বিশ্বাসঘাতক জনপ্রতিনিধিদের স্থান জাহান্নাম

29
1237

মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনঃ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “জুলুম আর অত্যাচার কিয়ামতের দিন অন্ধকারে পরিণত হবে।” (-মুসলিম, বুখারী ও তিরমিজী)। তিনি আরো বলেছেন, “সাবধান! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, প্রত্যেকেই তার অধিনস্তদের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।” (-বুখারী শরীফ)। বুখারী শরীফের আরো একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “যাকে আল্লাহ্তা’য়ালা জাতির নেতৃত্ব দান করেছেন, সে যদি তাদেরকে উপদেশ দিয়ে সঠিকভাবে পরিচালিত না করে, তবে তার জন্য আল্লাহ্তা’য়ালা জান্নাত হারাম করে দেবেন।”
সূরা আল-ইমরানের ১০৪ নং আয়াতে মহান রাব্বুল আল্-আমিন সংগঠন এবং সংগঠকদের সম্পর্কে এরশাদ করেছেন, “তোমাদের মধ্যে কোন এক দল অবশ্যই থাকতে হবে, যারা মানুষকে কল্যাণ ও মঙ্গলের পথে দিকে ডাকবে, ন্যায় ও সৎ কাজের নির্দেশ দেবে। আর পাপ ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে। আর যারা এ কাজ করবে, তারাই সাফল্য অর্জন করবে।” অপর এক আয়াতে মহান রাব্বুল আল্-আমিন বলেছেন, “তোমরা সর্বোত্তম উম্মাহ্। তোমাদের উত্থান ঘটানো হয়েছে মানবজাতির পথ প্রদর্শন ও সংশোধনের উদ্দেশ্যে। তোমরা মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের আদেশ দেবে, আর অন্যায়-অপরাধ থেকে বিরত রাখবে এবং আল্লাহ্র প্রতি থাকবে অবিচল ও আস্থাশীল।” (-সূরা আল্-ইমরান, আয়াত নং-১১০)। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুসারী আল্লাহ্র বান্দার একমাত্র কর্ম হল মহান আল্লাহ্পাকের পবিত্র র্কুআন এবং তাঁর প্রিয় রাসূলের সুন্নাহ্কে আকঁড়ে ধরা। প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ এবং কর্তব্য হলো পবিত্র র্কুআন ও সুন্নাহ্র নির্দেশানুযায়ী পথ চলা………..। এ ব্যাপারে মিশ্কাত শরীফের একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “র্কুআনকে আঁকড়ে ধরো। তাহলে কখনো বিপথগামী হবে না।” সদা সত্য কথা বলার জন্য আল্লাহ্র নবী এরশাদ করেন, “সত্য কথা বলো, যদিও তা তিক্ত।” (-ইবনে হিব্বান) হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এক বিঘাত পরিমাণ জমিতেও জুলুম করলো (জোর দখল) কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ তার গলায় সাত তবক জমিন পড়িয়ে দেবেন।” (-বুখারী ও মুসলিম)। আজ আমাদের সমাজের ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা রাষ্ট্রের ও দেশবাসীর শত-শত বিঘা জমি বিভিন্ন রকম সু-কৌশলে আত্মসাৎ করে নিচ্ছে। অনেক জনপ্রতিনিধি ও প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতাধর কর্মচারীরা গরীব ও নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে তাদের সহায়-সম্পত্তি আয়ত্বে নিয়ে তাদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে। হাউজিং কোম্পানীর মালিকরা ক্ষমতা ও অর্থের দাপটে হাজার-হাজার মানুষের সম্পত্তি তাদের দখলে নিয়ে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। বড়ই দুর্ভাগ্য রাষ্ট্র! গরীব বা নিরীহ মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ওই সকল ভূমি দস্যুদের সহযোগিতা করে আসছে। অবৈধ অর্থ-বিত্ত আর ক্ষমতার কাছে গরীব আর নিরীহ মানুষের কান্না চাপা পড়ে যাচ্ছে………..!!

