স্টাফ রিপোটারঃ
গত ২৬/০৩/২০১৮ মাহমুদুল হাসান মোয়াজ্জেম (৩০) নামের এক কথিত সাংবাদিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ সহ আটক করেছে দক্ষিন খান থানা পুলিশ। রাজধানীর দক্ষিন খান থানাধীন প্রেমবাগান নামক স্থান থেকে আনুমানিক বিকাল ৪:৩০ মি: ঘটিকায় তাদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানায় মানব পাচার দমন আইন-১১/১২(১/১৩) ধারায় একটি মামলা করা হয়। যার নং-৪২। দক্ষিনখান থানা পুলিশ এস আই মোঃ হাসান আলী ও তার চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণখান প্রেমবাগান, বাসা নং-১২২, (২য় তলা) থেকে তাদের আটক করেন। আটককৃতরা হলেন (১) মাহমুদুল হাসান মোয়াজ্জেম (৩০) পিতা: বাসের আলী, গ্রাম: বাড়ই খালী, জেলা: মুন্সিগঞ্জ, (২) মমতাজ বেগম (৩৩) পিতা: আসাদুজ্জামান, গ্রাম: কিসামত মধুপুর, থানা: উলিপুর, জেলা: কুড়িগ্রাম (৩) সাথী আক্তার (২২), পিতা: নবীর হোসেন জেলা: কুড়িগ্রাম, (৪) এমদাদ হোসেন মিল্টন (৩৬) পিতা-মৃত জাহাঙ্গীর আলম, (৫) আতাউর রহমান লাল (২৩) পিতা: জামাল মোড়ল এবং (৬) বাড়ীর মালিক-তৈয়ব আলী (৫০) পিতা-মৃত শেখ শহীদ উদ্দিন, বাসা নং-১২২, প্রেম বাগান, দক্ষিণ খান ঢাকা। ঘটনায় প্রকাশ সাংবাদিক নামধারী মাহমুদুল হাসান মোয়াজ্জেম দীর্ঘ দিন যাবত নারী ব্যবসা করে আসছিল। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। কারন তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে সে সামাজিক যোগা যোগের মাধ্যম ফেসবুকে ও তার নিজের তৈরি কিছু রেজিষ্ট্রেশন বিহীন বেনামী অনলাইন ও ফেসবুক গ্রুপে নিউজ আকারে ছেড়ে দেয়। এভাবে সমাজের বিত্তবান মানুষকে ব্লাকমেইল করে মাহমুদুল দিনে দিনে হাতিয়ে নেয় বিশাল অংকের টাকা। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর মাহমুদুল নিজেকে “দৈনিক আলোকিত সকাল” এর সম্পাদক ও সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার সিটি রিপোর্টর দাবী করে। অনুসন্ধানে জানা যায়-আলোকিত সকাল পত্রিকা দীর্ঘ দিন যাবত বন্ধ।কারন সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ মাসুম ২০ হাজার পিস ইয়াবা সহ কক্সবাজারে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে আছেন। আর অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এস এম মোরশেদ সাহেব জানান-মাহমুদুল হাসান আমার কোন রিপোর্টর নয়। ইতিপূর্বেও সে এরকম ভুয়া পরিচয় দিয়ে অপকর্মে লিপ্ত ছিল। মাহমুদুল হাসানের একসময়ের কাছের মানুষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান-সে নিজে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।মাহমুদুল ও তার সহযোগীরা জাতীয় ব্লাকমেইলার। এই চক্রটি সারা ঢাকা শহরে বিরাজ করছে। তিনি আরো জানান-এ কারনেই তার বউ সন্তান তাকে ছেড়ে চলে গেছে। গোপন অনুসন্ধানে জান যায়-মাহামুদুল হাসান কোন সাংবাদিক নয়। সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে সে-বিভিন্ন সময় মাদক নারী ব্যবসা করে আসছে। ফেসবুকে সাংবাদিক নিয়োগ বানিজ্যো করে আসছে। মাহমুদুল হাসান নিজেই একটা মাদকসেবী সাইকোপ্যাথী। ইতিপূর্বে অনেক জায়গায় গনপিটুনি খেয়ে সে প্রচার করে নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাইর খেয়েছে। আসলে তার অপকর্ম এতটাই বিস্তার লাভ করেছে যে-সাধারন মানুষ তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। আর ঢাকা ক্রাইম রিপোর্টর এসোসিয়েশন বা বিমান বন্দর জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের কোন অস্তিত্ব নাই। এগুলো সব ভুয়া। দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ তপন চন্দ্র সাহা জানান-প্রকৃত সাংবাদিকরা জাতীর বিবেক। কিন্তু মাহমুদুল হাসানের অপরাধ ও কৃতবাসের জন্য আমরা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন তার প্রকৃত বিচার হোক এটাই কামনা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − 3 =