গর্ভপাতের ফলে মৃত্যু ॥ লাশ গুমের চেষ্টা

0
650

বৃহস্পতিবার সকালে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার চর মহিষকান্দি গ্রামের ইউসুফ খানের কন্যা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তাসলিমা আক্তারের লাশ মাটি খুঁড়ে গুম করার সময় উদ্ধার করেছে গোসাইরহাট থানা পুলিশ। একই উপজেলার কুচাইপট্রি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জোর করে অবৈধ

গর্ভপাত ঘটানোর সময় তাসলিমা আক্তারের মৃত্যু হয়। পরে মাটি খুঁড়ে লাশ গুম করার সংবাদ পেয়ে এএসপি খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে গোসাইরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একই উপজেলার কুচাইপট্রি ইউনিয়ন কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো এবং লাশ গুমের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী পরিদর্শক মাজেদা বেগম ও তার ভাই আমিরুল আমীনকে আটক করেছে পুলিশ। গোসাইরহাট থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোসাইরহাট উপজেলার চর মহিষকান্দি গ্রামের ইউসুফ খানের কন্যা তাসলিমা আক্তার এবছর স্থানীয় ৯৪ নং চর মহিষকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে একই গ্রামের প্রভাবশালী মাতুব্বর নুরুল ইসলাম তাকে ৪ মাস পূর্বে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ফলে গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে তাসলিমা আক্তার। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যা করার হুমকি দেয় নুরুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে নুরুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম তাসলিমাকে ফুঁসলিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তাকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় কুচাইপট্রি ইউনিয়ন কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সারাদিন আটকে রেখে রাতে জোর করে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা চালায় উক্ত কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী পরিদর্শক মাজেদা বেগম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যায় তাসলিমা আক্তার। এরপর গ্রাম্য মাতুব্বর ধর্ষক নুরুল ইসলামের হুকুমে উক্ত কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই মাটি খুঁড়ে লাশ গুমের চেষ্টা চালায় স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক মাজেদা বেগম, তার ভাই আমিরুল আমীনসহ অন্যান্যরা। নিহতের পিতা ইউসুফ খান বলেন, আমি আমার মেয়ের ধর্ষণকারী ও হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। এ ব্যাপারে মূল অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। শরীয়তপুরের এএসপি গোসাইরহাট সার্কেল) খায়রুল হাসান জানান, কুচাইপট্রি ইউনিয়ন কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে মাটি খুঁড়ে একটি লাশ গুম করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো ও লাশ গুমের সাথে জড়িত অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মূল অভিযুক্ত ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টায় পুলিশের ২ টি টিম অভিযান চালাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 16 =