২০৩০ সালে দেশকে সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যেতে ‘দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ’ ও ‘প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা’সহ ২৫৬ দফা সম্বলিত ‘ভিশন ২০৩০’ রুপকল্প ঘোষণা করেছেন খালেদা জিয়া।

0
667

রিপোর্টার নানাঃ বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই রুপকল্প উপস্থাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২০৩০ সালে রাষ্ট্র পরিচালনায় গেলে কীভাবে দেশ গড়ে তুলতে চায়, কী কী বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে চায়- এর রোডম্যাপও রয়েছে এই রুপকল্পে। খালেদা জিয়া বলেন ‘‘  আমরা যে ভিশন উপস্থাপন করলাম, তা অর্জনে কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। আমরা লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশটাকে উন্নত ও মর্যাদাবান দেশে পরিণত করা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব।” ‘‘ আমরা আশা করি, এই ভিশন বাস্তবায়নে আমরা দেশবাসীর সক্রিয় সমর্থনের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানসমূহেরও সহযোগিতা পাবো।” দলমত নির্বিশেষে সকল নাগরিক ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নে সক্রিয় সমর্থন জানাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ‘ভিশন ২০৩০’ অগ্রাধিকার বিষয়গুলো হচ্ছে : # জন-আকাংখাকে মর্যাদা দিয়ে জনগনকে সম্পৃক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনা #  প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনাতে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। #  দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠা। রাষ্ট্রের এক কেন্দ্রিক চরিত্র অক্ষুন্ন রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে সংসদের উচ্চ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। #  গণভোটের ব্যবস্থা পূণ:প্রবর্তন করা হবে। # সংসদকে জাতীয় কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করতে পাবলিক একাউন্টস কমিটি ও পাবলিক আন্ডারকিংস কমিটির সভাপতিতাব বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর অর্পন করা হবে। # সুশাসন, সুনীতি ও সু-সরকারের (থ্রি জি) সমন্বয় ও বৃহত্তর জনগনের সম্মিলনের মাধ্যমে ‘ইনক্লুসিভ সোসাইটি’ গড়ে তোলা হবে। # প্রশাসনিক স্বচছতা ও জবাবদিহিতা সৃষ্টি করতে সংবিধান অনুযায়ী ন্যায় পাল পদ সৃষ্টি করা হবে। # বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯৭৪ বাতিল করা হবে। # বিচার বিভাগের কার্য্কর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করে জনগনের জন্য ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা হবে। অধনস্ত আদালতকে নির্বাহী বিভাগের আওতামুক্ত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় স্থাপন করা হবে। # বিদ্যমান বিচার ব্যবস্থান সংস্কারে একটি উচ্চ পর্যায়ের জুডিশিয়াল কমিশস গঠন করা হবে। # পুলিশের ওপর বিচার বিভাগের তদারিক নিশ্চিত করে জবাবদিহি ও কল্যাণমূলক জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে। # তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করা হবে। বিএনপি সৎ সাংবাদিকতার পরিবেশ পুনরুদ্ধার করবে এবং চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাজণৈতিক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। # প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার জন্য মুক্ত চিন্তা ও গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ একটি নীতিমালা প্রনয়নে সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, আইটি বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে। # সস্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিএনপি বাংলাদেশের ভু-খন্ডের মধ্যে কোনোরকম সন্ত্রাসবাদী তৎপরতাকে বরদাশত করবে না এবং সন্ত্রাসবাদীকে আশ্রয়-প্রশয় দেবে না। একই সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গঠন এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপকে উৎসাহিত করবে। #  প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিক প্রশিক্ষন, প্রযুক্তি ও সমর-সম্ভারে সুসজ্জিত, সুসংগঠিত, যুগোপযোগী ও সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা হবে। জাতীয় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অংশগ্রহন উৎসাহিত করা হবে।  # বিএনপি অন্য কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও অন্য কোনো রাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করবে না। একইভাবে তারা (বিএনপি) দৃঢ় অঙ্গীকার করছে যে, অন্য কোনো রাষ্ট্রও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করলে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে। মুসলিম উম্মাহ ও প্রতিবেশি দেশসমূহের সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলবে বিএনপি। #  ‍মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সন্মান্বিত নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রনয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রস্তত করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি এবং এই ভাতা ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতি ও ক্রটিমুক্ত করা হবে। # সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভুমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হবে। # ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা হবে। মাধাপিছু আয় ৫ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হবে। এরজন্য বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ডবল ডিজিটে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। # আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে শৃঙ্খলা আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসন, ক্ষমতা ও তদারকি নিবিড় ও শক্তিশালী করা হবে।  