তোকমা দানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম তোকমা দানায় ৪০ গ্রাম খাদ্য আঁশ পাওয়া যায়। আঁশ হজম প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পেটের পীড়া উপশম, প্রদাহ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে তোকমা। তাছাড়া বিভিন্ন ফলের জুস ও ফালুদা তৈরিতে এ দানা ব্যবহার করা হয়। এটি প্রচুর পুষ্টি ও মিনারেল সমৃদ্ধ। এ দানা সালভিয়া হিসপানিকা নামেও পরিচিত।
এর উৎপাদন বেশি হয় মেক্সিকোতে। প্রাচীন মায়ান এবং অ্যাজটেক্স সম্প্রদায় তোকমা দানার ব্যবহার প্রথম শুরু করে। ছোট ডিম্বাকৃতির নরম বীজটি বাদামি, কালো, সাদা ও বিভিন্ন রংয়ের হয়। এক মুঠো তোকমা দানা, বাদাম, শুকনো ফলের সঙ্গে মিশ্রণ তৈরি করে খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধামুক্ত রাখে। ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়। ওমেগা-৩ শরীরের জন্য খুব দরকারি একটি উপাদান। উদ্ভিদভিত্তিক ওমেগা এসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে তোকমা দানা। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যা শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান প্রদাহ, ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধ এবং বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে। এক চাপ তোকমা শরীরের জন্য প্রতিদিনের দরকারি ৩০ শতাংশ ম্যাংগানিজ, ১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, তোকমা দানা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল উৎপন্ন করে এবং রক্তে চর্বির পরিমাণ কমায়। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, সুস্থ হার্ট এবং হাড় গঠনে সহায়তা করে।