রাজধানী উত্তরায় গত ২৫ জানুয়ারী ১২টার পর রোজি নামের এক গৃহকর্মীর সহযোগিতায় সালেহা বেগম, চাচা মোস্তাকুর রহমান ওরফে মোস্তফা ও তার ভাতিজা রিপন সহ আরও কয়েকজন ফুসলিয়ে রুপাকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঐ তরুণীর নানী লেবুজা (৬০) উত্তরা পশ্চিম থানায় গেলে পশ্চিম থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান- কিশোরী রুপা সহ ৫-৬ জন এসে আপনার বিরুদ্ধে জিডি করে চলে যায়। দারোগা আরও জানান- রুপাকে উদ্ধার করে দেিব বলে আশ্বাস দিয়ে থাকেন তার নানিকে। তবে জানা যায়, গত ১৮ই জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সেক্টর ০৯ ইমরানের বাসা থেকে রুপা (১৪) কে মোস্তাকিম তাদের রুমে ডেকে নিয়ে যায়। রুপার নানি রুপাকে তাদের বাসায় নিয়ে আসে। সেই দিন রাত ১২টার সময় মোস্তাকিন ও তার ক্যাডার বাহিনী রুপার নানির সাথে অকথ্য ভাষায় বকাঝকা করে ও এক পর্যায়ে তার উপরে হুমকি দেন।
সেদিন রাত আনুমানিক ১২:৩০ ঘটিকার সময় আকবর রুমে এসে কিশোরী রুপার হাত ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, কিশোরী রুপা মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত ইভটিজিং করত রিপন। অবশেষে গত ২৭ জানুয়ারি কুখ্যাত সন্ত্রাসী রিপন বাহিনী ও তার দলবল নিয়ে কিশোরী রুপাকে তুলে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ঐ জিডির তদন্ত কর্মকর্তা আবুসাঈদ (১) ঢাকা মহানগর ডিএমপির আওতাভূক্ত কিডন্যাপ, হুমকি ও অর্থ পাচারের মত কোন কিছ ুহলে তৎক্ষনাৎ পুলিশের সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ধার করা স্বল্প সময়ের মধ্যে হয়। কিন্তু প্রায় ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার করতে পারেনি উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ কিশোরী রুপাকে। উত্তরা পশ্চিম থানার প্রখ্যাত ভূমিখোর জজ মিয়াকে সাথে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার এ এসআই আবু সাঈদ (১) কে প্রায় ত্রিশহাজার টাকা দিয়ে মামলার তদন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরী রুপার নানি তার নাতনিকে উদ্ধারের জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবের নিকট আবেদন জানান। তবে সরেজমিনে জানা যায়, রিপন পুরনো একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার মাদকের ভয়াল ছোবলে হাজারও মানুষের জীবন ও উঠতি বয়সের তরুণ তরুণী অকালেই মাদকের নেশায় মেতে উঠেছে।
রুপার নানি জানান, এখনও আমাকে মারার জন্য হুমকি দিচ্ছে ও আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্টা চলছে। রিপনের চাচা মোস্তাকের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান- রিপন আমার দুঃসম্পর্কের ভাতিজা। আমি তার কোন খোঁজ খবর জানি না, সে কোথায় আছে।