টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গ্রামীণ রাস্তার পাশ বাড়ানোর জন্য সরকারি জায়গার বিশাল আকৃতির কয়েকটি মেহগনী ও ইউকেলিপ্টাস গাছ কেটে কর্তনকৃত গাছের ছবি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন উপজেলার ৩নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া রাস্তার পাশ থেকে এ গাছগুলো কেটে ফেলেন তিনি।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। জানা গেছে, উপজেলার ৩নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তিন নং ওয়ার্ডে তার বাড়ির সামনে থেকে পশ্চিমপাড়া মসজিদ পর্যন্ত ৬০০ ফুট রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকালে সোহেল মিয়ার বাড়ি এবং রমেজ মিয়ার মুরগীর ফার্মের পাশ থেকে সড়কের পাশ বাড়ানোর কথা বলে বিশাল আকৃতির কয়েকটি মেহগনি ও ছোট ছোট কয়েকটি ইউকেলিপ্টাস গাছ শ্রমিক দিয়ে কেটে ফেলেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। গাছ কাটার পর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তার ফেসবুক আইডিতে কর্তনকৃত গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি দিয়ে লিখেছেন ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যোগে রাস্তার গাছ কেটে মাটি ফালানো হচ্ছে। পরে দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, তার বাড়ির সামনে থেকে পশ্চিম পাড়া মসজিদ পর্যন্ত ৬০০ ফুট রাস্তায় মাটির উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। রাস্তার পাশ কম হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে পরিমাপ করে দেখা গেছে গাছগুলো সরকারি রাস্তার সীমানার মধ্যে রয়েছে। এজন্য রোপনকৃত গাছগুলো সংশ্লিষ্ট মালিকদের কেটে নিতে বলা হয়েছে। যারা না নিচ্ছেন তাদের গাছগুলোই কেটে ফেলা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি রাস্তার পাশে সরকারি জায়গায় যেকোনো গাছ সরকারের। এই গাছ সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ কাটতে পারবেন না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।