তানোর ‘রাজশাহী’ প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোর পৌরসভার মেয়র ও তানোর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান পৌর এলাকায় পশুহাট বসানোর নামে পৌরসভার তিনটি হাট ইজারার প্রায় ৬০ লাখ টাকা তছরুপ করেছে আর এই কারণে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সাত মাস ধরে বেতনভাতা পাচ্ছেন না বলে পৌরবাসির মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন বইছে। অথচ নিয়ম রয়েছে পৌরসভার হাট-ঘাট ইজারার টাকা পৌরসভার ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতে হবে।
বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে তানোর পৌরসভার গোল্লাপাড়া হাট, কালিগঞ্জ হাট ও তালন্দ হাট ইজারার টাকা পৌরসভার ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা না রেখে মেয়র ওই টাকা দিয়ে বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানির এজেন্সী নিয়েছেন। অথচ এই তিনটি হাট তানোর পৌরসভার রাজস্ব আদায়ের প্রধান উৎস্য। এদিকে এসব টাকা তছরুপ জায়েজ করতে মেয়র অভিনব কৌশল অবলম্বন করে পশুহাট বসানোর কথা বলে পৌর কার্যালয়ে রাজকীয় ভূরিভোজ আয়োজন করেন। এখন তিনি শুর তোলেছেন পশুহাট বসানোর উদ্যোগ নিতে গিয়ে পৌরসভার হাট ইজারার বিপুল টাকা খরচ হয়েছে। সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে এসব সূত্র দাবী করেছেন।
তানোর পৌরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, পশুহাট বসানোর নামে তিনটি হাট ইজারার টাকা প্রায় পুরোটায় মেয়র তছরুপ করেছেন। যার ফলে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে তারা বেতনভাতা পাননি,তবে ঈদের আগে মাত্র এক মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দিয়েছেন। আর এই এক মাসের বেতনভাতা দিতেই পৌরসভার তহবিল প্রায় শূণ্য, তাহলে হাট ইজারার বিপুল টাকা গেলো কোথায়? । ইতিপূর্বে পৌর মেয়র, প্রকৌশলী ও কার্যসহকারীর বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার চিত্র তুলে ধরে ডিডিএলজি-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিল পৌরসভার এক কর্মকর্তা। এদিকে বেতনভাতা না পেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হলেও মেয়র, প্রকৌশলী ও কার্যসহকারী বিলাস জীবনযাপন করছেন পাশপাশি এডিপি প্রকল্প বাস্তবায়নেও পুকুর চুরি করা হয়েছে বলেও এলাকায় ব্যাপক প্রচার রয়েছে। তানোর পৌরবাসি এসব বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান বা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সাংসদ ‘এমপি’ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে তানোর পৌর প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বিষয়ে মেয়র সাহেব ভাল বলতে পারবেন তিনি মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এব্যাপারে তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পশুহাট বসানোর জন্যে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে এবং তার জন্যে খরচও হয়েছে ব্যাপক পরিমাণে। এ জন্যে অনেক লোকসানের মধ্যে পড়ে রয়েছি।