ব্যাংক কার্য্ক্রম পরিচালনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশন বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকসমূহ পরিচালনা ও তদারকির ভার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ন্যস্ত করা হবে। # এক দশকের মধ্যে নিরক্ষরকা দূর করা এবং শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫% অর্থ ব্যয় করা হবে। মেয়েদের ও ছেলেদের জন্য স্নাতক ও সমপর্যায় পর্য্ন্ত অবৈতনিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। ছেলে ও মেয়েদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কার্য্ক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রত্যেক জেলায় একটি করে স্মার্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। # নেতৃত্ব তৈরি লক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও উ্চ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদের নির্বাহী নিশ্চিত করা হবে। # প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তভুর্ক্ত করা হবে। # নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, আইন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মতো সাংবিধানিক ও আধা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতি-অনিয়ম-দলীয়করণমুক্ত করা হবে। #  স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘ন্যায়পাল’ বা ‘ওম্বুডসম্যান’ এর পদ ও কার্যালয় সক্রিয় করা হবে। #  মেয়েদের জন্য স্নাতক ও ছেলেদের জন্য দশম শ্রেনী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষা সম্প্রসারণে জাতীয় টিভিতে পৃথক একটি চ্যানেল চালু করা হবে। # স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা হবে। ক্ষমতা ও উন্নয়নের ভরকেন্দ্র হবে গ্রামমুখী। #  প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষিখাতকে পূনর্বিন্যাস ও বিকশিত করা হবে। # দ্রুত সময়ে সার্বজনিন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে। পর্য়ায়ক্রমে স্বাস্থ্য বীমা চালুক করা হবে। সকল নাগরিকদের জন্য জেনারেল প্রেকটিশনার(জিপি) ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একজন চিকিৎসক নির্দিষ্ট থাকবেন। গরীব মানুষের জন্য ৫০ ধরণের প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে করা হবে।  # নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা , এসিড নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, ধর্ষন, নারী ও শিশু পাঁচার রোধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।শিশুশ্রম রোধে কার্য্কর বাস্তবানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে। শিশু সন্তান রেখে নারীরা যাতে নিশ্চিন্তে কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন, সেজন্য অধিক সংখ্যক ডে কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হবে। # জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পর্যায়ক্রমে শূণ্য শতাংশে কমিয়ে আনার কার্য্কর উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। # বেকার যুবক-যুবতীর জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। একবছর ব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটা আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে।  # শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি আবার চালু করা হবে হবে এবং শুকিয়ে যাওয়া বা পালিমাটিতে ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-বিল, নদী-নালা ও হাজা-মজা পুকুর ও দিঘী পূণঃখনন করা হবে। পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদ, ধলেশ্বরী, গড়াই, মধুমতি, করতোয়া ইত্যাদি খনন করে পানি সংরক্ষন জলাধার সৃষ্টি করা হবে। # আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিৎসা আদায়ে বিএনপি আঞ্চলিক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নেবে। প্রয়োজনে শক্তিশালী কুটনৈতিক উদ্যোগও গ্রহন করা হবে। # সমুদ্র উদ্ভিদ ও প্রাণীসম্পদের মজুদ অর্থাৎ ব্লু ইকোনমি সম্পর্কে নিয়মিতভাবে বিজ্ঞানসম্মত জরিপ পরিচালনা করা হবে। # ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তোলা হবে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে একটি সমন্বিত জাতীয় জ্বালানি নীতি প্রনয়ন করা হবে। অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে যে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনৈতিক দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে তার জন্যে ইলেক্ট্রিসিটি এন্ড এনার্জিস রেপিড সাপ্লাই ইনক্রিজ এ্যাক্ট-২০১০ পুণঃপরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।

