১০ লাখ টাকায় ১টি মাছ বিক্রয়

0
813

৪০ কেজি ওজনের তেলিয়া ভোলা মাছ বিক্রি হল ১০ লাখ টাকায়। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূল দীঘা মোহনার পাইকারি বাজারে এ বিশাল আকারের মাছটির নিলাম হয়। এদিন মাছটি দেখতে মতস্যজীবী থেকে সাধারণ মানুষ উপচে পড়েন। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের। সূত্র জানায়, বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মন্দারমনি উপকূল থানার কালিন্দীর বাসিন্দা জাকির হোসেনের জালে বিশালাকারের এ তেলিয়া ভোলা মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি লম্বায় পাঁচ ফুট ও ওজন ৪০ কেজি। মাছটি ধরা পড়ার পর সেটি নিলামে ওঠানোর জন্য নিয়ে আসা হয় দীঘা মোহনা বাজারে। এর পর শুরু হয় ক্রেতাদের দরদাম। দুপুর পর্যন্ত চলে নিলাম। ১৯ হাজার রুপি থেকে দাম উঠতে উঠতে শেষ পর্যন্ত সেটি বিক্রি হয় সাত লাখ ৬০ হাজার রুপিতে (যা বাংলাদেশি ১০ লাখ টাকা)। মাছটি কেনেন ‘এমআরএফটি’ নামের একটি মৎস্য ব্যবসায়ী সংস্থার পক্ষে দেবাশীষ জানা। নিজের জালে ধরা বিশালাকার মাছটি এত দামে বিক্রি হওয়ায় স্বভাবতই খুশি জাকির হোসেন। অন্যদিকে বিশাল আকারের তেলিয়া ভোলা মাছটি কেনার পর ক্রেতা দেবাশীষ জানা বলেন, ‘মাছটি কিনতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’ তেলিয়া ভোলা মাছের এত দামে বিক্রি হওয়া প্রসঙ্গে দীঘা মোহনা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা আড়তদার নবকুমার পয়ড়া বলেন, শংকর প্রজাতির এ মাছ আগেও বেশ কয়েকবার সমুদ্র উপকূলে ধরা পড়ে। তবে এবারের মাছটি আকারে বেশ বড়। নবকুমার পয়ড়া আরও বলেন, এ মাছের পটকা জীবনদায়ী ওষুধ ও ক্যাপসুলের খোল তৈরির কাজে লাগে। ফলে বিদেশের বাজারে এ মাছের চাহিদা রয়েছে ও দামও বেশি। এ ধরনের মাছ খাওয়াও যায়। পটকা ছাড়া এ মাছ ৪০০-৫০০ রুপি কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে মাছের পটকার কদরই বেশি। যারা মাছটি কিনেছেন, তারা চীন বা অন্য কোনো দেশে তা রফতানি করবেন। সেখানেই পটকা থেকে জীবনদায়ী ওষুধ ও ক্যাপসুলের খোল তৈরি হয়। নবকুমার বলেন, এ ধরনের মাছ গভীর সমুদ্রে বিচরণ করে। কিন্তু প্রজননের জন্য উপকূলে চলে আসে। তখনই মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − one =