: ঢাকা সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ) ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল বাসেত খান বাচ্চুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জামিনে বের হয়ে মামলা ও জিডি তুলে নিতে ধর্ষিতা গৃহবধূকে নানা ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মুগদা এলাকার ধর্ষিতা গৃহবধূ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার স্বামী প্যারালাইসড ছিলেন। ওই সময় প্রতিবেশী কাউন্সিলর বাচ্চু প্রায়ই তাকে বিরক্ত করতেন। পাশাপাশি কু-প্রস্তাবও দিতেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। কিন্তু এতে ঘটনার কোন সুরাহা হয়নি। পরে গত বছরের ৩ এপ্রিল বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরি করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলর ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে তার এক রক্ষিতা মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। গতবছরের ৬ ডিসেম্বর মুগদা থানার ওসির উপস্থিতিতে মিমাংসার কথা বলে বাচ্চু ওই গৃহবধূকে স্থানীয় কার্যালয়ে ডেকে নেন। দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা শেষে ওসি চলে গেলে গৃহবধূকে সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়। তার বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে মারা যান। বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী এবিএম শরিফকে জানানো হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয় গৃহবধূকে। গত বছরের ১২ আগস্ট মুগদা থানার কাউন্সিলর আব্দুল বাসিত খান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয় (মামলা নম্বর-০৪, ০৮/১২/২০১৬ইং)। পরে সে জামিনে বের হয়ে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এই হুমকির ঘটনায় ও একটি জিডি করা হয় (জিডি নম্বর-২০৬, ০৪/০৫/২০১৭ইং)। এরপর অভিযুক্ত বাচ্চুর ভাগিনা মো. খোরশেদ ও জজ কোর্টের পেশকার গোলাম মোস্তফাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে বাদীর বাড়ীতে ঢুকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কয়েকটি স্ট্যাম্পে ও সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করে এবং মোবাইলে কয়েকটি ছবি তুলে নেয়। এ ব্যাপারেও থানায় একটি জিডিও করা হয় (জিডি নম্বর-৯০২, ১৮/০৫/২০১৭ ইং)। পরে স্থানীয়রা কাউন্সিলর বাচ্চুর বিচারের দাবীতে মিছিলও করে। থানা পুলিশের উদাসীনতায় এই কাউন্সিলর গ্রেফতার হচ্ছেনা। এ অবস্থায় বাচ্চুকে গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।