অব্যাহতি পেলেন শিক্ষক অনির্দিষ্টকালের জন্য

1
636

অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ ওঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রভাষক উম্মে কাউছার লতার পর এবার মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আকিব উল হককেও বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই

সঙ্গে ওই শিক্ষকের জন্য বরাদ্দকৃত কলা ভবনের ৩০৪৯ নম্বর কক্ষের বরাদ্দও বাতিল করা হয়েছে। নিন্দা প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে বিভাগের একাডেমিক মিটিং এ। আজ বৃহস্পতিবার এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছন মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. নাসরীন ওয়াদুদ। তিনি জানান, আকিব উল হককে বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও বিভাগের একাডেমিক সভায় নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আকিব উল হককে ফিরত দিতে হবে তার জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষটিও। নাসরীন ওয়াদুদ বলেন, ‘গত তিনদিন যাবৎ আমাদের বিভাগের পরীক্ষা থাকায় শিক্ষকদের একসঙ্গে করা যায়নি বলে আকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।’ এর আগে একই অভিযোগে অভিযুক্ত এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রভাষক উম্মে কাউছার লতাকে বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে এক বছরের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম। তার দুই দিনের মাথায় অব্যাহতি পেলেন আকিব উল হক। উল্লেখ্য, গত ৩০শে ডিসেম্বর বিকেলে আকিব উল হকের কক্ষ থেকে এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রভাষক উম্মে কাউছার লতাকে তালাবদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রক্টরিয়াল টিম। ওই সময় আকিবের স্ত্রী তাহমিনা অভিযোগ করেন আকিব এবং লতার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে একই রুমে পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে তাহমিনা বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর, ও বিভাগ দুটির চেয়ারম্যান বরাবর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়। এর আগেও গত বছরের প্রথম দিকে আকিব এবং লতাকে একই রুমে এক সঙ্গে পেয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ করেছিলেন তাহমিনা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 − five =