হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক এর দুর্নীতি দেখার যেন কেউ নেই

0
1250

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই কথা বাংলাদেশের পুলিশের মূল নীতি থাকলেও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হক আছেন এই শ্লোগানের বিপরীত মুখী। পুলিশ কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক এর কথায় পুলিশ ই রাজা বাকী সবাই তার প্রজা। এটাই কায়েম করার জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন দালালদেরকে নিয়ে তার চলাফেরা। পুলিশের মূলনীতিকে দূরে রেখে ব্যক্তিগত চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে নিরীহ মানুষের উপর চালিয়েছেন স্ট্রিম রোলার। ওসি ইয়াছিনুল হক হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্র্র্র্র্র্র্জ হিসাবে আনুমানিক দুই বছর আগে যোগদান করেছিলেন এখনো আছেন। উনার বিভিন্ন অপকর্ম হবিগঞ্জ জেলার সর্র্বস্তরের জনগন অবগত আছেন। উক্ত ওসি ইয়াছিনুল হক একজন পুলিশ অফিসারের কারনে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট হতে পারে না।

 

পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওসি ইয়াছিনুল হকের বিষয়ে সুদৃর্ষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী। আরও উল্লেখ্য যে, ওসি ইয়াছিনুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরেও অভিযোগের মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে। গত ১৮/০৪/২০১৮ ইং তারিখে মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবরে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মাননীয় মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবরে যে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে বিনীত নিবেদন এই যে, গত ০৮/১২/২০১৬ ইং তারিখে আমার আপন ভাতিজী মোঃ হাজেরা খাতুন তাহার সাংসারিক ঝামেলার কারনে তাহার স্বামী ও শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি বরাবরে একখানা এজাহার দায়ের করি। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিগত ১০/১২/২০১৬ ইং তারিখে উক্ত অভিযোগ সম্পর্কে জানিতে চাহিলে ওসি সাহেব আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করেন। আমি তার বিরুদ্ধে মাননীয় ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ বরাবরে ওসি সাহেবের অশুভ আচরনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিলে ওসি সাহেব আমার উপর ভিষণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন। উক্ত আক্রেশে তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩১/০৩/২০১৭ ইং তারিখে লুকড়া গ্রামের আব্দুল আওয়াল ওরুফে কালাই মিয়াকে বাদী বানিয়ে একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করান মামলা নং ১১৫/১৭ ইং দায়ের করিয়ে আমাকে গ্রেফতার করেছিলেন। আমি হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা সত্বে ও বিগত ০৪/০৪/২০১৭ ইং তারিখে লুকড়া গ্রামের ইউনুছ আলীকে বাদী বানিয়ে আরেকটি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা করান।
যার মামলা নং ১৯৯/১৭ ইং তৎপর বিগত ১০/০৪/২০১৭ ইং তারিখে রিচি গ্রামের আলমগীর মিয়াকে বাদী বানিয়ে আারেকটি মিথ্যা মামলা করান, যার সি.আর মামলা নং-২২২/১৭ ইং, মহোদয় উক্ত মামলাগুলোতে আমি মাননীয় বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে বর্তমানে জামিনে আছি। আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করানোর পর ওসি ইয়াছিনুল হক সহেব ক্ষান্ত হননি। সর্বশেষ বিগত ১০/০৪/২০১৮ ইং তারিখে বড় বহুলা গ্রামের একটি নষ্টা মেয়ে কল্পনা আক্তার পারভীন (যার ইতিপূর্বে ৩/৪ টি বিবাহ হয়েছে) ও তার দুটি সন্তানও রয়েছে। সেই মেয়েকে বাদী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল হবিগঞ্জে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৫৮/১৮ বিজ্ঞ আদালত ওসি হবিগঞ্জকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। মহোদয় আরও উল্লেখ্য যে, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হক আমার বিরুদ্ধে কোন রকম তদন্ত ছাড়াই ইতিপূর্বে ও ২টি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করিয়েছেন এবং মিথ্যা ও কাল্পনিক ৪টি মামলা করাইয়াছেন, যাহা ওসি ইয়াসিন নেপথ্যে থেকে পরিচালনা করছেন। আরও বিভিন্ন মামালা মোকাদ্দমায় আমাকে জড়াইতে পারেন অথবা আমাকে বা আমার পরিবারের যেকোন সদস্যকে যে কোন সময় ভাড়াটিয়া খুনী দিয়ে খুন করাইতে পারেন। আমি নিয়মিতভাবে আমার জীবন নাশের আশঙ্কা করছি। আমার কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটলে ওসি ইয়াসিন দাযী থাকবে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − fifteen =