পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, দেশের স্বার্থেই বন ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সিডর ও আইলার মতো ঘূর্ণিঝড় থেকে উপকূলকে রক্ষায় সুন্দরবনের ভূমিকা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। কিন্তু মানুষ তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। তারা বুঝতে পারছে না যে একটি বনভূমি ধ্বংস করা মানে নিজেদের জীবনের অশ্চিয়তা ডেকে আনা। তাই নিজেদের স্বার্থেই বন ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বন অধিদপ্তরে ‘আন্তর্জাতিক বন দিবস’ এবং ‘এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে বিশেষ সেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উন্নত জীবনের জন্য সমৃদ্ধ নগর যেমন প্রয়োজন তেমনি সবুজ বন দেয় সুস্থভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ এ কথা উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বনের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলাই আন্তর্জাতিক বন দিবসের উদ্দেশ্য। এবারে আন্তর্জাতিক বন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘সবুজ বন সমৃদ্ধ নগর’ বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বেঁচে থাকার জন্য নগর জীবনকে যেমন সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন তেমনি জীবনের জন্য প্রয়োজন বন-বনানী। ‘বন’ গাছ-গাছাড়ি আচ্ছাদিত কোনো এলাকা শুধু নয়, প্রাণের বৈচিত্র উদ্ভিদের বৈচিত্র, সব মিলিয়েই হলো বন। দ্রুত গতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্বজুড়ে বনভূমির পরিমাণ কমে আসছে। এ ক্ষেত্রে শুধু গাছ-গাছালির সংখ্যাই কমছে না, কমছে জীব-জন্তু ও পাক-পাখালীসহ নানা জীববৈচিত্র।’ প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। তিনি বনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, একটি দেশের আর্থিক খাতে বন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে আমাদের অনেকাংশে রক্ষা করে বন।