তাসমিয়া জেসমিন ঃ
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের পাশে মুগদা, মান্ডা, মানিক নগর, রেলওয়ে মেথর পট্টি, কমলাপুর, খিলগাঁও এলাকা। বহুল আলোচিত এসব এলাকা গুলো ঘনবসতিপূর্ণ। দেহব্যবসা, মাদক, চুরি ডাকাতি, খুন রাহাজানি, ছিন্তায়ের জন্য কুখ্যাত। এসব এলাকাগুলোতে এমন কোন অপরাধ নেই যা এখানে হয় না। প্রতিটা অপরাধী বুক ফুলিয়ে চলে ওসিদের অবদানে। মাসহারাতো তাদের আছেই আবার তাৎক্ষণিক অপরাদের জন্য আলাদা প্রেমেন্ট। যারা দিতে দেরি করে তারা হয় আসামী সে ক্ষেত্রে আবার পকেট ভারী হয় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। খিলগাঁও থানায় গত কিছুদিন আগে শাপলা মাল্টিপারপাস সমিতির আসামী ১০ কোটি টাকা আত্বসাৎতের আসামী জামাই আদরে থাকে। মগদা থানায় প্লাট বিক্রি ও বন্ধকের নামে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া মানছুন নাহার মায়াকে প্রতারণার দায়ে এলাকা বাসীর চাপে বহুবার থানায় নিয়ে আসে এবং মামলা হয়। সংবাদের ভিত্তিতে থানায় গেলে ওসি এনামুল কাউকে ভিতরে যেতে দেয়নি এবং আসামীর কোন প্রকার ছবি তুলতে দেয়নি। দেখাযায় মানছুন নাহার মায়া চেয়ারে বসে ওসির সাথে বাক্য বিনিময় করছে। এই আসামী মায়া আবার বেড়িয়ে আাসে থানা থেকে ওসি এনামুলের অবদানে। আরও অসংখ্য মামলার আসামী ওসি এনামুলের নিকট অবাদে নানা বাড়ীর মত থানায় যাতায়াত করে। এই থানা গুলোতে প্রতি সপ্তাহে বিয়ার বাবু, শাজু, জমিলা, বাংলামদ সুলতানা, ল্যাংরা তপন, মুকুল, মিলন, ভুট্ট, আলী, লিটন, শরীফ মোল্লা, নাছির ফেন্সিডিল সাপ্লাইয়ার, নারী ব্যবসায়ীরা সাপ্তাহিক, দৈনিকও মাসহারা দিয়ে দাপটের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ ব্যাপী যেখানে সাঁরাশী অভিযান চালিয়ে সরকার দেশকে মাদক মক্ত করছে সেখানে এসব এলাকা গুলোতে যারা আসল মাদক ব্যবসায়ী তারা অভিযানে ধরা পড়েনি। কারণ ওসিরাতো ব্যবসায়ী ধরিয়ে দিয়ে তাদের আয়ের সিংহভাগ বন্ধ করবে না।
মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির কঠোর অভিযানে মুগদা থানার সাত পুলিশ কর্মকর্তার নাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। ঐ সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে মুগদা থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে ডিএমপি সুত্র জানায় এটা ওসি এনামুল জানায়। কিন্ত যারা মাদকের সাথে সরাসরি জড়িত যারা ওসি মুগদা, ওসি শাজাহানপুর, ওসি খিলগাঁও, ওসি সবুজবাগ, কমলাপুর, জিআরপি এর নির্দেশে মাদক ব্যবসায়ী দের বড় রকমের মাসহারা সাপ্তাহিকের বিনিময়ে সহযোগীতা করে তারা এখনও তদন্তে ধরা পরে নাই। তাদের মধ্যে এএস আাই সবুজ, কন্সটেবল হাবীব, কন্সটেবল নাজমুল বাদ পড়ে যায় কারণ তারা তিন জনই ওসি এনামুলের ডান হাত। তারা ওসি এনামুলের টাকা গুলো কালেকশন করে থাকে। ওসি এনামুল বর্তমানে ২ বৎসর ৩ মাস মুগদা থানায় অবস্থান করে মুগদা, মানিক নগরে জানামতে ২ টি বাড়ী ও একাধিক ফ্লাটের মালিক হয়েছেন। যাদের হাত ধরে ওসি এনামুলের টাকার পাহাড় তাদেরকেতো অপরাধী করতে পারে না। যারা তার অপরাধের সঙ্গী হয়নি তাদের অপরাধী বানিয়ে প্রকাশ করলো। শাজাহানপুর থানার এএসআই মামুন, এসআই রহমান যারা প্রতিদিন মেথর পট্টিতে ডিউটিতে আসলেই সকাল বিকাল ৮ হাজার টাকা পায় এবং থানাগুলোতে পায় প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা। এদেকে কি প্রশাসন দেখতে পায় না?