রূপগঞ্জ নব্যভূমি দস্যু কে এই বুশরা ইসলাম

0
728

স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জ এলাকায় নব্য ভূমি দস্যু বুশরা ইসলামের ভূমি দস্যুতায় অতিষ্ঠ এলকার সাধারণ জনগণ। সরজমিন অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, রূপগঞ্জের গোয়ালপাড়ার মধ্য দিয়ে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের রাস্তা নির্মানের পর গোয়ালপাড়া এলাকার বেশ কিছু আবাদি জমির উপ কু-নজর পড়ে বুশরা ওরফে ভূমি দস্যু বুশরা। গোয়ালপাড়া এলকার একজন ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি, পিতা- নূর মোহাম্মদ এই প্রতিবেদক কে জানান গত ০৪/০২/২০০৯ ইং তারিখে বিমল চন্দ্র দাসের নিকট থেকে খরিদাসূত্রে মালিক হয়ে উক্ত জমির খাজনা খারিজ সহ যাবতীয় কাগজপত্র আমার নামে হালনাগাদ করি। পরবর্তীতে আমার এক বর্গা চাষীর মাধ্যমে ধান চাষ সহ ফসলাদী উৎপন্নন করে ভোগ দখল করে আসিতেছি। জলসিড়ির রাস্তা করার পর আমার জমিতে সিমানা ওয়াল নির্মাণ করার জন্য গত ১৫/০১/২০১৮ইং তারিখে সৈয়দ রফিকুলকে দায়িত্ব দিলে উক্ত সিমানা ওয়াল নির্মান করতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী আরমান মোল্লা, পিতা- ইয়াকুব মোল্লা, সাং পড়শি বাজার, সাইফুল ইসলাম সমর, পিতা- মৃত আনজত আলী, সাং- গোয়ালপাড়া সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক আমার কাজে বাধা প্রদাতন করে ও রড, সিমেন্ট সহ যাবতীয় মালামাল যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ টাকার উপরে যাহা লুট করে নিয়ে যায়।

 

কারন জানতে পাইলে বলে বুশরা ইসলামের নির্দেশে তার জমিতে আমরা তোমাদেরকে অবৈধ ওয়াল নির্মাণ করতে দিব না। পরবর্তীতে আমি থানায় গেলে থানা আমার অভিযোগ না নিয়ে উল্ট আমার লোককে অবৈধ ভাবে আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আপশ রফা করে আমার লোককে ছেড়ে দেয়। এই সময় ভাড়াটে আরমান আমাকে হুমকি দেয় ভবিষ্যতে থানায় আসবি তো জানে মেরে ফেলব, আর জানিস না বর্তশানে থানার বড় বাবু (সাবেক ওসি ইসমাইল) আমাদের লোক তার কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ নেই। শফিক অনেকটা কান্না জড়িত কন্ঠে বলে আমার বৈধ সকল কাগজ পত্র থাকার পরেও আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি। শুধু শফিক না এই রকম অনেক ভুক্ত ভোগী বুশরা বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এব্যপারে এলাকা বাসীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলে শফিকুল জমি কিনে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু বুশরা ভাড়া করা সন্ত্রাসী আরমান মোল্লা গংদের দৌরত্ব এতটাই ভয়াবহ যে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। আরমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায় না। আরমান নাকি বি,এন,পি জামাতজোট ক্ষমতায় থাকার সময় শীর্ষ ক্যাডার ছিল। যার কাজ হচ্ছে ভূমি দখল, বাড়ীর জমি দখল, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজি সহ নান অপকর্ম। এলাকায় আরমানের রয়েছে মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট যা সে খিলক্ষেত থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। আরমানের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। জমির মালিকানা দাবি কারী বুশরা ইসলামের গুলশানের বাসায় যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে বাড়ির কেয়ারটেকার বলেন ম্যাডাম বাসায় নেই পরে যোগাযোগ করবেন। শফিকুলের সাথে জমি ক্রয়কারী নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলে একই অভিযোগ পাওয়া যায়। রূপগঞ্জ থানার বর্তমান ওসির সাথে যোগাযোগ করলে এই প্রতিবেদকে বলেন আমি সদ্য এই থানায় যোগাযোগ করছি। আমার এলকায় ভূমি দস্যূ জাল জালিয়াত চক্র যে থাকুক না কেন অপরাধীকে শাস্তি পেতে হবে। এব্যাপারে অনুন্ধান চলছে অপরাধ বিচিত্রায় চোখ রাখুন প্রতি সপ্তাহে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × two =