জেমস এ কে হামিমঃ
রাজধানী খিলক্ষেতে দিনে দিনে হারাচ্ছে সরকারি জমি ও মানুষের চলার রাস্তা। এ যেন এক দখলের মহোৎসব। দখলবাজ, চাঁদাবাজ মিলেই গিলে খাচ্ছে খিলঁক্ষেতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেলওয়ের জমি। প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খিলক্ষেত বাজার রেলওয়ে সরকারি জমিতে প্রতিদিন সকাল ৬-৮টা পর্যন্ত পাইকারী কাঁচা বাজার বসে। যেখানে খিলক্ষেত থানার এলাকার নিচু গ্রামাঞ্চলে বরুয়া, ডুমনি, পাতিরা, তলনা, ঢেলনাসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাধারণ জনগণ নিজস্ব জমির সবজি টুকরিতে করে বাজারে বিক্রি করে।
খিলক্ষেত থানার আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে শ্রমিকলীগের সারোয়ার, লুঙ্গি বাহিনী খ্যাত প্রধান মাহবুবুর রহমান, কবির রাজ, ময়না সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক প্রতিদিন জনপ্রতি ৩শ’ টাকা করে আদায় করে। খিলক্ষেত থানা এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা সাধারণ জনগণ প্রায় ৭/৮শ’ ইজি বাইকের মাধ্যমে খিলক্ষেত বাজারে চলাচল করে। প্রায় বেশিরভাগ ইজি বাইকের মালিক এবং চালক আওমীলীগের সমর্থক ও কর্মী। খিলক্ষেত থানার আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম বাহিনীর নেতৃত্বে ছাত্তার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের জাহাঙ্গীর আলম রাজ, সিদ্দিক, নুরুজ্জামানের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা মাছ বাজার ও সবজি বাজার থেকে খিলক্ষেত থানার সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতি দোকান থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। তবে সরেজমিনে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ ইং তারিখে আসলাম উদ্দিনের বন্ধু দিপুর গডফাদার মোঃ রেজাউল করিম, পিতাঃ আব্দুর রজ্জাক, গ্রাম-হারপুর, থানাঃ পতœীতলা, জেলাঃ নওগা। চোরাই ৬টি সিএনজি ও ৩ বস্তা সিএনজি পার্টস খিলক্ষেত থানার পুলিশের অভিযানে আটক করা হয়। তারপরও আসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে তা খালাস করে থানার ওসিকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে মাল নিয়ে যায়। যার একটি সিএনজি এখনো থানায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ৫ মাস আগে রেজাউল করিম একটি ভাড়া চালিত সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে তার প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। নিল শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর অন্তরালে গাড়ী চোর সিন্ডিকেটের এক মহোৎসব। শুধু তাই নয় মাদক ও নারী ব্যবসার রমরমা বাণিজ্য। খিলক্ষেত থানা আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিনের নেতৃত্ব পাওয়ার পর থেকে সে অন্যায়ভাবে মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে জোরপূর্বক রাস্তাঘাট বন্ধ করে খিলক্ষেত দক্ষিণ নামা পাড়া তালেরটেক নিবাসী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তালেব গংদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জামায়াত নেতা এবং জামায়াতের বড় ডোনার আব্দুর রব কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত রাস্তার সমস্যা সমাধান করতে গেলে জামায়াত নেতা আব্দুর রবের পক্ষে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আসলাম উদ্দিনের শক্ত অবস্থানে রাস্তার সমস্যা সমাধান করতে পারে নাই। পক্ষান্তরে আব্দুর রবকে দিয়ে গত ১৬/০৮/২০১৭ ইং তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে, ঢাকা খিলক্ষেত থানা আওমীলীগের সভাপতি ৯৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অন্যান্যদের ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে খিলক্ষেত থানার আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিনের মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজীর ফলে এলাকার সাধারণ জনগণের কাছে বাংলাদেশ আওমীলীগ তথা প্রশাসন ও সরকারের ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ব্যাপারে আসলাম উদ্দিনের নামে প্রধানমন্ত্রীর ক্রাইম সেল ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওমীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ.কে.এম রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে আসলাম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন আমি এসব করি না। দলের অঙ্গ সংগঠেন নেতা কর্মীরা চাদাঁবাজী করে।