 

 

প্রতিটি মুসলমান নর-নারী, ধনী-গরীব, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, আমলা-কর্মচারী বা যে কোন ব্যক্তিই হোক না কেন, তাকে থাকতে হবে একমাত্র আল্লাহ্পাকের প্রতি বিশ্বস্ত। এ নশ্বর দুনিয়ার প্রতি সকল লোভ-লালসা সংবরণ করতে হবে এবং প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ্তা’য়ালার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। যে বান্দা একমাত্র রাব্বুল আল্-আমিনের প্রতি বিশ্বাস রেখে চলে, তার জন্য মহান আল্লাহ্তা’য়ালাই জামিনদার হয়ে যান। সূরা আত্ তালাকের ২৩ নং আয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তা এরশাদ করেন, “যারা আল্লাহ্তা’য়ালা ও শেষ বিচার দিনের ওপর ঈমান আনে, তাদের সবাইকে এর দ্বারা উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্তা’য়ালাকে ভয় করে, আল্লাহ্তা’য়ালা তার জন্যে একটা পথ তৈরি করে দেন; এবং তিনি তাকে এমন রেজেক দান করেন যার উৎস সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ্র ওপর ভরসা করে, তার জন্যে মহান আল্লাহ্তা’য়ালাই যথেষ্ট। আল্লাহ্তা’য়ালা তাঁর নিজের কাজটি পূর্ণ করেই নেন; আল্লাহ্তা’য়ালা প্রতিটি জিনিসের জন্যেই পরিমাণ ঠিক করে রেখেছেন।”
আমরা অতি দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে দেখতে পাচ্ছি, সমাজের অন্যায়-অত্যাচার, ব্যাভিচার ও ঘুষ-দুর্নীতি বিচারের নামে প্রহসনসহ নানাবিধ অনিয়ম চলছে সীমাহীনভাবে। এক শ্রেণীর মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে দুর্বলের ওপর এমন আচরণ করছে যা বর্ণনাতীত। কেউ কেউ রাজনৈতিক ক্ষমতাধর অধিকারী হয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করছে। তারা সমাজের নিরীহ ও অসহায় মানুষদের ঠকিয়ে শত-শত থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। তারা মনে করছে, তাদের ক্ষমতা যেন আজীবন স্থায়ী হবে। এ’সব অসৎ লোকদের বিরুদ্ধে সাহস করে দাঁড়াবার লোকের খুবই অভাব। অথচ রাব্বুল আল্-আমিন এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ সম্পর্কে পবিত্র র্কুআনের সূরা আল্-ইমরানের ১০৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ্তা’য়ালা ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক থাকতেই হবে, যারা মানুষকে মঙ্গলের দিকে আহ্বান করবে, ন্যায় ও সৎ কাজের নির্দেশ দেবে। আর পাপ-অন্যায় কাজে বাধা দেবে। যারা এ কাজ করবে, তারাই স্বার্থকতা লাভ করবে।”
সমাজে যারা রাজনৈতিক ক্ষমতা আর অর্থ-সম্পদের দম্ভ দেখিয়ে চলে এবং তাদের পাশের মানুষদেরকে অসম্মান বা অবজ্ঞা বা অপমান বা জুলুম করে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আজাব বা শাস্তি। মানুষ মাত্র দু’দিনের জন্য আরাম-আয়েশ বা সুখ-শান্তির জন্য মহান রাব্বুল আল্-আমিনের আদেশ-নির্দেশ ভুলে গিয়ে বা অমান্য করে দুনিয়াদারীর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্পাক সূরা আল্-নিসার ১৪ ও ৬৪ নং আয়াতে ইরশাদ করেন, “আম্বিয়া ও রাসূলগণকে প্রেরণ করার পর মহান আল্লাহ্তা’য়ালা বান্দার ওপর তাদের অনুকরণ ও আনুগত্যবোধ ওয়াজেব করেছেন। যদি কেউ তাদেরকে অমান্য করে অথবা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করে, তবে তার জন্য রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি।” বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিশ্ববাসীর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এ সম্পর্কে পবিত্র র্কুআনের সূরা আহ্জাবের ৪৬-৪৭ আয়াত প্রযোজ্য। এতে আল্লাহ্পাক এরশাদ করেন, “আমিতো আপনাকে পাঠিয়েছি স্বাক্ষীরূপে, সু-সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বানকারীরূপে ও উজ্জল প্রদীপরূপে।” রাসূল (সাঃ) সম্পর্কে পবিত্র র্কুআনের সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে আল্লাহ্তা’য়ালা ইরশাদ করেন, “আমিতো আপনাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহ্মত হিসেবে প্রেরণ করেছি।”
