মেট্রোরেল দৃশ্যমান করতে খুব দ্রুতই স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা

0
1091

দু’টি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) পিলারের ওপর বসানোর ফলে উত্তাল পদ্মার বুকে দৃশ্যমান প্রায় ৩০০ মিটার স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এই অগ্রগতিতে দেশবাসীর আশাবাদ বেড়ে গেছে আরও। সরকার এই আশাবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যাপারেও। জনগণের চোখে মেট্রোরেল দৃশ্যমান করতে ৩-৪ মাসের মধ্যেই স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ঢাকা ম্যাসর্ যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ডিএমআরটিডিপি) বা মেট্রোরেল প্রকল্প সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই পরিকল্পনার কথা জানা গেছে।

উত্তরা থেকে মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের যাত্রীদের যাতায়াত দ্রুত ও সহজ করতে ২০১৯-২০২০ মেয়াদে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা। প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ করে আসার কথা। কিন্তু দেশবাসীকে প্রকল্পের কাজ জানান দিতে আগারগাঁওয়েই প্রথমে স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রকল্প সংশিস্নষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেল আর স্বপ্ন নয়, এটা বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যাপার। বিষয়টি দেশবাসীকে জানান দিতে আগারগাঁও ৯ নম্বর স্টেশনের সামনে দু’টি স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটা স্প্যানের দৈর্ঘ্য হবে ৩০ মিটার। যেন রাজধানীর মানুষ এই উন্নয়ন কাজ দেখতে পারে, সে জন্য দিয়াবাড়ির পরিবর্তে আগারগাঁও এলাকায় প্রথমে স্প্যান বসানো হবে। সূত্র মতে, উত্তরা তৃতীয় পর্ব (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার অংশ ২০১৯ সালের মধ্যেই উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্প বাস্ত্মবায়নে যে আট প্যাকেজে ভাগ করে কাজ চলছে, এই অংশটুকু প্যাকেজ-৩ ও প্যাকেজ-৪-এর অংশ। সে জন্য প্রকল্পের এই অংশটির কাজই ধরা হয়েছে আগে। আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের স্প্যান বসানো প্রসঙ্গে এক কর্মকর্তা বলেন, দিয়াবাড়ি থেকে স্প্যান বসানোর কাজ হওয়ার কথা ছিল। এটা পরিবর্তন করে বিশেষ উদ্যোগে আগারগাঁও এলাকায় আগামী তিন মাসের মধ্যেই স্প্যান বসানো হবে। তাহলে হাজার হাজার মানুষ এই স্প্যান দেখবে। এতে করে পুরো দেশবাসীর মধ্যে একটা আস্থা সৃষ্টি হবে মেট্রোরেল প্রকল্পের বিষয়ে। প্রকল্পের কাজ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল খুলে দেয়া হবে। আর ২০২০ সালের মধ্যে চালু করা হবে মতিঝিল পর্যন্ত। যে এলাকায় স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা চলছে, অর্থাৎ উত্তরা নর্থ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত্ম, সেখানে এখন ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ব্যয় হচ্ছে চার হাজার ২৩০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এই প্যাকেজের আর্থিক অগ্রগতি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। সম্পন্ন হয়েছে নয়টি টেস্ট পাইল। মূল পাইলও নির্মাণ কার্যক্রম শুরম্ন হয়েছে গত ডিসেম্বরে। অগ্রগতির বিষয়ে প্রকল্প সংশিস্নষ্টরা জানান, এরই মধ্যে ৯০টি মূল পাইল নির্মাণ কাজ শুরম্ন হয়েছে। এক হাজার ৫৯৫ কোটি টাকায় শুরু হয়েছে  ডিপো এলাকার কাজ। বর্তমানে সাইট অফিসের নির্মাণকাজ ও ডিপোর অভ্যন্ত্মরে চেক বোরিং এবং টেস্ট পাইল নির্মাণের কাজ চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − 8 =