ঘন কুয়াশায় ট্রেন-বাসের সিডিউল বিপর্যয়
গত কয়েকদিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশায় পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি ও সান্তাহারসহ এর আশপাশ এলাকায় জেকে বসেছে শীত। হারকাঁপানো তীব্রশীত ও কুয়াশায় ট্রেন-বাসের সিডিউল বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। এতে দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। গত কয়েক দিনে হারকাঁপানো শীতে শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের শত শত মানুষ শীতজনিত রোগে
আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। হঠাৎ করে ঘন কুয়াশা এবং গত কয়েকদিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এসব এলাকায় শীত জেকে বসেছে গত তিন চার দিন এসব এলাকায় সূর্যের দেখা না পাওয়া গেলেও বুধবার দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে। হাঁড় কাঁপানো শীতের কারণে দিনদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তীব্র শীতের সাথে ঘন কুয়াশায় গতি কমেছে ট্রেন-বাসসহ যাত্রী পরিবহনের। ফলে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর একতা, দ্রæতযান, নীলফামারী থেকে নীলসাগর, লালমনির হাট থেকে লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেসসহ উত্তরাঞ্চলের সাথে দক্ষিণঞ্চলের চলাচলকারী ট্রেনগুলো ৪/৫ ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করছে। এ ছাড়াও ঢাকাগামী বাসগুলো ১০ থেকে ১২ ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করছে বলে জানা গেছে। ফলে যাত্রী এবং সর্বসাধারন ও শ্রমজীবি মানুষ পরেছে দুর্ভোগে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাসাবাড়ী থেকে বাইরে বের হচ্ছেনা কেউ। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শহরের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরগুলো হয়ে পরছে জনশুন্য। শীত বস্ত্রের অভাবে শীতে কাহিল হয়ে পরেছে হতদরিদ্র পরিবার ও রেল ষ্টেশনে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষ। খড় জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছে শিশু, কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। এছাড়াও কৃষি কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। অসময়ে বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে শীতকালীন সবজি ও ইরিবোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আলু সরিষার ক্ষেত নিয়ে কৃষকরা বেশী চিন্তিত। একটানা বিরুপ আবহাওয়া থাকলে আলু সরিষার ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।