যারা রাজনীতি, সমাজনীতি, সামরিকনীতি বা যেই পেশারই হোক না কেন-তার উচিৎ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে অনুসরণ, অনুকরণ এবং আনুগত্য প্রদর্শন করা। তাঁর মধ্যে আছে সর্বগুণ এবং যারা তাঁকে ফলোআপ করবে তারাইতো হতে পারবে পুত-পবিত্র একজন খাঁটি মানুষ। আর যিনিই একজন ভালো মানুষ হতে পারবে-তিনিইতো আল্লাহ্র একজন খাঁটি বান্দা। এ সম্পর্কে পবিত্র র্কুআনের আল্-নিসার ১৪ ও ৬৪ নং আয়াত আরেকবার উল্লেখ করা হল। এ আয়াতে আল্লাহ্পাক এরশাদ করেন, “আম্বিয়া ও রাসূলগণকে প্রেরণ করার পর আল্লাহ্তা’য়ালা তাঁর বান্দার ওপর তাদের অনুসরণ, অনুকরণ ও আনুগত্য ওয়াজেব করেছেন। যদি কেউ তাদেরকে অমান্য করে অথবা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করে, তবে তার জন্য রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি।” এখানে পবিত্র মিশ্কাত শরীফের একটি হাদিস উল্লেখ করা যেতে পারে। হযরত আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি পৃথিবীর মোহে নিমজ্জিত থাকবে, সে তার আখিরাতকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। আর যে ব্যক্তি আখিরাতের মোহে নিমজ্জিত, সে পৃথিবীর জীবনকে অস্থায়ী জীবনের ওপর প্রাধান্য করার চেষ্টা করেনা।”
আজ সমাজে বসবাসকারীদের মধ্যে বেশীর ভাগ মানুষই রাজনীতির নামে করছে মোনাফেকী। নির্বাচন এলেই জনসেবকদের আগমণ শুরু হয়ে যায়। নির্বাচনের পূর্বে জনসভায়, প্রচারপত্রে ও বড়-বড় রঙ-বেরঙের পোষ্টারে ছেয়ে যায় এবং এ’সব পোষ্টার বা জনসভায় প্রচার করে তাদের জনসেবার সুযোগ দিতে। নির্বাচনে জয়লাভের পর সমাজসেবা বা জনসেবা না করে শুধু করে নিজ, স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের সেবা। জনগণের জন্য বরাদ্দ সব অর্থ-সম্পদ নিজের ও স্ত্রী, পুত্র-কন্যাদের নামে কিভাবে নেবে তাইই যেন চিন্তা থাকে সর্বক্ষণ। হয়তো নির্বাচনে আসার আসল উদ্দেশ্যই রাষ্ট্রের বা দেশবাসীর অর্থ-সম্পদ চুরি করে বা আত্মসাৎ করে ধনীর খাতায় নাম লেখানো। অথচ আমাদের ধর্মে পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে, যারা ওয়াদা বরখেলাপ করে, তারা মেনাফেক এবং মোনাফেকের শাস্তি ভয়াবহ। এ ব্যাপারে দেশের মানুষের বা সমাজের নেতা বানাবার জন্য বড় একটা কর্তব্য রয়েছে। কোন হীন স্বার্থের জন্য খারাপ বা চরিত্রহীন কাউকে নেতা বানালে, তার ফলও দেশবাসীকে ভোগ করতে হবে এবং এর জন্য অবশ্যই পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা কখনো মুনাফিককে নেতা বলে অভিহিত করবে না, কেননা যদি তোমরা ওকে নেতা বলো, তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে অসন্তুষ্ট করলে।” (-মিশ্কাত শরীফ)।
আজ নেতা-নেত্রী, জনপ্রতিনিধি এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা বেশীরই ভোগ-বিলাসের প্রতি ঝুঁকে পরছে। তাদের আচরণে মনে হয়, তারা যেন মহান আল্লাহ্কে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে শধু ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। এ দুনিয়াটা যে ক্ষণস্থায়ী এবং যে কোন সময়ে মৃত্যুর কোলে আশ্রয় নিতে হবে, তা যেন তারা মনেই করছে না। ভোগ বিলাস সম্পর্কে মিশ্কাত শরীফের একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “হযরত মু’আজ ইব্নে জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, “রাসূলল্লাহ্ (সাঃ) তাকে ইয়েমেনে গভর্নর নিয়োগ করে পাঠাবার সময় বলেন, “হে মু’আজ!ভোগ-বিলাসীতা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে। কেননা আল্লাহ্র বান্দাগণ বিলাসীতায় নিমজ্জিত হয়না।”
