কুমিল্লার সীমান্তবর্তী কৃষ্ণপুর বড় পুকুরপাড় এলাকায় শামীম (২৩) নামের এক নির্মান শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় কোতয়ালী পুলিশ শনিবার রাতে রংপুরের তেতুলিয়াপূর্ব পাড়া গ্রাম থেকে সহকর্মী মেহেদী হাসান (২৪) কে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বিকেলে মেহেদীকে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী কৃষ্ণপুর বড়পুকুরপাড় এলাকার হাজী করিমের দোকানে থাকতো শামীম ও মেহেদী হাসান। পাশাপাশি নির্মান শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। চলতি মাসের ১ ফেব্রুয়ারী সকালে শামীমের সাথে মেহেদীর কথা কাটাকাটির জের ধরে মেহেদী শামীমকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ঘাতক মেহেদী পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এদিকে শামীমের মৃতুর খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার রুক্কা গ্রামের লুৎফুর রহমানের বড় ছেলে ফকরুল ইসলাম কুমিল্লায় ছুটে আসে।
পরে নিহত শামীমের বড় ভাই ফকরুল ইসলাম বাদী হয়ে মেহেদীসহ অপ্সাতনামা আরো ৩/৪জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী থানা পুলিশের এসআই মারুফের নেতৃত্বে একটি দল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার তেতুলিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মেহেদীকে গ্রেফতার করে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। গতকাল রোববার বিকেলে মেহেদীকে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।