বদলগাছীতে কলেজ ছাত্রীর প্রেমেপড়ে অনেক যুবক সর্বশান্ত

0
1458

স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার নুনুজ গ্রামের হতদরিদ্র মোঃ সাইদুল ইসলাম এর কন্যা বহুল আলোচিত পুরুষ শিকারী রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।      জানা যায়, নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার নুনুজ গ্রামের মোঃ সাইদুল ইসলাম এর কলেজ পড়–য়া কন্যা মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা (২৫) বেশ কিছু দিন ধরে ঢাকার গুলশানে একটি বায়িং হাউজে চাকুরি করেন। এর সুবাদে তার পরিচয় হয় ঢাকার অভিজাত পরিবারের যুবকদের সাথে। এক পর্যায়ে অসংখ্য যুবকের সাথে গড়ে উঠে তার প্রেমের স¤পর্ক। প্রেমের অভিনয় করে প্রেমিক যুবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। বর্তমানে সে পুরাতন প্রেমিকদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে জুটিয়ে নেন নতুন প্রেমিক কিশোরগঞ্জের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে। এক পর্যায়ে তার সাথে দৈহিক স¤পর্ক গড়ে তুলে তার কাছ থেকেও বেশ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাসা বদল করে বর্তমানে নুরের চালা বাজারে একটি অভিজাত ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রাজিয়া সুলতানা ও তার এক বান্ধবী বসবাস করে যাচ্ছে। সুলতানা ফ্ল্যাটে যুবকদের নিয়ে রমরমা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্র জানায়, সুলতানা ইতি পূর্বে বগুড়ার এক যুবককে বিয়ে করে বেশ কয়েক বছর ঘরসংসার করাকালে তার স্বামীর এক বন্ধুর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে তার সাথে ফস্টি নষ্টি করাকালে হাতে নাতে ধরা পড়ায় স্বামী সংসার ছাড়তে বাধ্য হয়। এরপর থেকে তার বাবার বাড়ীতে বসবাস করে এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে সুলতানার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার বাবা মায়ের দারিদ্রতার কারণে আমি এইসব করি। তবে দয়া করে আমার নামে পত্রিকায়  কিছু লিখবেন না। সুলতানা প্রতারনা আর ব্ল্যাকমেইল করে একাধিক পুরুষের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। প্রতারিতরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। বরং মিথ্যা হয়রানী হতে হচ্ছে অভিযোগকারীদের। সুলতানার প্রতারণার স্বীকার হয়ে নওগাঁ, জয়পুরহাট, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলার অনেক ছেলে সর্বস্ব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। সে বিভিন্ন মাধ্যমে স্বালম্বি পুরুষদের টার্গেট করে প্রেমের অভিনয় করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে ঐ পুরুষের সাথে প্রতারণা করে তাকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জালে ফাঁসিয়ে এলাকার মান সম্মানকে কুলসিত করিতেছে বলে নুনুজ গ্রামের সাধারণ মানুষের অভিযোগ। বহুল আলোচিত সুলতানার প্রেমের ফাঁদে পড়ে অসংখ্য যুবক এখন নিঃস্ব। যুবকদের সাথে প্রেমের স¤পর্ক গড়ে তোলে সর্বস্ব লুটিয়ে নিয়ে নতুন প্রেমিক খুঁজতে থাকে সে। এভাবে তার প্রেমের বলি হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী, পেশার মানুষ। এখন সে তার নিজ উপজেলা থেকে চাকুরী ও লেখা পড়ার অযুহাতে ঢাকায় এসে প্রেমের ক্লাশ চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। তার প্রেমের ফাদেঁ পড়ে আজ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে ছেলেদের। নুনুজ গ্রামের জনৈক এক ব্যাক্তি নাম না প্রকাশের শর্ত্বে বলেন, কি বলিব ভাই, এক নারী আর শত জামাই, যার লজ্জা নেই থাকে লজ্জা দেওয়া আর নিজে লজ্জা পাওয়া সমান। প্রেম স্বর্গীয়। প্রেম শাশ্বত। যুগে যুগে প্রেমের আছে নানা কাহিনী। সেই সব কাহিনী আজো ইতিহাসে তাদের কীর্তি বিদ্যমান। আজকের যান্ত্রিক সভ্যতায়ও প্রেম ভালবাসা রয়েছে। আছে মমতা প্রীতি। মায়া মমতার এ পৃথিবীতে একটুখানি প্রেমের আশায় অনেকেই জীবনকে বিলিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করে না। সামাজিকতার বেড়াজালে প্রেমের রকম ফের নিয়ে আছে ভিন্নমত। কিন্তু প্রেমকে অস্বীকার করার কোন জো নেই। তারপরও আশ্চর্য হতে হয় এ যুগের প্রেমের হাল হকিকতে। উর্বশীদের ছলনাময়ী প্রেম কত সহজ-সুন্দর জীবনকে যে সর্বস্বান্ত করেছে তা প্রেম বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারেন। প্রেমকে পেশা হিসাবে বেছে নেয়ার মতো ঘটনাও ইদানিং ঘটছে। আশ্চর্য হলেও সত্য যে, সুলতানার প্রেম খেলায় এলাকার যুব সমাজ থেকে শুরু করে ঢাকা শহরের স্বাম্বলভী যুবকরা রীতিমত হয়রানির শিকার। সুলতানার প্রেমের সুধাময় উচ্চারণ কত ছেলের সাথে হয়েছে তার সঠিক  পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও অন্ততঃ প্রায় অর্ধশত যুবক সুলতানার খপ্পরে পড়ে প্রেম কেয়া চিজ হায় উপলব্ধি করতে পেরেছেন। সুলতানার একদেহ এক মন কত ছেলে উপভোগ করেছে তারও হিসেব জানা না গেলেও কাঁচা টাকার বিনিময়ে যে কাউকে দেহ বিলিয়ে দিতে আপত্তি   করে না। নাদুস নুদুস ফিগার, হাইফাই ড্রেস, চলনে বসনে স্মার্ট সব মিলিয়ে উঁচুতলার কলগার্ল। সুলতানা টাকাওয়ালা ছেলেদের সাথে প্রথমে প্রেমের স¤পর্ক গড়ে তোলে। অভিজাত রেষ্টুরেন্টে দহরম-মহরম। অতঃপর কাঁচা মাংসের লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় ছেলের পকেটের অর্থ। প্রেমিকা হিসেবে বায়না ধরে নানা দামি জিনিসের। টুপিছ-থ্রিপিছ, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল। সুলতানার বায়না পূরণ করে অনেকেই পেয়েছেন কোমল দেহ। অতঃপর আউট। পূর্ববর্তী  প্রেমিকরা কোন প্রকার উচ্চ-বাচ্চ্য করলে প্রভাবশালী ক্যাডারের ভয় দেখায় সুলতানা। ফলে প্রেমিকগণ মান-ইজ্জতের ভয়ে আর এগুনোর চেষ্টা করে না। এভাবে নির্বিঘেœই খেলছে প্রেম প্রেম খেলা। প্রতারক সুলতানার এই সকল অবৈধ কর্মকান্ডে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে নুনুজ গ্রামের স্বামী পরিতাত্য লতিফা, পাহাড়পুর এলাকার নারীলোভী, আব্দুর রহিম, রিপন, আনিছুর রহমান ও জগদীসপুরের তাছের এরপুত্র মিজানুর রহমান। পুরুষ শিকারে কোথাও ঝামেলায় ফেঁসে গেলে প্রেমিকের পায়ে হাতে ধরে, কখনো তাবজাতি করে, কাউকে টাকা-পয়সা ফেরত দিয়ে তাকে উদ্ধার করছে তারা। আর এভাবে সুলতানার প্রেমের সহযোগী হয়ে তারা চালিয়ে  যাচ্ছেন প্রেম প্রেম খেলা। প্রেম নামের পবিত্র বিষয়টিকে করছেন কুলসিত। এক সময় প্রবাদ ছিল প্রেম মানেনা কোন বাধা জাতি কিন্তু বর্তমান সময়ে সুলতানার মতো মেয়ের কাছে প্রেম হচ্ছে ছেলেদের পকেটের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নিজের আখের গোছানো। এক ছেলের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিঃস্ব¦  করে নতুন করে প্রভাবশালী টাকাওয়ালা ছেলের গলায় ঝুলে পড়া। এভাবে এরা সমাজ জাতীকে করছে কুলসিত। যার ফলে সমাজে দেখা দিচ্ছে হানাহানি থেকে খুনের মতো ঘটনা। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সব কিছু হারিয়ে একটি ছেলে যখন রাস্তার ভিখারী তখন তার মাথায় চেপে বসে জিদ আর প্রতিহিংসা, ফলে সে  খুনের মতো জঘন্য কাজ করতে দ্বিধাবোধ করেনা। বর্তমান সময়ে ব্যর্থ প্রেমিক কোন কথা বললে খবর দিয়ে নিয়ে ইভটিজিংয়ের জালে ফাঁসিয়ে দেয় সুলতানার মতো মেয়েরা। যার জন্য সবকিছু হারিয়ে এসব ছেলেরা নিরবে নির্ভৃত্বে কেঁদে মরা ছাড়া আর কোন পথ খোঁজে পায়না। অনেকে ক্ষোভের জ্বালায় আতœহত্যা করতে পরোয়া করেনা। সুলতানা কোন রকমভাবে এইচ.এস.সি পাশ করার পর নুনুজ গ্রাম ছেড়ে চাকুরীর অযুহাতে ঢাকায় আসলে তার প্রেমের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় একাধিক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুলতানা এলাকার সবচেয়ে আলোচিত নাম । সে কত জনের জীবন নিয়ে খেলেছে তার হিসাব সে দিতে পারবেনা। এবং প্রেমের নাম করে বিভিন্ন ছেলের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য। মেয়েটির আচার আচরণ কিশোরী বয়স থেকেই অগ্রপন্থী। এ ব্যাপারে এলাকার একাধিকজন এ প্রতিবেদককে জানান, এ মেয়েটি এতই নিকৃষ্ট যে, তার জন্য তার এলাকার সবাইকে অনেক বাজে কথা শুনতে হয় এবং তার একাধিক চাঞ্চল্যকর কাহিনী কিন্তু তারপরেও থামেনি মেয়েটি এই বাঁধাহীন বেসামাল জীবন যাপন। বহুরূপী সুলতানার পরিচয় কখনও বিত্তশালী পরিবারের আদরের দুলালী। কখনও ব্যবসায়ী পিতার একমাত্র কলেজ পড়–য়া কন্যা। তবে পোশাক আশাক একেবারেই আধুনিক। সাজগোচ তার আকাশচুম্বী। এসব পরিচয় দিয়ে সমাজের চোখে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তার এসব কর্মকান্ড এলাকায় প্রকাশিত হয়ে গেছে ফলে এখন দিনের বেলা তার নিজ গ্রাম নুনুজ এ তেমন একটা আসেনা রাতের আধাঁরে চুপি চুপি আসে এবং রাতের আধারে আবার ঢাকা চলে যায়। ৬০ বৎসরের এক বৃদ্ধ এ প্রতিবেদককে বলেন, এই মেয়েটির জন্য আমাদের পুরা গ্রাম কলংকৃত হচ্ছে। হরহামেশা নতুন নতুন ছেলেদের সাথে মেয়েটিকে জামালগঞ্জ বাজারে ঘুরতে দেখেন এলাকার মানুষ। আবার কখনো ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুলতানার কলেজ পড়–য়া জনৈক বান্ধবী জানান, আমার বান্ধবী খুবই ভাল। কিন্তু বিয়ে না হলেও তার ব্যাগের মধ্যে প্রায়ই জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ও সাথী কনডম দেখা যায়। তবে সে খুব হাই সোসাইটি ছাড়া কাউকে সঙ্গ দিতে চায় না। বর্তমানে ঢাকার গুলশানের নুরের চালায় একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে সে তার এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় সে হিলি সীমান্ত থেকে ইয়াবা এনে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে খদ্দরদের কাছে বিক্রি করছে। সুলতানার কলেজ জীবনের বন্ধু বান্ধবীদের কাছে গেলে জানা যায়, অনেক অজানা তথ্য। তার কাছে প্রতারিত অনেক যুবক করেন বিভিন্ন রকম অভিযোগ। সুলতানার দৈহিক সান্নিদ্ধে আসা অনেক প্রতারিত যুবক দিয়েছেন প্রতানার অনেক প্রমানাধি। তবে সুলতানার জলসা ঘরের  অতিথি হয়ে আসা অনেক যুবক জানান, সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম পোশাকে চলা ফেরা করতো। এমনকি কিছু প্রেমিকের সাথে বোরকা পরেও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে শয্যসঙ্গী হয়ে রাত যাপন করেছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রেমের অভিনয় করে চাকুরী নামধারী বহুরূপি এ প্রতারক মেয়েটির লক্ষ্য অর্থ কামাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 7 =