উজিরপুর প্রতিনিধি ঃ উজিরপুরের ৮নং শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৩ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে বেলা ১১টায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান মীর পিকিং কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সরোয়ার হোসেন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিএনপি প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় ভেবে নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ সরোয়ার হোসেন ৬ হাজার ১শত ৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আঃ গফ্ফার হাওলাদার ৬শত ৫৫ ভোট পেয়েছেন। বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের কামরুজ্জামান মীর পিকিং পেয়েছেন ৫শত ৯৬ ভোট। ভোট গ্রহনের প্রথমার্ধে ১নং ভোট কেন্দ্রে বরতা আঃ গনি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়। ৩নং ভোট কেন্দ্র জয়শ্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে একজন আহত হয়। ৮নং পশ্চিম মুন্ডপাশা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে আওয়ামীলীগের এক সমর্থকের উপর হামলা চালায় বিএনপি সমর্থকেরা। ৬নং শিকারপুর জি.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পুলিশ প্রশাসনের সাথে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। জয়শ্রী-মুন্ডপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অন্যের ব্যালট হাতিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন সহকারী পুলিশ সুপার উজিরপুর সার্কেল সাহাবুদ্দিন কবির। পরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে বিদায় করেন। এই ইউনিয়নের ১১ হাজার ৮শত ৬১ ভোটের মধ্যে ৮ হাজার ৩শত ৯ ভোট কাষ্ট হয়েছে। ১শত ৭ ভোট বাতিল হয়েছে।