বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

0
778

দুদিনে ধরা পড়েছে ৫৭০ মেট্রিক টন ইলিশ।

বাজার মূল্য ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

ধরা পড়া মাছগুলোর ওজন ৮-১১ শ গ্রাম।

প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-২৫০ টাকা দামে।

বঙ্গোপসাগরের উপকূলে গত রবি ও সোমবার দুদিনে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে। অসময়ে হঠাৎ এত ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরাও অবাক। মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এই দুদিনে ধরা পড়া ইলিশের পরিমাণ ৫৭০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ধরা পড়া মাছগুলোর ওজন ৮-১১ শ গ্রাম। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৫০ টাকায়। এলাকার জেলেরা বলছেন, গত ২০ বছরেও এমন ইলিশ ধরা পড়তে দেখেননি তাঁরা। প্রায় ২৫ বছর সাগরের মাছ ধরছেন জেলে নুরুল আমিন।

পেশাগত জীবনে কখনো একসঙ্গে এত ইলিশ ধরা পড়তে দেখেননি তিনি। তিনি বলেন, সাগরে যাওয়া প্রতিটি জেলের জালে কমবেশি ইলিশ ধরা পড়েছে। নৌকাগুলো ২ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার মতো মাছ পেয়েছে। সেন্ট মার্টিনের মৌলভীরশীল, মিস্ত্রিরবান, নয় বামেরশীল, পচাখালীর বাতিরদিয়া, চৌদ্দবাইন, ষোলবাইন ও কক্সবাজার এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে বলে জেলেরা জানান। মাছভর্তি ইঞ্জিনচালিত শতাধিক নৌকা (ট্রলার) টেকনাফের ফিশারিঘাটে ভিড় করছে। মাছ বেশি ধরা পড়লেও বরফ-সংকটের কারণে তা সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। ফলে মাছের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে জেলে ও ব্যবসায়ীরা হতাশ। সাবরাং মুন্ডারডেইল নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান ও ব্যবসায়ী মো. খুরশিদ আলম বলেন, হঠাৎ করে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় দামও কমে গেছে। বরফ-সংকটের কারণে (প্রতি কেজি) ১ হাজার টাকার ইলিশ বিক্রয় করতে হয়েছে গড়ে ৪০০ টাকা করে। উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত দুদিনে উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে ৫৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছের আকারও বড়। গড়ে মাছগুলোর ওজন এক কেজির মতো হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − one =