ইরানি গণমাধ্যম প্রেসটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোববার কাতারভিত্তিক ওই সংগঠনটি বলেছে, মার্কিন এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণ ও সরকারগুলোর এখনই জেগে উঠতে হবে।
সংগঠনটির মহাসচিব আলী আল–কারাদাগি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমেরিকার এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা ফিলিস্তিনি, আরব ও মুসলিম বিশ্বকে জেগে উঠার আহ্বান জানাচ্ছি। বায়তুল মুকাদ্দাস হচ্ছে আমাদের মুসলমানদের এবং একে ভুলে যাওয়া কিংবা এর মর্যাদা বদলে দেয়া হবে সমস্ত মুসলমানের জন্য অপমানের
তিনি আরো বলেন, তেল আবিব থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আমেরিকা মূলত মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং এটা ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব বৈধ করার পদক্ষেপ।
এর আগে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস মার্কিন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে মুসলমান ও আরবদের বিরুদ্ধে উসকানি বলে অভিহিত করেছে।
গত শুক্রবার মার্কিন সরকার জানিয়ছে, আগামী মে মাসে তেলআবিব থেকে আমেরিকার দূতাবাস সরিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে নেয়া হবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন এবং মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার হোয়াইট হাউজ এ ঘোষণা দেয়।