 

# বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে পারস্য উপ-সাগরীয় দেশসমূহ ইরান ও মধ্য এশিয়ার দেশসমূহ এবং পাকিস্তান ও ভারতের আন্তঃদেশীয় গ্যাস পাইপ লাইনে সংযুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

# রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি পুনঃপরীক্ষা করা হবে।

#  চট্ট্রগ্রামে বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করে একে একটি ‘রিজিওনাল হাব’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সার্ক ও আশিয়ানভুক্ত দেশসমূহের সাথে রেল ও সড়ক যোগাযোগের উদ্যোগ এবং চীনের ‘ওয়ান বেল্ট- ওয়ান রোড’ উদ্যোগে সংযুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

# দ্বিতীয় যমুনা সেতু, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া প্রান্তে দ্বিতীয় পদ্মাসেতু, ব্রক্ষপুত্র সেতু, বুড়িগঙ্গা, মেঘনা, গোমতি ও কর্ণফুলী নদীর ওপর আরো সেতু নির্মান করা হবে।

# ‘এখনিক ট্যুরিজম’ ও ‘ওয়াটার ট্যুারিজম’ চালু করা হবে।

গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৩০ দেশের কুটনৈতিকরাও ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঘন্টাব্যাপী বক্তব্যে ‘ভিশন ২০৩০’ রূপকল্প এর সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন খালেদা জিয়া। বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে শুরু করা এই সংবাদ সম্মেলনে চলে টানা ৬টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এ সময়ে খালেদা জিয়া টানা লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান।

এই রূপকল্পটি বই আকারে প্রকাশ করা হয়।  ৪১ পৃষ্টার এই রূপকল্পটি বাংলা ও ইংরেজী- এই দুই ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক নুরুল আমিন, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, সোহরাব হাসান, তৌফিক ইমরোজ খালিদী, জ ই মামুন, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আনিস আলমগীর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য  খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা  আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজউদ্দিন আহমেদ,  চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর  নাসির,  খন্দকার মাহবুব হোসেন, রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহেমেদ চৌধুরী, আমীনুল হক, আবদুল আউয়াল মিন্টু,  এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী,  শওকত মাহমুদ, হারুনার রশীদ, রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব,  মুশফিকুর রহমান, আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুল কাউয়ুম,  অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, অধ্যাপক সাহিদা রফিক, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, আবদুর রেজ্জাক খান, এজে মোহাম্মদ আলী, মনিরুল হক চৌধুরী, খন্দকার গোলাম আকবর, আসাদুজ্জামান রিপন, শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন আহমেদ দিদার  ছিলেন।

২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আন্দালিব রহমান পার্থ, সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহি, মোস্তফা জামাল হায়দার, এম এ রকীব, সৈয়দ মজিবুর রহমান, শফিউল আলম প্রধান, রেদোয়ান আহমেদ, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ,  মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জেবেল রহমান গনি, আজহারুল ইসলাম, আবু তাহের চৌধুরী,  সৈয়দ মাহবুব হোসেন,  সাঈদ আহমেদ,  মুফতি মো. ওয়াক্কাস, সাইফুদ্দিন মনি।

ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জামার্নী, তুরস্ক, ভারত, নরওয়ে, সৌদি আরব, কাতার, ডেনমার্ক, পাকিস্তান, দক্ষিন কোরিয়া, সংযুক্ত আবর আমিরাত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইউএনপিডি প্রভৃতি দেশের কুটনীতিকও এই অনুষ্ঠানে আসেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × four =