সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নিজেদের নির্দোষ দাবি করে প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার ২৯ জন চার্জশিটভুক্ত আসামি। একইসঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা উল্লেখ করে প্রধান আসামি পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরুর মুক্তি দাবিও করেন তারা। রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব হল রুমে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান শাহজাদপুর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ও শিমুল হত্যা মামলার ১৬ নং আসামি শীতিকণ্ঠ ঘোষ শিমুল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঘটনার দিন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আবদুর রহিমের নেতৃত্বে দুই শতাধিক অবৈধ অস্ত্রধারী মেয়র মীরুর বাড়িতে হামলা করে। এ সময় মেয়র মীরুর কতিপয় কর্মী ও এলাকাবাসী হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় হামলাকারীদের গুলিতেই আহত হন দায়িত্বরত সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুলসহ মেয়র মীরুর চার কর্মী। গুরুতর আহত শিমুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মেয়র মীরু। কিন্তু ঢাকায় যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হলে একটি মহল সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে নিরপরাধ মীরু ও তার কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করায়। সংবাদ সম্মেলনে জামিনে মুক্তি পাওয়া আসামিরা বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলেন না। ওইদিনের ঘটনায় সাংবাদিক শিমুল আর মেয়রের কর্মীরাই শুধু গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। হামলাকারীরা কেউই গুলিবিদ্ধ হননি। ব্যালেস্টিক রিপোর্টে নিহত শিমুলের মাথার ভেতর থেকে পাওয়া সীসার বলটি মেয়রের জব্দকৃত শর্টগানের নয়-প্রমাণিত হলেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ঘটনার দিন দায়িত্বরত সাংবাদিক শিমুল আহত হওয়ার পর তার ব্যবহৃত ক্যামেরাটি এখনো উদ্ধার করেনি পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন-মামলার ৪নং আসামি কে এম নাসির উদ্দিন, ৫নং আসামি ও শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান পীযুষ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির ও হাফিজুল হক পিন্টু।