কুমিল্লায় পুত্রবধূর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়া ও অনৈতিক সর্ম্পক দেখে ফেলায় প্রেমিক আর স্বামীকে সাথে নিয়ে জাহানারা (৫৫) নামে এক শাশুড়িকে হত্যা করেছে প্রেমিকসহ পূত্রবধু।
এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, বাতাঘাসী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (৩৮), নিহতের ছেলে সুমন (৩০) ও নিহতের পুত্রবধূ সুমনের স্ত্রী তানজিলা (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহতের ছেলে সুমন শারীরিক প্রতিবন্ধি। ঘাতক মনির সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে সুমন এর মোবাইলে ফোন করে। সুমনকে অলৌকিক কিছু পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে তার সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তার স্ত্রী তানজিলা আক্তারকে বস করে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রায় রাতেই তাদের ঘরে আসা-যাওয়া করার এক পর্যায়ে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন শাশুড়ি জাহানারা বেগম।
এদিকে ওই বিষয়টি শাশুড়ি প্রকাশ করলে সুমন ও তার স্ত্রী তানজিলা ওই অলৌকিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে বলে কুপরামর্শ দেন ভন্ড প্রতারক জ্বিনের বাদশা মনির। তাদের তিনজন পরিকল্পনা করে গত শনিবার দিনগত রাতে প্রেমিক মনিরকে সাথে নিয়ে শাশুড়িকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের একটি পুকুরের পানিতে চুবিয়ে জাহানারার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।
পরদিন দুপুরে নিহতের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের একটি পুকুর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় নিহতের ছেলে ও তার বউ পুলিশকে জানায়, শনিবার গভীর রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় জাহানারা। তারপর তাকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি। সকালে বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে একটি পুকুড়পাড়ে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়।
চান্দিনা থানার ওসি আলী মাহমুদ বলেন, হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।