(১)
কবি শিখর চৌধুরী
নবতন
নব চেতনার নব পরিখা খনন করে,
নব যোগসূত্রের সাথে নব উদ্যোগে,
নব কল্পনার নব উদ্ভাসে,
নন্দিত নব এ নতুন বর্ষ।।
(২)
কবি শিখর চৌধুরী
নবনী
রমনার কুটিরে
সামনের দিকে
লাল-সাদা রমণীরা
চলেছে একসাথে হেলেদুলে।
চারিপাশে তাতে উড়ছে রাঙা ধূলি,
কথায় কথায় তার সাথে উঠেছে হাসি,
নতুনের বাঁশি যেন বাজছে সবার প্রাণে।
নব সূর্য স্নাত আলোতে
উদ্ভাসিত সকলে।
প্রাণ বাতাসের প্রফুল্লতায়
বিবাগীর সুর বাজে।
যা কিছু হয় হোক না
নতুন ভাবেই হোক না,
মনের নব পরশে
আজ তুচ্ছ সকল চাওয়া।
নতুন ঘাসের দোলায়
নব বাতাসের তুফানতোলা,
সাথে আকাশনীলার এ কি গুনগুনানী
শ্যামল শুভ্র জাল বুনি।।
(৩)
কবি শিখর চৌধুরী
কৃষ্ণচূড়ার আহ্বানে
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম
হঠাৎ খেয়াল করলাম, কে যেন ডাকে
চারপাশে তাকাতে মনে হল
রাস্তার পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো
পাতার ফাঁকে ফাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
বুঝেও না বোঝার ভান করে হাটতে থাকলাম
কারণ আমার কবিতা লেখার খাতা যে শেষ
এখন কীভাবে তাকে আমি আসন দেবো
অগত্যা মাথা নিচু করে হাটতে লাগলাম ।
কৃষ্ণচূড়া গাছটিও কম না
সে এবার আমার দৃষ্টি আর্কষণ করতে
আমার উপর তার পাতাকে ফেলল
আমিও যেন খেয়াল করিনি
এভাবে রিকশা ডেকে উঠে পড়লাম।
এতে কৃষ্ণচূড়া গাছটি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো
সে তার বন্ধু হাওয়াকে ডেকে আনলো
এবং প্রচন্ড ভাবে আমাদেরকে এদিক-ওদিক দুলাতে লাগলো
অবশেষে হার মেনে তাকে আসন দেবো
এরুপ মুচলেকা দিয়ে চলে এলাম ।।