নেতাদের সম্পর্কের বিষয়ে এ হাদিসে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। যদি তারা আল্লাহ্র নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নবী হিসেবে বিশ্বাস করেন। হযরত সাকিল ইব্নে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “আমি রাসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি মুসলমানদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল হবার পর তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, আল্লাহ্ তার জন্যে জান্নাত হারাম করেছেন।” (-বুখারী ও মুসলিম শরীফ)।
হযরত সাকিল ইব্নে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, “আমি রাসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি মুসলমানদের সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সে তাদের জন্য কিছু করেনি। সে শুধু নিজের কল্যাণের জন্য যেভাবে চেষ্টা চালায়; অপরের কল্যাণার্থে তা কখনো করেনি, সে ব্যক্তিকে কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাদের উপুর করে জাহান্নামের ভেতরে নিক্ষেপ করবেন।” হযরত ইব্নে আব্বাস (রাঃ) এর এক বর্ণনায় রয়েছে, “সে তাদের হিফাজতের দায়িত্ব এমনভাবে পালন করেনি, যেমন নিজের ও নিজ পরিজনের জন্য করেছে।” (-তিবরানী ও কিতাবুল খারাজ)।
চলমান রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় যে রাজনীতিবিদরা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রাষ্ট্রের মধ্যে দায়িত্বরত তাদের উদ্দেশ্যে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “যে শাসক তাদের প্রজাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সে জাহান্নামে যাবে।” (-তাবরানী শরীফ)। এ সম্পর্কে রাব্বুল আল্-আমিন সূরা মু’আরার ২২৭ নং আয়াতে এরশাদ করেন, “জালিমরা শীঘ্রই জানবে ওদের গন্তব্যস্থল কোথায়।”
রাসূলল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, “জুলুম বা অত্যাচার কিয়ামতের দিন অন্ধকারে পরিণত হবে।” (-বুখারী, মুসলিম ও তিরমিজী)। বুখারী শরীফের আরো একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “সাবধান! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, প্রত্যেকেই তার অধীনস্তদের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।” নবী করিম (সাঃ) আরো বলেন, “যাকে আল্লাহ্পাক জাতির নেতৃত্ব দান করেছেন, সে যদি তাদেরকে উপদেশ দিয়ে সঠিকভাবে পরিচালিত না করে, তবে তার জন্য আল্লাহ্তা’য়ালা জান্নাত হারাম করে দেবেন।” (-বুখারী শরীফ)।
দেশ পরিচালনাসহ সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ্র বিধানুযায়ী পরিচালিত করতে হবে। তা না হলে কঠিন আজাবের সম্মুখীন হতে হবে। সূরা আল্-মায়িদার ৪৪ নং আয়াতে আল্লাহ্পাক রাব্বুল আল্-আমিন বলেন, “যারা আল্লাহ্র নাযিল করা আইন অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করেনা, তারা কাফির।”
(রচনাকাল : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)
লেখক : মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাংবাদিক ও কলাম লেখক, ফোন : ০১৭১০-৮৮৩৪১৩, ই-মেইল : jahangirhossain8431@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 + 4 =