মাদকের বিরুদ্ধে অলআউট যুদ্ধে নেমেছি ….স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

0
865

অপরাধ বিচিত্রা ঃ
সরকার মাদকের বিরুদ্ধে অলআউট যুদ্ধে নেমেছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে।
সচিবালয়ে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অপরদিকে ঈদের পুর্বেই শ্রমিকদের মে মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি (মাদকের বিরুদ্ধে) আমরা অলআউট যুদ্ধে নেমেছি। এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে। আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা নেব। কোনো প্রচেষ্টাই ফাইনাল নয়। যা করলে আমরা মনে করি, ভালো হবে আমরা সেখানেই যাব।

অভিযান কতদিন চলবে ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই অভিযান চলবে। এটা বিশেষ বলে কোনো কিছু না। যে পর্যন্ত আমরা (মাদক) নিয়ন্ত্রণ করতে না পারব, সেই পর্যন্তই অভিযান চলবে। নির্দিষ্ট সময় সীমা এটার মধ্যে নেই। যতদিন মাদক পুরোপুরি নির্মূল না হবে, ততদিন অভিযান চলবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সরকারি অধিদফতর ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যর্থতা আর সফলতা বলে কোন কথা না। এমন প্রশ্ন আসেনি। প্রশ্নটা হচ্ছে আমরা মাদকের ভয়াবহতায় আক্রান্ত হয়েছি, এটা বাস্তবতা। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আমরা সেই অনুযায়ী সর্বাত্মকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সামাজিকভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন সমাজপতিদের, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এবং জনগণকে এর সাথে সম্পৃক্ত করেছি। গোয়েন্দাদের মাধ্যমে আমরা যে লিস্ট তৈরি করেছি তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। জিরো টলারেন্সের অর্থ হচ্ছে আমরা সব কিছুই করব। আপনাদের কাছেও যদি কোন তালিকা থাকে তা আমাদেরকে দিন। আমাদেরকে সমৃদ্ধ করুন। আমরা ব্যবস্থা নেই। এই অভিযান থেকে কেউ বাদ যাবে না বলে আবারও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আপনারা ইতিমধ্যেই প্রমাণ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (শেখ হাসিনা) উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। এখানে আমাদের একজন সংসদ সদস্য জেলে রয়েছেন। সরকারদলীয় বা বিরাট সমাজপতি সেগুলো এখানে বিবেচ্য নয়। সে যেই হোক অপরাধ করলেই তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
রাস্তায় চাঁদাবাজি রোধে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে থাকবে জেলা পুলিশ ও র‌্যাবের টহল। তিনি বলেন, ১৪ জুন সরকারি ছুটির দিন। ওইদিন শিল্প এলাকাগুলোতে যেখানে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ও অন্য ইন্ডাস্ট্রি, মার্কেট রয়েছে সেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বিজিএমইএ’র (তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × four =