রাজশাহী মহানগরীর কাপাশিয়া এলাকায় একটি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ওই অধ্যক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কাপাশিয়া এলাকার রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে কাপাশিয়া মহানগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনিস্টিটিউট নামের ওই কলেজটি ছুটির পর অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম রিপন কলেজের স্কুল শাখার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার দপ্তরে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় অন্য একটি রুমে নিয়ে ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষ জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি চাউর হতে থাকলে এলাকাবাসী হয়ে ওঠে বিক্ষুব্ধ। এলাকাবাসী অভিযোগ অভিযোগ করে বলেন, একজন কলেজ অধ্যক্ষ তারই মেয়ে সমতুল্য ছাত্রীকে রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এমন ন্যক্কারজনক ও পৈশাচিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা দ্রুত অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তবে অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম রিপন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকার কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এ অভিযোগ তুলেছে। এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিতভাবে এমন নাটক সাজিয়েছে।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে ওই এলাকার লোকজন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ওসি আরও বলেন, তবে এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।