেখে লোভী সুমাইয়া সুলতানা ও তার পরিবার মহি উদ্দিন এর নিকট বিয়ে দেয়। এসব জানার পরও মহি উদ্দিন তার সন্তানের মুখের দিয়ে তাকিয়ে অতীত ভুলে সুমাইয়া সুলতানাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে, এবং বেলজিয়াম হতে মহি উদ্দিনের স্ত্রী ও তার পিতা: শাহাদাত হোসেন বাবুলের নামে অনেক টাকা ব্যাংক ও লোক মারফতে প্রেরণ করে, এবং বিয়ের পর ৬ মাস মহিউদ্দিনের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে থাকে। তখন সুমাইয়া সুলতানা সন্তান সম্ভবা। মহিউদ্দিন বেলজিয়াম যাওয়ার পর সে তার সন্তান নষ্ট করে ফেলে। এই কথা শুনে মহিউদ্দিন পুনরায় বাংলাদেশে চলে আসে ও তার স্ত্রী পুনরায় সন্তান সম্ভবা হয়। তিন মাস পর মহি উদ্দিন আবার বেলজিয়াম চলে যায়। মহিউদ্দিন বেলজিয়াম যায় পর চৌমুহনীর একটি হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সে সময় মহিউদ্দিনের স্ত্রী সুমাইয়া সুলতানা ও তার মা মিলে তাদের লোভ লালসা পূর্ণ করার জন্য  কন্যা সন্তানটিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। বিষয়টি মহিউদ্দিনের পরিবার বুঝতে পরায়  সন্তানটিকে ঢাকায় নিয়ে আসে তারপর সন্তানটিকে ধানমন্ডীর একটি ক্লিনিকে ২০ দিন রেখে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করার পর কন্যা সন্তান সুস্থ্য হয়। এই বিষয় জানার পর মহিউদ্দিন বাংলাদেশে চলে আসে তারপর ঢাকায় একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া করে সুমাইয়া সুলতানাকে নিয়ে বসবাস করার পার পুনরায় মহিউদ্দিন বেলজিয়াম চলে যায়।
ঘটনাস্থলঃ

MG 04
গত ২৪/০৬/২০১৬ ইং তারিখে মহিউদ্দিন বাংলাদেশে বেলজিয়াম থেকে বাংলাদেশে এসে ডেমরা পূর্ববক্সনগর সারুলিয়া ডেমরা ঢাকার বাসায় মহিউদ্দিন,স্ত্রী, কণ্যা সন্তান ও কাজের মেয়ে সহ বসবাস করে। মহিউদ্দিন তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে সংসার করতে থাকে। এর পর গত ০৪/০৮/২০১৬ ইং তারিখ মহিউদ্দিনের শ্বশুর-শাশুড়ি, খালা শাশুড়ি ও খালাতো শালা রাত ১ ঘটিকার সময় মহিউদ্দিনের বাসায় আসে, তারা মহিউদ্দিনের দেওয়া প্রায় ৩৭/৩৮ ভরি স্বর্ণলংকার এবং নগদ দশ হাজার ইউরো নিয়ে মহিউদ্দিনকে খোলা তালাক দিয়ে মহিউদ্দিনের স্ত্রীকে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় মহিউদ্দিনকে ধমক দিয়ে বলে তোকে আর বেলজিয়াম যেতে দিব না এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। প্রাণের ভয়ে মহিউদ্দিন ০৫/০৮/২০১৬ ইং তারিখে বেলজিয়াম চলে যায়। বেলজিয়াম যাওয়ার পর শুনতে পারে তিনি দেশে যাওয়ার পূর্বে গত ২৮/০৩/২০১৬ইং

MG 03

তারিখে মহিউদ্দিনের ভাই ও তার বোন, ভগ্নিপতি সহ ৬ জনকে আসামী করে মাইজদি কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৩৭৪ নং মামলা করে রাখে। উক্ত মামালায় মহিউদ্দিন আসার পর তার ভাই, ভগ্নিপতি, বোনদের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। ওয়ারেন্ট পেয়ে তারা আদালতে আত্মসমর্পন করে এবং আদালত মহিউদ্দিনের অসুস্থ্য বড় ভাইকে জেলে পাঠান ও বোন, ভগ্নিপতিকে জামিন দেন। পরবর্তীতে উক্ত মামলার বিষয়ে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট বলা হয়েয়ে বাদী সুমাইয়া সুলতানার মামলায় যে অভিযোগটি করেছে তাহা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে প্রতিয়মান হয়েছে। এভাবে বয়স লুকচুরি করে রূপের বাহার দেখিতে সে বিত্তবান ছেলেদেরকে বিয়ে করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা/পয়সা হাতিয়ে নেয়। এটাই তার মূল উদ্দেশ্য এবং এটাকে সে পেশা হিসাবে চালিয়ে নিচ্ছে। বর্তমানে সুমাইয়া সুলতানা মহি উদ্দিনের কাছে থেকে মোটা অংকের অর্থ দাবি করছে। তার এই দাবি মেনে নিলে সুমাইয়া সুলতানা মামলা তুলে নিবে বলে জানায়। মহি উদ্দিন এ বিষয়ে গত ২২ শে ফেব্রুয়ারি সুমাইয়া সুলতানা ও তার পরিবারের হয়রানির হাত থেকে মুক্তি ও বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে। প্রতারক সুমাইয়া সুলতানার বিরুদ্ধে ২৭শে ফ্রেরুয়ারী/১৭ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক মানবজমিনসহ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বেশ কয়েকটি খবর বের হয়েছে। মহিউদ্দিন তার পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি আর কোন পরিবার যেন এই প্রতারক সুমাইয়া সুলতানা গংদের মামলার হয়রানির শিকার হতে না হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 5 =