আইইউবিএটি উপাচার্য ড. আলিমউল্যার ইন্তেকাল

0
1306

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রদূত ও আইইউবিএটি (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আলিমউল্যা মিয়ান আর নেই।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।  আইইউবিএটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য  তার মরদেহ আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাখা হবে।
অধ্যাপক মিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অনার্স ও ১৯৬৩ সালে মাস্টার্স করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ১৯৬৮ সালে এমবিএ এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার স্কুল অব বিজনেস থেকে ১৯৭৬ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
ড. মিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডাইরেক্টর ও অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর পপুলেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ (সিপিএমআর)-এর  প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনিই প্রথম বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার হাত দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটি।
১৯৯৪ সাল থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. মিয়ান সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর লেবার এন্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ল’ এর নির্বাহী কমিটির সদস্য, এসোসিয়েশন অব ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউশন্স ইন সাউথ এশিয়া (এমডিসা)-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সদস্য।
এছাড়া তিনি সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইতালি, ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট ইউএসএ ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।
অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিকভাবে অধ্যাপক মিয়ান একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং মরহুম বীর প্রতীক কর্নেল সফিক উল্যার ছোটভাই।
ড. মিয়ান ১৯৬৩ সালে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি শিক্ষাদানে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × one =